প্রচলিত কুসংস্কার এর তালিকা

কুসংস্কার অংশিদার ভুল ভ্রান্তি জাহান্নাম শাস্তি মিথ্যা মুশরিক কাফের কুফর আকিদা বিশ্বাস শেয়ার ভাগ জাল মিথ্যাচার দূর্বল হাদিস কুরআন আল্লাহ ঈমান ধর্মের নামে মিথ্যা শিরক
সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার এর তালিকা

কুসংস্কার ও ভুল বিশ্বাস প্রচলিত আছে। যেমন:
– এ সময় কোন কিছু খেতে নেই। বলা হয়, সূর্যগ্রহণের ১২ ঘণ্টা এবং চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘণ্টা আগে থেকে খাবার গ্রহণ করা বারণ!
– এ সময় তৈরি করা খাবার ফেলে দিতে হবে!
– এ সময় যৌন সংসর্গ করা যাবে না!
– গর্ভবতী মায়েরা এ সময় যা করে, তার প্রভাব সন্তানের ওপর পড়বে!
– সূর্যগ্রহণে গর্ভবতী মায়েদের কাত হয়ে শুতে বারণ নইলে নাকি গর্ভের শিশু বিকলাঙ্গ হয়!
– সূর্যগ্রহণের সময় জন্ম নেওয়া শিশুদের ব্যাপারে দুই ধরনের গপ্প শুনতে পাওয়া যায়। এক, শিশুটি অসুস্থ হবে এবং দুই, শিশুটি চালাক হবে!
– প্রসূতি মা সূর্যগ্রহণ দেখলে তার অনাগত সন্তানের বিকলঙ্গ হবে!
– চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় যদি গর্ভবতী নারী কিছু কাটাকাটি করেন, তাহলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হয়—এ গুলো সবই কুসংস্কার ও ভুল বিশ্বাস।
– এ সময় কোনো নারীকে ঘুম বা পানাহার থেকে বারণ করাও অন্যায়।
এগুলো বিশ্বাস করা অনেক সময় শিরক এর পথে নিয়ে যায়। তাই এই বিশ্বাস গুলো অবশ্যই বাদ দিতে হবে না হলে গুনাহগার হতে হবে।
এছাড়া গর্ভবতী নারীর করণীয়-বর্জনীয় বিষয়ে সমাজে বহু কিছু প্রচলিত রয়েছে সেগুলো সব কুসংস্কার এবং ভ্রান্ত ধারণা।আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমীন। ইসলামী শরিয়াহ ও বাস্তবতার সঙ্গে এগুলোর কোনো মিল নেই এবং বৈজ্ঞানিকভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়।
জাহেলি যুগেও এ ধরণের কিছু ধারণা প্রচলিত ছিল। সেকালে মানুষ ধারণা করত যে, চন্দ্রগ্রহণ কিংবা সূর্যগ্রহণ হলে অচিরেই দুর্যোগ বা দুর্ভিক্ষ হবে। চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণ পৃথিবীতে কোনো মহাপুরুষের জন্ম বা মৃত্যুর বার্তাও বহন করে বলে তারা মনে করত। বিশ্বমানবতার পরম বন্ধু, মহান সংস্কারক, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেগুলোকে ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
———————————————————–

