চন্দ্রপুরী পীর এর ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ
চন্দ্রপুরীর ঈমান বিধ্বংসী আক্বীদাসমূহ
১. ভণ্ড চন্দ্রপুরী বলে থাকে, হযরত জিবরীল আ. ও আল্লাহ তা‘আলা এক ও অভিন্ন। চন্দ্রপাড়া পীরের জামাতা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ থেকে প্রকাশিত ‘মাসিক আত্মার বাণী’ ৫ম বর্ষ, ১ম সংখ্যায় আছে, ‘সুলতানিয়া মুজাদ্দেদীয়া তরীকার ইমাম চন্দ্রপুরী ফরমান, জিবরীল আ. বলতে অন্য কেহ নন। স্বয়ং হাকীকতে আল্লাহ’। (নাঊযুবিল্লাহ)।
অথচ পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট উল্লেখ হয়েছে যে, জিবরীল আ. আল্লাহ ভিন্ন পৃথক সত্তা। আল্লাহর পক্ষ হতে ওহী নিয়ে রাসূলের নিকট আগমনকারী ফেরেশতা।
২. ভণ্ড চন্দ্রপুরীর আরেকটি কুফরী আক্বীদা হলো, বড় বুযুর্গদের ইবাদত লাগে না।
অথচ পবিত্র কুরআনে কারীমে স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়ে বলেন,
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّى يَأْتِيَكَ الْيَقِين
অর্থাৎ (হে নবী!) আপনি আপনার প্রভুর ইবাদত করুন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত।
আল্লাহ তা‘আলার নবীর সমান ইয়াকীন এবং বিশ্বাস অর্জন করা কোন মুসলমানের পক্ষে সম্ভব নয়। তদুপরি আজীবন নবীকে শরী‘আতের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেখানে একজন উম্মত এই ক্ষমতা ও স্বাধীনতা কোত্থেকে পেল যে, সে শরী‘আতের অনুসরণ হতে মুক্ত হয়ে যাবে?
৩. ভণ্ড চন্দ্রপুরী আরো বলে থাকে, ফেরেশতাগণ আল্লাহ তা‘আলার নাফরমানী করেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ কুরআনে ফেরেশতাগণের গুণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা এসেছে যে, لَا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُون
অর্থাৎ তাঁরা আল্লাহ তা‘আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করেন না। এবং যা তাঁদেরকে আদেশ করা হয় তা পালন করেন।
চন্দ্রপুরী ও তার অনুসারীগণ এ ধরণের অনেক কুফরী আক্বীদা-বিশ্বাসে লিপ্ত। কাজেই আমাদেরকে এ ভন্ডের প্রতারণা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা আবশ্যক।