সূরা ইখলাস তিনবার পড়লে সত্যিই কি এক খতম কুরআন তেলোয়াতের সওয়াব হয়? সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান হাদিসটির সঠিক ব্যাখ্যা

সূরা ইখলাম পাঠ
সূরা ইখলাস তিনবার পড়লে সত্যিই কি এক খতম কুরআন তেলোয়াতের সওয়াব হয়? সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান হাদিসটির সঠিক ব্যাখ্যা

পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর পবিত্র কালাম। মহান আল্লাহ বলেন,এটি এক বরকতময় কিতাব, এটি আমরা আপনার উপর অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে’ (সূরা ছোয়াদ : ২৯)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘আমরা আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, সবকিছুর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা হিসাবে এবং মুসলিমদের জন্য হেদায়াত, রহমত ও সুসংবাদ স্বরূপ’ (সূরা নাহল ৮৯, ১০২)। এজন্য প্রত্যেকটি অক্ষর, শব্দ, বাক্য, আয়াত ও সূরা, রহমত, বরকত, হেদায়াত, প্রশান্তি, মর্যাদাপূর্ণ ও নেকীতে পরিপূর্ণ। যখনই আল্লাহর কালাম তেলাওয়াত করা হয়, তখনই এগুলো নাযিল হয়। এতে মুমিন ব্যক্তির ঈমানও বৃদ্ধি পায়। কারণ কুরআন বরকতপূর্ণ। যে অন্তর কুরআন মুখস্থ করেছে, আল্লাহ তাকে শাস্তি দিবেন না(দারেমী, হা/৩৩১৯, সনদ সহীহ)। কুরআন তেলাওয়াতে প্রত্যেক হরফের বিনিময়ে রয়েছে দশ নেকী।(মুসতাদরাক হাকিম,হা/২০৮০,সনদ সহীহ)আবার যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করে এবং তা তার জন্য কঠিন অনুভূত হয়, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব’।(সহীহ মুসলিম,হা/৭৯৮) আল্লাহর কালাম হিসেবে মর্যাদার দিক থেকে পুরো কুরআন এক সমান। তবে ভাব বা মর্মের দিক থেকে কোনো কোনো আয়াত বা সূরার ফযিলত অন্যটির তুলনায় বেশি বলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জানিয়েছেন। এরকম মর্যাদাপূর্ণ একটি সূরা হচ্ছে সূরা ইখলাস। সূরাটিতে আল্লাহ তাঁর পরিচয় অত্যন্ত অল্প বাক্যের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরেছেন।সূরাটির ফজিলত সম্পর্কে যে বর্ননাগুলো পাওয়া যায় তার কোনটিতেই বলা হয়নি সূরা ইখলাস তিনবার পড়লে এক খতম কুরআন তেলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যায়। একবার সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করলে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সওয়াব পাওয়ার ব্যাপারে কোনো সহীহ হাদীস নেই। একটি হাদীস থেকে এই মর্ম নেয়ার সামান্য সম্ভাবনা ছিল মাত্র, তবে সহীহ মুসলিমের ১৭৭২ নং হাদীসের মাধ্যমে এই সম্ভাবনাটির অবকাশ দূর হয়ে গেছে। তথাপি দূরবর্তী সম্ভাবনা অনুযায়ী আমরা যদি মেনে নেই যে, একবার সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করলে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পরিমাণ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায় তবে একথা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, তিনবার সূরাটি তেলাওয়াত করলে এক তৃতীয়াংশ তিনবার পড়ার সওয়াব পাওয়া যাবে। পূরো কুরআন একবার পড়ার সওয়াব পাওয়া যাবে বলে কোনো ইঙ্গিত হাদীসে নেই। বিষয়টি সহজে বোঝার জন্য মনে করুন, আপনার একটি কাজ আছে। যে কাজের তিনটি অংশ রয়েছে। এই কাজটি পূর্ণ করার উপর আপনাকে ১০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তবে একটি অংশ করলে ২০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এখন কেউ যদি একটি অংশ তিনবার করে এবং এমনটি করার সুযোগ থাকে তবে আপনার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সে ৬০ টাকা পাওয়ার কথা। এখন যদি সে দাবী করে যে, মোট অংশ তিনটি, আমি একটি অংশ তিনবার করেছি, সুতরাং আমি কাজটি পূর্ণ করেছি, তাই যুক্তির দাবী হলো আমাকে ১০০ টাকা দেওয়া হোক, এখানে আপনি তার এই যুক্তিকে কীভাবে দেখবেন? ঠিক তদ্রূপ একবার সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করলে এক তৃতীয়াংশের সওয়াব মেনে নিলেও তিনবার পড়লে এক খতম কুরআনের সওয়াব পাওয়া যাবে এমন কথা যেমন নির্ভরযোগ্য হাদীস বহির্ভূত, তেমনি যুক্তি বহির্ভূত।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   যে রহস্যময় ধর্মীয় সংগঠনে ৯০৯ জন একই সাথে আত্নহত্যা করে | পিপলস টেম্পল (Peoples Temple)

সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান হাদিসটির সঠিক ব্যাখ্যা কি?

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ(ﷺ) সবাইকে বললেন, তোমরা সকলে জমা হও। আমি তোমাদের নিকট এক তৃতীয়াংশ কুরআন পাঠ করব। তখন সবাই জমা হ’ল। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) বেরিয়ে এসে সূরা ইখলাস পাঠ করলেন। তারপর ভিতরে গেলেন। তখন আমরা একে অপরকে বলতে লাগলাম,আমি মনে করি এটি এমন একটি খবর, যা তাঁর নিকট আসমান থেকে এসেছে’। অতঃপর রাসূল (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং বললেন, আমি তোমাদেরকে বলেছিলাম এক তৃতীয়াংশ কুরআন শুনাব। শুনো এ সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান’।[বুখারী হা/৫০১৫; মুসলিম হা/৮১২; ছহীহুল জামে‘ হা/১৯৭; কুরতুবী হা/৬৫২৪]

অপর বর্ননায় আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি এক ব্যক্তিকে সূরা ইখলাস বারবার পড়তে দেখল। তখন ঐ ব্যক্তি পরদিন সকালে রাসূল (ﷺ)-এর কাছে এসে বিষয়টি পেশ করল। যেন লোকটি সূরাটি পাঠ করাকে খুব কম মনে করছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জবাবে তাকে বললেন ‘যার হাতে আমার জীবন, তাঁর শপথ করে বলছি, নিশ্চয়ই এটি এক-তৃতীয়াংশ কুরআনের সমান’।[বুখারী হা/ ৫০১৩, ৬৬৪৩, ৭৩৭৪; আবুদাঊদ হা/১৪৬১; নাসাঈ হা/১০০৩।)

উপরোক্ত হাদিসটির ব্যাখ্যা:

সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান- এ কথার ব্যাখ্যায় মনীষীগণ বিভিন্ন মতামত করেছেন। একদল বলেন, কুরআনে তিনটি বিষয় আলোচিত হয়েছেঃ
১. আহকাম
২. ঘটনা বা ইতিহাস
৩. তাওহীদ বা একত্ববাদ।
অর্থাৎ গুরুত্ব ও নেকীতে এক তৃতীয়াংশের সমান। এটি তিনবার পড়লে পুরো কুরআন পাঠ করার বা একবার পড়লে ১০ পারা পাঠ করার সমতুল্য হবে না। যেমন সালাতে তিনবার পড়লে তা সূরা ফাতেহা পাঠের জন্য যথেষ্ট হবে না।কেননা হাদীসে তিনবার পড়লে এক খতম কুরআন তেলোয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে এমনটি বলা হয়নি বরং বলা হয়েছে এক তৃতীয় অংশের সমান।এর মর্মার্থ হলো, এ সুরাটি যে ব্যক্তি বুঝে পাঠ করবে তার অন্তরে আল্লাহর নাম ও গুণাবলি গেঁথে যাবে, ফলে সে শিরকি চিন্তাধারা থেকে পরিচ্ছন্ন থাকবে। অর্থাৎ সুরা ইখলাস পাঠের ফলে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের আমল তার মধ্যে পাওয়া গেল। এর অর্থ এই নয় যে একবার সূরা পাঠ করলে এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করা হলো এবং তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন পাঠ করা হলো এবং এক খতমের সওয়াবপ্রাপ্ত হবে।(মিরক্বাতুল মাফতীহ: ৫/২৫-২৬; তুহফাতুল আহওয়াযী: ৮/২০৭-২০৮)

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   অন্যান্য কিছু প্রয়োজনীয় আয়াত

ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন,কুরআনের বিষয়বস্তু মূলত তিনটি: আহকাম বা জীবন বিধান, আখবার বা সংবাদসমূহ, তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের বিবরণ। সূরা ইখলাসে তাওহীদের আলোচনা বা আল্লাহর একত্ববাদকে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একে এক- তৃতীয়াংশ বলেছেন।(ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী, প্রাগুক্ত অধ্যায়, ৯/৫৯)

ইমাম নববী (রহঃ)বলেন যে, কুরআনের অর্থ তিন ভাগে বিভক্ত। ঘটনাবলী, আহকাম, আল্লাহর গুণাবলী। সূরা ইখলাসটি আল্লাহর গুণাবলীতে বিশেষিত।এভাবেও বলা যায় যে, পুরো কুরআনের আলোচনা তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাত নিয়ে। যে কোনো বিষয় এ তিনটির কোনোটির সাথে সম্পৃক্ত। আর সূরা ইখলাসে তাওহীদের আলোচনা অত্যন্ত নিপুণভাবে করা হয়েছে, তাই এ সূরাকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বলা হয়েছে‌।
(ইমাম নাওয়াওয়ী, মুসলিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ)
আলেমগণের মধ্যে কেউ সমতুল্য অর্থটি সওয়াব অর্জনের ক্ষেত্রে নেন এবং বলেন, এক তৃতীয়াংশ হওয়ার অর্থ এই সূরাটি পড়ার সওয়াব পাঠকের জন্য ঐ ব্যক্তির সমান হবে যে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়েছে। এটাও বলা হয়ে থাকে, অতিরিক্ত সওয়াব ব্যতিরেকে মূল সওয়াবের এক তৃতীয়াংশের সমান। তবে এই দাবীর সপক্ষে কোনো দলীল নেই।’’(ফাতহুল বারী, প্রাগুক্ত অধ্যায়, ৯/৬০)

ইমাম কুরতুবী বলেন, কোন কোন বিদ্বান বলেছেন, ‘সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান মূলতঃ ‘ছামাদ’ নামটির কারণে। কেননা এ নামটি কুরআনের অন্য কোথাও নেই। অনুরূপভাবে ‘আহাদ’ নামটিও’।

আরও বলা হয়েছে যে, কুরআন তিনভাগে নাযিল হয়েছে। একভাগে ‘আহকাম’ (الأحكام) তথা আদেশ-নিষেধসমূহ। একভাগে জান্নাতের সুসংবাদ ও জাহান্নামের দুঃসংবাদসমূহ (الوعد والوعيد) এবং অন্যভাগে আল্লাহর নাম ও গুণসমূহ (الأسماء والصفات)। শেষোক্ত ভাগটি একত্রিত হয়েছে অত্র সূরাতে’। ইমাম কুরতুবী বলেন, এ ব্যাখ্যাটি সমর্থিত হয় সহীহ মুসলিমে বর্ণিত অপর একটি হাদীস দ্বারা। যেমন-

হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّ اللهَ جَزَّأَ الْقُرْآنَ ثَلاَثَةَ أَجْزَاءٍ فَجَعَلَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ جُزْءًا مِنْ أَجْزَاءِ الْقُرْآنِ – ‘আল্লাহ কুরআনকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। অতঃপর এ সূরাটিকে একটি ভাগে পরিণত করেছেন’।[মুসলিম হা/৮১১;ও ১৭৭২ আহমাদ হা/২৭৫৩৮।]

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   জেনে নিই হজ্জ ও উমরা এর বিস্তারিত(পর্ব ৬)।

তবে সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.। তার ব্যাখ্যাটি বুঝতে হলে একটি বিষয় বুঝতে হবে। আরবীতে জাযা (جزاء) এবং ইহযা (اجزاء) শব্দ দু’টির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ‘জাযা’ বলা হয় আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে কোনো কাজের সওয়াব বা প্রতিদানকে আর ইজযা’ বলা হয় কোনো কাজ অন্য কাজ থেকে অমুখাপেক্ষি করে দেয়া এবং অন্য কাজের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাওয়া। শেষোক্ত ব্যাখ্যা অনুযায়ী (অর্থাৎ সূরা ইখলাস সওয়াবের ক্ষেত্রে কোরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান) উক্ত হাদীসে সূরা ইখলাস এর জাযা বা সওয়াব কোরআনের এক- তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়েছে, একথা বলা হয় নি সূরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ পড়া থেকে অমুখাপেক্ষি করে দেবে বা এক-তৃতীয়াংশের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। বিষয়টি একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝা যেতে পারে। কেউ যদি হারাম শরীফে এক নামায পড়ে তাহলে এক লক্ষ নামাযের সওয়াব পাবে তাই বলে কেউ কি এমন মনে করবে যে, যেহেতু এক লক্ষ নামাযের সওয়াব পেয়েছি সুতরাং দশ বছর নামায না পড়লেও চলবে!! কেউ কি এমন মনে করবে? কখনো নয়। তেমনিভাবে সূরা ইখলাস এবং কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের বিষয়টি।শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. আরো বলেন, মাল যেমন বিভিন্ন প্রকারের হয় তেমনিভাবে সওয়াবও বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। মালের বিভিন্ন প্রকার যেমন, খাদ্য, পানীয়, বস্ত্র, বাসস্থান, নগদ টাকা। কারো কাছে যদি এগুলোর কোন এক প্রকারের হাজার দিরহাম মূল্যের মালও থাকে তবুও সে অন্যগুলো থেকে অমুখাপেক্ষি হতে পারে না। যেমন কারে কাছে খাদ্য থাকলে সে বস্ত্র এবং বাসস্থানের মুখাপেক্ষি থাকবে আর শুধু নগদ টাকা থাকলে অন্যান্য সবগুলোর মুখাপেক্ষি থাকবে। তেমনিভাবে সূরায়ে ফাতেহার মধ্যে যে উপকারিতা রয়েছে; ছানা, দুআ ইত্যাদি মানুষ যেগুলোর মুখাপেক্ষি, সূরা ইখলাস পাঠের দ্বারা তা অর্জিত হবে না।তাঁর কথার সারাংশ হলো সূরা ইখলাস যতবার পড়বে কোরআন পাঠের বিভিন্ন প্রকারের সওয়াবের মধ্যে এক প্রকার সওয়াব এবং উপকারিতা অর্জিত হবে। পুরো কোরআন পড়ার সমান হওয়ার প্রশ্নই আসে না।(মাজমূউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া: ১৭/৭৪-৭৫; ফাতহুল বারী: ৮/৬৯০-৬৯১)

(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।

MuslimPoint Organization

About MuslimPoint Organization

MuslimPoint একটি অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থাগার, ব্লগিং, কুরআন, হাদিস, কুইজ এবং বিষয় ভিত্তিক রেফারেন্স প্ল্যাটফর্ম।

View all posts by MuslimPoint Organization →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *