এনায়েতপুরী পীর এর ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ
১. আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাঝে কোন পার্থক্য নেই, শুধু মীম হরফ ছাড়া। আল্লাহ তা‘আলা হলেন আহাদ। আর হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন আহমাদ।
খণ্ডন: হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর খোদার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই বললে আল্লাহ তা‘আলারও স্ত্রী ও সন্তানাদি আছে বলতে হবে। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী ও সন্তান তখন আল্লাহ তা‘আলার স্ত্রী-সন্তান বলে গণ্য হবে। (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ কুরআন শরীফে (সূরা ইখলাস) এসেছে,
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ * وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
অর্থ: তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনি কারো থেকে জন্ম নেননি এবং তার সমকক্ষ কেউ নেই।
২. এনায়েতপুরীর আক্বীদা হলো, ভালো-মন্দের ক্ষমতা পীর সাহেবের হাতে আছে।
খণ্ডন: এটা কুরআন-হাদীসের বক্তব্যের স্পষ্ট বিরোধী। কুরআনে কারীমে বলা হয়েছে, قُلْ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ فَمَالِ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا
অর্থাৎ হে নবী! আপনি বলে দিন, সবকিছু আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হয়। এই সম্প্রদায়ের কী হলো যে, তারা কোন কথা বুঝতেই পারে না।
৩. এনায়েতপুরীর অনুসারীরা তাকে প্রায় নবী আ. এর সমমর্যাদা সম্পন্ন মনে করে। তাদের ধারণায় যে ব্যক্তি এনায়েতপুরীর সাক্ষাত পেয়েছে, সে জান্নাতী।