পর্ব ১ঃ
বিদআত হলো ইবাদাতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু আমল করা যেটা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয়।বিদআতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।কারণ বিদআত করলে রাসূল(ছঃ) কে অপমান করা হয়।
সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকাঃ
<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে বা করলে বিদআত হয় । –>
১. ঈদ-ই মিলাদুন্নবী পালন করা।
২.সকল মিলাদ।(কারোর মৃত্যুর পর তার জন্য মিলাদ/চল্লিশা/কুলখানি করলে বিদআত হয় আর দিন নিদিষ্ট করে যেমন চল্লিশা মরার ৪০ দিন পর করা হয়, এমন দিন নিদিষ্ট করে করলে শিরক + বিদআত দুটিই হবে)
৩.শব-ই বরাত পালন ও এর উদ্দেশ্যে রোজা থাকা।
৪. শব-ই মিরাজের সালাত বা সাওম বা এ উপলক্ষে কোন ইবাদাত করা।
৫. মৃত ব্যাক্তির জন্য- কুর’আন পড়া(মাদ্রাসা/হাফিজ খানা থেকে হুজুর/ছাত্র দিয়ে বা নিজে), কুলখানি, চল্লিশা, দু’আর আয়োজন, সওয়াব বখশে দেয়া।
৬. জোরে জোরে চিল্লিয়ে জিকির করা।
৭. হাল্কায়ে জিকির,ইসকের জিকির লাফালাফি,নাচানাচি জিকির।
৮. প্রচলিত/তথাকথিত পীর-মুরীদি মানা বিদাত ও শিরক।
৯. নামাজে মুখে মুখে উচ্চারণ করে নাওয়ায়তুয়ান বলে নিয়্যাত পড়া।(মনে রাখবেন নিয়াত করতে হয়। পড়তে হয় না। তাই নিয়াত মনে মনে করাই সুন্নত। কোন নিদিষ্ট শব্দ (যেমন নাওয়ায়তুয়ান) বলে নিয়াত করা যাবে না)।
১০. প্রসাবের পর ঢিলা কুলুখ নিয়ে ৪০ কদম হাঁটা, কাঁশি দেয়া উঠা বসা করা,লজ্জাস্থানে হাত দিয়ে হাটাহাটি ইত্যাদি নির্লজ্জতা।
১১. জায়নামাজের দুআ পড়া
১২.কবরে হাত তুলে সবাই একএে দূ’আ করা। ১৩.খতমে ইউনুস,তাহলীল, খতমে কালিমা, বানানো দরুদ পড়া, এবং যত প্রকার তাজবীহ খতম আছে সবই বিদাত, তাজবীহ দানা গননা করাও বিদাত।
১৪.১৩০ ফরজ মানা।
১৫. ইলমে তাসাউফ বা সুফীবাদ মানা।
১৬.জন্মদিন, মৃত্যুদিবস,মা, বাবা দিবস বিবাহবার্ষিকী, ভ্যালেন্টাইন ডে, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি দিবস পালন করা।
১৭.আল্লাহকে “খোদা” বলা (কেননা খোদা শব্দে শিরক এর গন্ধ আছে) ।
১৮. অজুতে ঘাড় মাসেহ করা
–>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকো। নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”
তাসবিহ গণনা বিদাত না। তাসবিহ গণনা সুন্নত খেলাফ
,তসবি গননা করা, ১৩০ ফরজ মানা,
রাসুল স: কি হাজির ও নাজির? দলিল প্রামান সহ জানাবেন প্লিজ্জ