রাজারবাগের পীর এর ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ
তার ঈমান বিধ্বংসী কয়েকটি আক্বীদা
১. সে নিজের নামের আগে-পরে প্রায় ৫২টি উচ্চ অর্থ সম্পন্ন খেতাব সংযুক্ত করেছে। সে বলে, এর মধ্য হতে অনেকগুলো খেতাব তাকে দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা। বাকিগুলো দিয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম। (নাঊযুবিল্লাহ)
২. নিজেকে ইমামুস সিদ্দীকীন অর্থাৎ সিদ্দীকগণের ইমাম বলে থাকে এবং এর মাধ্যমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের ঐকমত্যের ভিত্তিতে উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি. এর চেয়েও উর্ধে নিজেকে স্থান দিয়ে থাকেন। কাজেই তার ভণ্ড হওয়ার জন্য এ উপাধিই বড় প্রমাণ।
৩. সে ‘হাবীবুল্লাহ’ খেতাব ব্যবহার করেছে। অথচ ‘হাবীবুল্লাহ’ বলতে একমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বোঝানো হয়।
৪. তার খেতাবগুলোর মধ্যে কুফরী জ্ঞাপক খেতাবও রয়েছে। যেমন ‘কাইয়ূমুয যামান’ খেতাবটি আল্লাহ তা‘আলার নাম ‘কাইয়ূম’ থেকে নেয়া, যার অর্থ হচ্ছে ‘জগতের ধারক ও রক্ষক’। তাহলে ‘কাইয়ূমুয যামান’ অর্থ দাঁড়াচ্ছে যামানার রক্ষক। এ কথাটি কেবল আল্লাহ তা‘আলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অন্য কারো ক্ষেত্রে নয়। কোন মাখলূক কাইয়ূম হতে পারে না। হলে আব্দুল কাইয়ূম (জগতের রক্ষকের বান্দা) হতে পারে। সুতরাং কোন মানুষের জন্য নিজেকে সংশ্লিষ্ট অর্থের ধারক মনে করে এমন উপাধি গ্রহণ নিঃসন্দেহে কুফরী।
৫. মাসিক ‘আল-বাইয়িনাত’ সম্পর্কে সে এত বাড়াবাড়ি করেছে যে, ‘আল-বাইয়িনাত’ জুলাই ১৯৯৯ সংখ্যার ১৪৩ পৃষ্ঠায় লিখেছে, আল্লামা রূমী রহ. এর মসনবী শরীফকে যেমন ফার্সী ভাষার কুরআন শরীফ বলা হয়, তদ্রুপ আল-বাইয়িনাতও যেন বাংলা ভাষার কুরআন শরীফ। (নাঊযুবিল্লাহ)। অথচ কুফরী আক্বীদা সম্বলিত পত্রিকা আল বাইয়িনাতকে কুরআন বলা নিঃসন্দেহে কুফরী কথা।
৬. মাসিক ‘আল-বাইয়িনাত’ পত্রিকায় উলামায়ে কেরাম সম্পর্কে এমন গালি-গালাজ লেখা হয়, যা কোন ভদ্রতা ও শালীনতার আওতায় পড়ে না।
অথচ গালি-গালাজ করা ফাসেকী ও হারাম। হাদীসে বলা হয়েছে, سباب المسلم فسوق অর্থাৎ মুসলামনকে গালি দেয়া ফাসেকী।