মানুষ নয়তো ব্যাঘ্র সিংহ
-মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক মাহমূদ
শিক্ষক (অবঃ), মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজ, মিরপুর, ঢাকা।
ব্যাঘ্র শেখায় শিকার ধরতে, পশুর রাজা হিংস্র হতে
সর্পের ট্রেনিং ছোবল মারতে, হায়েনার হাসি হাসতে।
শকুন বাঁকানো ঠোঁটে, কঠিন ঠোকর মারে
নিমিষেই ঝাঁকে জুটে, মরা জন্তু সাবাড় করে।
কুমির পারে বিরাট হা-তে, আস্ত হরিণ গিলতে
অক্টোপাস তার আঁকশিতে, জাপটে ধরে মারতে।
নিঃশব্দে মুহূর্তে ছিল, নিখুঁত পাঞ্জা হানে
মুরগির ব্যর্থ উড়াল, বাচ্চার মায়ার টানে।
অজান্তে জোঁক রক্ত চুষে, ধুমসে কুলে ওঠে
রক্তাল্প দেহে শেষে, রোগব্যধি জোটে।
শিয়াল পণ্ডিতের প্রশংসাতে, কাক যবে হা করে
কাকের মাংস তার মুখেতে, নিয়া দৌড় মারে।
যমীন-আসমানের মালিক আল্লাহ, অগণ্য সৃষ্টি যার
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সৃষ্টির মাঝে প্রমাণ তার।
জিন ও ইনসান শয়তান, মোদের পিছু লাগে
বিকৃতির জালে আটকায়, হুঁশ হয় না মরার আগে।
মানুষ নয়তো হিংস্র দানব, আদম-হাওয়ার বংশধর
শেষ নবী কুরআনকে জানব, উদ্দেশ্য সুসংবাদ ও সতর্কতার।
সিংহের ভয়ে বন্য গাধা, বাঁচতে প্রাণে পালায়
আল-কুরআন ওয়ালিদের বাধা, পাছে উস্তাদী হারায়।
কুরআনের আকর্ষণ হতে, বিকর্ষণ ঘটাতে
মুহাম্মাদ সেরা যাদুকর, প্রচার করে হজ্জ কাফেলাতে।
কুরায়েশ সর্দারবৃন্দ একদিন, আবু তালেবকে কয়
আপনার ভাতিজা মোদের, দেবদেবীকে গালি দেয়।
ধর্মের নিন্দা, মোদেরকে বোকা; বাপদাদাদের পথভ্রষ্ট কয়
এত্থেকে বিরত রাখুন, নয়তো শায়েস্তা করতে হয়।
সর্দার উতবা বিনয় কারে, মহানবীকে কয়
তুমি মোদের শিরোমণি, যদি মানো তয়।
তোমার মারাত্মক দাওয়াতে, জাতিতে বিভেদ
বাপদাদাদের করছো হেয়, মোদেরকে বেকুফ।
আপোস প্রস্তাবে তুমি, রাজি যদি হও
বিপুল সম্পদ তোমায়, নেতৃত্ব চাও তাও।
বাদশাহী নিশ্চয় দেব, আর তো কিছু নাই
যদি জিনের আছর লাগে, চিকিৎসা করাই।
সত্য যে হৃদয় মানে না, যে কান শোনে না
চোখও দেখে দেখে না, সেতো মানুষ না।
‘…উলা-ইকা কাল আন‘আম বালহুম, আযাল্লু…’