(১) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।
(২) খাবার সময় সালাম দিতে নেই।
(৩) দোকানের প্রথম কাস্টমর ফেরত দিতে নাই।
(৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
(৫) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।
(৬) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে।
(৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।
(৮) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই।
(৯) চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগাইলে সুস্থ হয়ে যাবে।
(১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।
(১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।
(১২) ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
(১৩) ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
(১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে।
(১৫) ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, ‘ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।’
(১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।
(১৭) বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়।
(১৮) ঘরের ভিতরে প্রবেশ কৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে) তাহলে জ্বর হবে।
(১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
(২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না।
(২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।
(২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।
(২৩) মহিলাদের মাসিক অবস্থায় সবুজ কাপড় পরিধান করতে হবে। তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না।
(২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।
(২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। তাতে চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে।
(২৬) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।
(২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।
(২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই।
(২৯) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে বলা হয় শিয়ালের বিয়ে।
(৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
(৩১) খানার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে বলা হয় খানা না কি কুকুরের পেটে চলে যায়।
(৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই।
(৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই।
(৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে।
(৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
(৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না।
(৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে।
(৩৮) কোন ব্যক্তি বাড়ি হতে বাহির হলে যদি তার সামনে খালি কলস পড়ে যায় বা কেউ খালি কলস নিয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে তখন সে যাত্রা বন্ধ করে দেয়, বলে আমার যাত্রা আজ শুভ হবে না।
(৩৯) ছোট বাচ্চাদের হাতে লোহা পরিধান করাতে হবে।
(৪০) রুমাল, ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার স্বরূপ দেয়া যাবে না।
(৪১) হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।
(৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
(৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।
(৪৪) পাখি ডাকলে বলা হয় ইষ্টি কুটুম (আত্মীয়)আসবে।
(৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই।
(৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
(৪৭) খানার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে, দোস্ত তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে।
(৪৮) কাক ডাকলে বিপদ আসবে।
(৪৯) শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে।
(৫০) পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
(৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।
(৫২) দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে ‘দোস্ত তোর কথা সত্য, কারণ দেখছস না, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে।’
(৫৩) একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে।
(৫৪) ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই।
(৫৫) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে।
(৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।
(৫৭) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে।
(৫৮) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে।
(৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
(৬০) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।
(৬১) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না।
(৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না।
(৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে যাত্রা (নগদ বিক্রি) না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। তাহলে সারা দিন বাকীই যাবে।
(৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে।
(৬৫) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে।
(৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে ধই বলতে হয়।
(৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
(৬৮) কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
(৬৯) বিনা ওযুতে বড় পীর (!!) আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যাবে।
(৭০) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কেননা বলা হয় কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
(৭১) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
(৭২) মহিলাগণ হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হবে।
(৭৩) স্ত্রীগণ তাদের নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামীর বেঁচে না থাকার প্রমাণ।
(৭৪) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে।
(৭৫) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে।
(৭৬) বেচা কেনার সময় জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লক্ষ টাকা হলে তদস্থলে এক লক্ষ এক টাকা দিতে হবে। যেমন, দেন মোহর (কাবীন) এর সময় করে থাকে, একলক্ষ এক টাকা ধার্য করা হয়।
(৭৭) বন্ধু মহলে কয়েকজন বসে গল্প-গুজব করছে, তখন তাদের মধ্যে অনুপস্থিত কাউকে নিয়ে কথা চলছে, এমতাবস্থায় সে উপস্থিত হলে, কেউ কেউ বলে উঠে ‘দোস্ত তোর হায়াত আছে।’ কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম।
(৭৮) হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুখ: আসে।
(৭৯) বাড়ি থেকে কোথাও জাওয়ার উদ্দেশে বেড় হলে সে সময় বাড়ির কেউ পেছন থেকে ডাকলে অমঙল হয়।
(৮০) স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়।
(৮১) বাছুর এর গলায় জুতার টুকরা ঝুলালে কারো কু দৃষ্টি থেকে বাচা যায়।
——————————————————————————————-
১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে।
২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না।
৩) কাউকে দেখে বলা- আপনার কথা হচ্ছিল আপনার হায়াত আছে।
৪) কোন বিশেষ পাখি দেখলে বা ডাকলে আত্মীয় আসবে মনে করা।
৫) বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার সময় খালি কলস ,কালো বিড়াল, ঝাড়ু দেখলে যাত্রা অশুভ।
৬) খাওয়ার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে খানা কুকুরের পেটে চলে যায়।
৭) ঘর থেকে বের হয়ে পিছন দিকে ফিরে তাকানো বা ডাকা অশুভ ।
৮) খানার সময় হেচকি উঠলে কেউ স্মরণ করছে মনে করা।
৯) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে শিয়ালের বিয়ে হয়। ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।
১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।
১২) বাসর ঘরে স্ত্রী নিকট দেন মোহর মাপ চেয়ে নিলেই চলে, দিতে হয় না।
১৩) খালি মুখে মেহমান ফেরত গেলে অমংগল হয়। কাউকে শুধু পানি দেয়া উচিত না।
১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল/লবন দিতে হয়।
১৫) পরীক্ষা পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। খেলে পরীক্ষায় ডিম (শুন্য) পায়।
১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।
১৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।
১৮) রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসলে জ্বর হবে।
১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না। রাতে গাছ থেকে ফল পাড়া উচিত না ।
২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না।
২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।
২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।
২৩) মহিলাদের বিশেষ দিন গুলোতে সবুজ কাপড় পড়তে হয়,তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না।
২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হয়।
২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না।
২৬) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।
২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।
২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই।
২৯) চোখে গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু ছোয়ালে সুস্থ হয়ে যায়।
৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
৩১) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে।
৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই।
৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই।
৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে।
৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না।
৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে।
৩৮) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।
৩৯) বাচ্চাদের শরিরে লোহা বা তাবিজ থাকতে হবে।
৪০) রুমাল দিলে ঝগড়া হয়। ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি ধার দেয়া যাবে না।
৪১) হোঁচট খেলে মনে করা ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।
৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।
৪৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই।
৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
৪৭) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই।
৪৮) রাতে কাক বা কুকুর ডাকলে বিপদ আসবে।
৪৯) শকুন ডাকলে, বিড়াল কাদলে মানুষ মারা যাবে। পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
৫০) কাউকে ধর্মের ভাই-বোন, বাবা-মা ডাকলেই আপন হয়ে যায়, পর্দা লাগে না।
———————————————————————————————————
● দোকানের প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নেই।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   আহলে কিতাব (ইহুদী-খৃষ্টান) বিষয়ক আয়াত

● পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।

● আঙ্গুলের ইশারায় কবর দেখালে সেই আঙ্গুল পঁচে যায়।

● নতুন বউকে শ্বশুর বাড়িতে নরম স্থানে বসতে দিলে বউয়ের মেজাজ নরম থাকে।

● বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ ‘সদকা’করতে হয়।

● কুকুরকে পা দিয়ে বাড়িতে গর্ত করতে দেখলে কারো মৃত্যুর আশঙ্কা আছে, এটা মনে করা।

● জোড়া কলা খেলে জমজ সন্তান জন্ম নেয়।

● রাতে নখ, চুল, দাঁড়ি গোফ ইত্যাদি কাটতে নেই।

● প্রথম সন্তান মারা গেলে পরের সন্তানের কান ফুটো করে দিতে হয়, তাতে সে দীর্ঘ হায়াত পায়।

● ভাই-বোন মিলে মুরগি জবাই করা যায় না।

● ঘরের ময়লা পানি রাতে ঘরের বাইরে ফেলতে হয় না, তাতে সংসারে অমঙ্গল হয়।

● ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পেছন থেকে ডাক দিলে তার যাত্রা অশুভ হয়।

● ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হয়।

● কোরআন শরিফ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল ‘সদকা’করতে হয়, না হলে মাথার চুল উঠে যায়।

● ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে তা ইঁদুরের গর্তে ফেলতে হয়, না হলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়।

● ভাঙ্গা কুলায় লাথি মারলে জমির ফসল কমে যায়।

● গর্ভবর্তী মহিলাকে এক কাতে শয়ন করতে নেই। এতে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হয়।

● ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পেছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ; তাতে যাত্রা ভঙ্গ হয় বা যাত্রা অশুভ হয়।

● রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
প্রচলিত ৭৭ কুসংস্কার, যা বর্জনীয়
● রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া ও ফল তোলা নিষেধ।

● ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হয়।

● ঘরের চৌকাঠে বসা, দরিদ্রতার লক্ষণ।

● মহিলাদের বিশেষ দিনে সবুজ কাপড়ের কিছু একটা পড়তে হয় এবং তাদের হাতের কিছু খাওয়া যায় না।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   মুনাফিক বিষয়ক আয়াত

● বিধবা নারীকে অবশ্য অবশ্যই সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।

● ভাঙা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না, তাতে অমঙ্গল হয়, চেহারার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়।
● ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসে, আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসে।

● নতুন কাপড় পরিধান করার আগে তা আগুনে ছ্যাঁকা দিতে হয়।

● নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাতে নেই।

● গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাফ চাইতে হয়।

● আশ্বিন মাসে কোনো নারী বিধবা হলে তার আর কোনো দিন বিয়ে হয় না।

● সোমবারের দিন কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ।

● রাতের কাউকে সুঁই-সূতা দিতে নেই।

● গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে তা সেলাই করে ব্যবহার করতে মানা।

● খালি ঘরে সন্ধ্যায় বাতি দিতে হয়, না হলে বিপদ অনিবার্য।

● নবী করিম সা.-এর নাম শুনলে হাতে চুম্বন খাওয়া, তদ্রুপ মক্কা-মদিনার ছবি দেখলে চুমো খাওয়া।

● গর্ভবতী মহিলার জন্য কোনো কিছু কাটাকাটি কিংবা জবাই করা নিষিদ্ধ, তাতে বাচ্চা ঠোঁট কাটা জন্ম নেয়।

● পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়।

● বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সামনে দিয়ে খালি কলস নিয়ে কেউ গেলে বা খালি কলস পড়লে যাত্রা অশুভ হয়।

● ছোট বাচ্চাদের শরীরে লোহা জাতীয় কিছু বেঁধে দিতে হয়, তাতে সে দুষ্টু জ্বীন-শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।

● রুমাল, ছাতা, হাতঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার দিতে হয় না।

● হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে মনে করা হয়।

● হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে বলে মনে করা।

● নতুন বউ কোনো ভালো কাজ করলে তা শুভ লক্ষণ বলে মনে করা।

● ইষ্টি কুটুম পাখি ডাকলে বলা হয় আত্মীয় আসবে।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   রমাদান মাসে শয়তান শিকল বন্দী থাকে তবুও কেন মানুষ পাপ কাজ করে? বিস্তারিত জেনে নিন

● তিন রাস্তার মোড়ে বসতে মানা, তাতে বংশ উজাড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

● পর পর কয়েক সন্তান মারা যাওয়ার পর ছেলে হলে বড়শি পুড়ে তার কপালে দাগ দেয়া দরকার।

● খাওয়ার সময় ঢেঁকুর আসলে অথবা খাবার আটকে গেলে কেউ তাকে স্মরণ করছে বা গালি দিচ্ছে মনে করা।

● কাকের ডাক বিপদের পূর্বাভাস মনে করা।

● শকূন ডাকলে বা দেখলে কেউ মারা যাবে, এটা মনে করা।

● অনুরূপভাবে পেঁচার ডাককেও বিপদের কারণ মনে করা।

● মৃতের বাড়িতে ৩ দিন পযর্ন্ত মাছ-গোশত না খাওয়া, বাধ্যতামূলক নিরামিষ খাওয়া উচিত।

● দুজনের কথার ফাঁকে টিকটিকির আওয়াজকে কথার সত্যায়ন মনে করা।

● কারো মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দেয়া আবশ্যক মনে করা, না হলে মাথায় শিং গজায়- এমনটা ভাবা।

● পুরুষের বুকে লোম থাকা স্ত্রীকে ভালোবাসার পরিচায়ক মনে করা।

● নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত এক পদ দিয়ে খাওয়ানো।

● নতুন বউকে শ্বশুরালয়ে কমপক্ষে আড়াই দিন অবস্থান করতে হয়।

● পাতিলে ভাত খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।

● কবরের খোদাইয়ের সময় প্রথম কোপের মাটি রেখে দেয়া।

● গরুর বাছুরের গলায় জুতার টুকরা ঝুলিয়ে দিলে সেটা মানুষের কুদৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকে।

● দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত বাড়ি থেকে চাল উঠিয়ে তা রান্না করে কাককে খাওয়ানো ও নিজেও খাওয়া।

● সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাড়ু দেয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়ার জন্য কাউকে কোনো কিছু দেয়া নিষেধ।

● রাতে কোনো কিছুর লেনদেন করা ভালো নয়।

● সকালে দোকান খোলে নগদ বিক্রি না করা পর্যন্ত কাউকে বাকি দেয়া নিষেধ, তাহলে সারাদিন শুধু বাকিই বিক্রি করতে হয়।

● দাঁড়িপাল্লা কিংবা মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সেটাকে সালাম করতে হয়, না হলে ঘরের লক্ষ্মী চলে যায়।

● হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুঃখ আসবে মনে করা।

● রাতে কাউকে চুন দিতে হলে তখন চুনকে চুন না বলে দই বলতে হয়।

● রাস্তায় চলা সময় হোঁচট খেলে পিছিয়ে পুনরায় চলা শুরু করতে হয়।

● ফলবান বৃক্ষ বা বাগানে মানুষের বদ নজর এড়াতে মাটির পাতিলে সাদাকালো রং মেখে তা ঝুলিয়ে রাখতে হয়।

● বিনা ওজুতে বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে শরীরের পশম পড়ে যায়।

● সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা কিছু কাটলে গর্ভের সন্তান নাক-কান বা ঠোঁট কাটা অবস্থায় জন্ম নেয়।

● মহিলাদের হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হয়।

● স্ত্রীর নাকে নাক ফুল পরিধান স্বামীর জন্য মঙ্গলজনক মনে করা।

● দা, কাঁচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে তা সেলাম করা। না হলে ক্ষতির আশঙ্কা আছে মনে করা।

● স্বামীর নাম মুখে বলা যাবে না এতে স্বামীর অমঙ্গল হয়।

● নতুন বউকে বাপের বাড়ি থেকে ধান এনে স্বামীর বাড়ির গোলায় রাখা।

● ঢেঁকির ওপর বসে আহার করলে বউ মারা যায় বলে মনে করা।

● এছাড়া এলাকাভেদে আরও অনেক কুসংস্কারের প্রচলন রয়েছে। আমাদের উচিত এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা। আল্লাহতায়ালা সবাইকে প্রচলিত এ সব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন। সূত্র: ইন্টারনেট।

MuslimPoint Organization

About MuslimPoint Organization

MuslimPoint একটি অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থাগার, ব্লগিং, কুরআন, হাদিস, কুইজ এবং বিষয় ভিত্তিক রেফারেন্স প্ল্যাটফর্ম।

View all posts by MuslimPoint Organization →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *