হিন্দু ধর্মেই চূরান্ত বা শেষ বা সত্য নবী মুহাম্মাদ (স) , ধর্মগ্রন্থ থেকে ভবিষ্যতবাণী ও ব্যাখ্যা এবং দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত

হিন্দুধর্ম ভুল ভ্রান্তি সাদৃশ্য প্রতিমা বা মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ হিন্দু ধর্মেই গরুর মাংস বৈজ্ঞানিক ভুল মোহাম্মাদ (স:) সনাতন চূরান্ত কলকি অবতার কলি বেদ শ্রীমদ্ভগবদগীতা বা গীতা মহাভারত পুরাণ উপনিষদ রামায়ণ ঋগ্বেদ যজুর্বেদ সামবেদ অথর্ববেদ ভারত হিন্দুস্থান দেবতা দেবী প্রসাদ গঙ্গা
হিন্দু ধর্মেই চূরান্ত বা শেষ নবী মোহাম্মাদ (স:) ,ব্যাখ্যা এবং দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত

এটা শুধু আমি বলছিনা , এটা বলছে আপনার ধর্মগ্রন্হ আপনার গ্রন্হ পরে দেখুন ভবিষ্য পুরানা পর্ব-৩ , খন্ড-৩ , অধ্যায়-৩, শ্লক ৫-৮, ;ভবিষ্য পুরানা পর্ব-৩ , খন্ড-৩ , অধ্যায়-৩, শ্লক ১০-২৭ , নবীজী মহম্মদ (স:) সম্পর্কে বলছে । অথর্ব বেদ বুক নং ২০, হিম নং ১২৭, অনুচ্ছেদ ১-১৪ ; অথর্ব দেব বুক নং ২০, হিম নং ২১, অনুচ্ছেদ নং ৬-৭ ; ঋকবেদ বুক নং ১, হিম নং ৫৩, অনুচ্ছেদ ৯; নবী মহম্মদ (স:) সম্পর্কে বলছে তাকে বলা হয়েছে আহম্মদ , আহম্মদ মানে যে প্রশংসা করে প্রশংসা কারীকে বলা হয় আহম্মদ । আহম্মদ নামে তার উল্লেখ আছে । যদি পরেন সামবেদ উত্তরচিক মন্ত্র নং ১৫০০, সামবেদ ইন্দ্রা অধ্যায় ২ মন্ত্র নং ১৫২; যযুর বেদ অধ্যায় নং ৩১, অনুচ্ছেদ ১৮; ঋকবেদ অধ্যায় ৮, হিম নং ৬, মন্ত্র নং ১০ ; অথর্ববেদ অধ্যায় ৮ , হিম নং ৫, মন্ত্র নং ১৬; অথর্ব বেদ বুক নং ২০, হিম নং ১২৬, অনুচ্ছেদ ১৪; তাকে বলা হয়েছে আহম্মদ নরশংসা , নরশংসা মানে – নর মানে মানুষ আর শংসা মানে প্রশংসা , অর্থাৎ যে একজন প্রশংসাকারী , যদি এটা আরবি করেন হবে মহম্মদ । তার কথা নরশংসা নামে অনেক জাইগায় আছে ঋকবেদ বুক নং ১, হিম নং ১৩, মন্ত্র নং ৩; ঋকবেদ বুক নং ১, হিম নং ১৮ , মন্ত্র নং ৯; ঋকবেদ বুক নং ১, হিম নং ১০৬, মন্ত্র নং ৪; ঋকবেদ বুক নং ১, হিম নং ১৪২, মন্ত্র নং ৩; ঋকবেদ বুক নং ২ , হিম নং ৩, মন্ত্র নং ২; ঋকবেদ বুক নং ৫, হিম নং ৫, মন্ত্র নং ২; ঋকবেদ বুক নং ৭, হিম নং ২, মন্ত্র নং ২; যযুর বেদ অধ্যায় ২০, অনুচ্ছেদ ৩৭, ৫৭ ; যযুরবেদ ২১ , অনুচ্ছেদ ৩১, ৫৫; যযুরবেদ অধ্যায় ২৮ , অনুচ্ছেদ ২,১৯, ৪২ । শুধু হিন্দু ধর্ম গ্রন্হ থেকে এই ভাবে আনেক রেফারেন্স দিয়ে যেতে পারবো সর্বশেষ এবং চুরান্ত নবী মহম্মদ (স:) সম্পর্ক । তার কথা কলকী পুরানায় বলা হয়েছে কলকী অবতার হিসাবে , ভগবত পুরানার ১২ নং খন্ডের ২য় অধ্যায় এর ১৮-২০ অনুচ্ছেদ এ যে তার জন্ম হবে বিষ্ণু ইয়াস এর ঘরে অর্থাৎ সামবালা শহরের প্রধান , তার নাম হবে কলকী অর্থাৎ প্রভু নেমে আসবেন , আরো উল্লেখ আছে যে তার থাকবে ৮টি অসাধারণ গুন , তিনি একটি সাদা ঘোড়াই চরবেন , ডান হাতে থাকবে একটি তরবাড়ি এবং তিনি দুরবৃতদের ধ্বংস করবেন , এছাড়াও ভগবত পুরানার প্রথম খন্ডের তৃতীয় অধ্যায়ের ২৫ অনুচ্ছেদ এ আছে – কলি যুগে যখন রাজারা হবে ডাকাত এর মতো , রাজারাই হবে ডাকাত তখন বিষ্ণু ইয়াসের ঘরে কলকী জন্ম নিবে । আরো উল্লেক আছে কলকী পুরানার ২য় অধ্যায়ের ৪নং অনুচ্ছেদ এ তার বাবার নাম হবে বিষ্ণু ইয়াস , কলকী পুরানার ২ য় অধ্যায় ৫ অনুচ্ছেদ এ আছে ৪জন সহচার তাকে সাহায্য করবে , কলকী পুরানার ২য় অধ্যায় এর ৭ নং অনুচ্ছেদ এ আছে যুদ্ধ ক্ষেত্রে তাকে বিভিন্ন দেবদুত বা ফেরাসতা তাকে সাহায্য করবে , কলকী পুরানার ২য় অধ্যায়ের ১১ অনুচ্ছেদ এ আছে তার জন্ম হবে বিষ্ণু ইয়াস এর ঘরে মাতা সুমতির গর্ভে , ১৫ অনুচ্ছে এ আছে তিনি মাসের ১২ তারিখ এ জন্মাবেন ,। এক কথায় কলকী অবতার নিয়ে আরো অনেক কথা বলা যায় ।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   পুরুষের জন্য লাল ও হলুদ রংয়ের পোশাক পরিধান করা কি সত্যিই হারাম? সঠিক তথ্য জেনে নিন

এক কথায় বলা যায় তার বাবার নাম বিষ্ণু ইয়াস যার অর্থ সৃষ্টি কর্তার পুজারী , মহম্মদ (স:) এর বাবার নাম আব্দুল্লাহ যার অর্থ সৃষ্টিকর্তার / আল্লাহর পুজারী ।
তার মায়ের নাম হবে সুমতি যার অর্থ শান্তিপূর্ণ অচনচল, মহম্মদ (স:) এর মায়ের নাম আমিনা যার অর্থ শান্তিপূর্ণ অচনচল ।
তার জন্ম হবে সামবালা শহরের একটি এলাকায় , সামবালা মানে শান্তিপূর্ণ একটি জায়গা আর মক্কাকে বলা হয় দারুল আমান শান্তিতে পরিপূর্ণ একটি জায়গা ।বলা আছে যে তিনি জন্মাবে সামবালা শহরের প্রধান ব্যাক্তির ঘরে , আমরা জানি মহম্মদ (স:) জন্মে ছিলেন মক্কার প্রধান ব্যাক্তির ঘরে ।
তিনি জন্মাবেন মাসের দ্বাদশ দিনে আমার জানি মহম্মদ ( স:) জন্মে ছিলেন রবিউল আওআল এর ১২ তারিখ জন্মে ছিলেন ।
পুরানেই বলা হয়েছে তিনিই হবে অন্তিম রিষি , তিনি হবে সর্ব শেষ রিষি , মহম্মদ (স:) সম্পর্কে পবিত্র কোরানে সরু আহযাব এর ৪০ নং আয়াত এ বলাِ
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। মুহাম্মদ (সা:) নুবয়াতের শেষ শীলমহর ।

পুরানে আরো বলা আছে তিনি আসমানী কিতাব পাবেন , সেটা পাবেন গুহার ভিতরে তারপর দক্ষিনে গিয়ে ফিরে আসবেন , আমরা জানি মহম্মদ (স:) প্রথম ওহি পেয়েছিলিন জাবলে নুরে বসে আন্দরে হীরা আলোর পাহারে তিনি দক্ষিনে মদিনায় গিয়ে আবার ফিরে আসেন ।
বালা আছে যে আর ৮ টি অসাধান গুন থাকবে এই গুন গুলোর নাম হলো – জ্ঞান ,আত্মসংজম,জ্ঞন বিতরন, ভ্রান্ত বংশ, সাহস,শক্তি , পর উপকার ও মহানুভবতা , আমরা জানি এই ৮ টা গুন মহম্মদ ( স:) এর ছিলেন ।
আরো আছে যে তিনি পুরো মানব জাতি কে পথ দেখাবান

কলকী পুরানার সুরা সাবার ২৮ নং আয়াত এ উল্লেখ আছে যে তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদ দাতা ।
আরো বলা আছে যে তার থাকবে একটি সাদা ঘোরা , আমরা জানি নবীজি মহম্মদ (স:) বুরাকে চরে ছিলেন অর্থাৎ সাদা ঘোড়াই চড়ে ছিলেন । আরো বলা আছে তার ডান হাতে থাকবে একটি তরবাড়ি , আমরা জানি নবীজী মহম্মদ (স:) যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তার সব গুলোই ছিল আত্মরক্ষার জন্য আত তিনি ডান হারে তরবারি ধরতেন।
বলা আছে ৪জন সহচার তাকে সাহায্য করবেন এখানে বলা হচ্ছে খলিফা রাসেদিনের কথা হজরত আবুবাক্কার, হজরত ওমর, হজরত ওসমান , হজরত আলি ।
বলা আছে তাকে দেবদুত সাহায্য করবে আমরা জানি কোরান থেকে সুরা আল ইমরানের ১২৩-১২৫ নং আয়াত এ আছে নবীজী মহম্মদ কে সাহায্য করে ছিলেন ফেরেশতা বদরের যুদ্ধে ।
এছাড়াও সুরা আল আনফানের ৮ ও ৯নং আয়াত এ আছে ।
এই সব ভবিষৎ বানী নির্দেশ করে সর্বশেষ নবী ও রাসুল মহম্মদ (স:) । যদি আপনি সত্যি আপনার ধর্মগ্রন্হকে বিশ্বাস করেন তাহলে বিশ্বাস করতে সর্বশেষ এবং চূরান্ত নবী মহম্মদ (স:)  ।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   "ডেকে লও রাসূলল্লাহ, রওজা পাকের কিনারে", সমাজে প্রচলিত বা জনপ্রিয় এই ইসলামিক গান/সঙ্গীত বা গজল বা নাশিদ এর মধ্যে ভুল-ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার
MuslimPoint Organization

About MuslimPoint Organization

MuslimPoint একটি অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থাগার, ব্লগিং, কুরআন, হাদিস, কুইজ এবং বিষয় ভিত্তিক রেফারেন্স প্ল্যাটফর্ম।

View all posts by MuslimPoint Organization →

2 Comments on “হিন্দু ধর্মেই চূরান্ত বা শেষ বা সত্য নবী মুহাম্মাদ (স) , ধর্মগ্রন্থ থেকে ভবিষ্যতবাণী ও ব্যাখ্যা এবং দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত”

  1. তাহলে হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোকেও তো আল্লাহর বাণী হিসেবে ধরতে হয়। অথচ সেটা তো মানবেন না। কী অদ্ভূত স্ববিরোধী রোগে আক্রান্ত আপনারা?

    1. হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো আল্লাহর বাণী কি না সে বিষয়ে কুরআন ও হাদিসে কিছু বলা হয় নাই । তাই আমরাও সরাসরি কিছু বলতে পারবো না ।
      এখন প্রশ্ন হলো তাহলে এই পোষ্ট টি করার দরকার কি ছিলো তাই না ?
      ১)
      এসো সে কথায় , যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই [3:64]
      এখন হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে বা মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ করা হয়েছে যেটা আমরা আমদের আগের পোষ্ট গুলোতে প্রমাণ করেছি । আবার এই পোষ্ট এ দেখালাম যে হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোতেই হিন্দু ধর্মেই চূরান্ত বা শেষ নবী মোহাম্মাদ (স:) ।
      এখন এই দুইটি বিষয় ইসলামের সাথে সাদৃশ্য । এ কারণে কোন হিন্দু ভাই যদি আপাতত আমাদের ও তাদের মধ্যে যেগুলো সাদৃশ্য শুধু সেগুলো মেনে নেই তাহলে সে মুসলিম হয়ে যাবে ইং-শা-আল্লাহ । কারণ কেউ যদি এক আল্লাহ ও শেষ নবী মোহাম্মাদ (স:) বিশ্বাস করে তাহলে সে মুসলিম । মানে সে আমাদের শাহাদাত মেনে নিলো । এজন্য সাদৃশ্যতা প্রমাণ করার জন্য এই পোষ্ট গুলো করা ।

      ২) যেহুতু হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো আল্লাহর বাণী কি না সে বিষয়ে কুরআন ও হাদিসে কিছু বলা হয় নাই । তাই আমরাও সরাসরি কিছু বলতে পারবো না । কিন্তু যদি ধরেও নিই ( আবারো বলছি , যদি ধরেও নিই ) যে হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো আল্লাহর বাণী তাহলেও এই হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো সম্পূর্ণ অবিকৃত নাই । বিকৃত হয়ে গিয়েছে । আর সব থেকে বড় কথা হলো শেষ নবী মোহাম্মাদ (স:) ও শেষ ধর্মগ্রন্থ কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার পরে বাকি সব কিছু রহিত বা বাদ হয়ে গিয়েছে । এজন্য মুসলিম রা শুধুমাত্র শেষ ধর্মগ্রন্থ কুরআন এ বিশ্বাস করে । আগেই বলেছি পোষ্টটি করা হয়েছে সাদৃশ্যতা প্রমাণ করার জন্য ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *