সুরেশ্বরী পীর এর ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ
তাদের আক্বীদা-বিশ্বাসের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক আক্বীদা হচ্ছে,
১. পীরের নিকট দীক্ষিত না হইলে কোন ইবাদত কবুল হয় না।
এখানে বাইআত হওয়াকে ইবাদত-বন্দেগীর জন্য শর্ত তথা ফরয করা হয়েছে। অথচ কোন কিছুকে ফরয সাব্যস্ত করতে হলে কুরআন-হাদীসে স্পষ্ট বর্ণনা থাকা আবশ্যক, যা এখানে অনুপস্থিত। বাইআত হওয়াকে উলামায়ে কেরাম সুন্নাত বলেছেন। অতএব পীর ধরাকে ফরয বলা কোন দলীল ছাড়া শরী‘আতের মধ্যে অতিরঞ্জন করা, যা শরী‘আত বিকৃত করার ন্যায় জঘন্য অপরাধ। হাদীসে আছে, عن عائشة رضي الله عنها، قالت : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من أحدث في أمرنا هذا ما ليس فيه، فهو رد.
অর্থ: হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দীনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত বিষয় গ্রহণযোগ্য নয়।
২. চন্দ্রপুরীর মত ভণ্ডপীর সুরেশ্বরীর মতেও কামেল ওলীর কোন ইবাদত-বন্দেগীর প্রয়োজন হয় না।
৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম গায়েব জানেন তথা তিনি সকল অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী। সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সব কিছুই তাঁর চোখের সামনে বিদ্যমান।
খণ্ডন: কুরআনে কারীমের বিভিন্ন আয়াতে আছে, অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার কাছেই আছে। এটা আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ গুণ। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ
অর্থাৎ হে নবী! আপনি বলে দিন, যত মাখলুক আসমান এবং যমীনে রয়েছে, তাদের কেউ গায়েব জানে না একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া। আর (এ কারণেই) তারা জানে না, তারা কবে পুনরুত্থিত হবে?
এ তো দেখছি মিথ্যাবাদীদের হাট-বাজার। এসব পীরদেরও তো আছে লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ।