পর্ব ২ঃ
বিদআত হলো ইবাদাতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু আমল করা যেটা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয়।বিদআতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।কারণ বিদআত করলে রাসূল(ছঃ) কে অপমান করা হয়।
সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকাঃ
<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে বা করলে বিদআত হয় । –>
১)অপরের কাছে তাওবা পড়া
২)বাতেনী এলেম বা তাওয়াজ্জুহ মানা।
৩)অন্ধভাবে মাজহাব মানা বা অন্ধ তাকলিদ করা যেটা অনেক সময় ব্যক্তিপূজায় পরিণত হয় ও শিরকে পরিণত হয়।
৪)ওরস পালন করা।কবর পাকা, কবর সাজানো, লাইটিং করা।
৫)এমন দু’য়া বা দুরুদ পড়া যা হাদিসে নাই যেমনঃ দুরুদে হাজারী, দুরুদে লক্ষী, দুরুদে তাজ, ওজীফা, দুরুদে জালালী
৬) ওয়াজ/মাহফিলে মিথ্যা বানোয়াট হাসির গল্প বলে মানুষকে হাসানো
৭)“আস্তাগ ফিরুল্লাহ [রব্বি মিন কুল্লি জাম্বি ৷ ওয়া ] আতুবুইলাইক লাহাওলা ওয়ালা কুয়াত্তা ইল্লা ‘আলিইল ‘আজিম”(এখানে রব্বি মিন কুল্লি জাম্বি অংশটুকু বিদআ’ত )
৮) ৭০হাজারবার কালিমা খতম করা
৯) ইসলামের নামে দলাদলি করা
১০) ইসলামি খলিফা/আমীর ব্যতীত অন্য দলের আমীরের হাতে বায়াত করা
১১) দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রচলিত রাজনীতি করা
১২)দ্বীনের হেফাজতের নামে হরতাল অবরোধ মারামারি করা অনেক ক্ষেত্রে হারামও।
১৩)বিদায় কালে ফি আমানিল্লাহ বলা।
১৪)জানাজা দেয়ার সময় কালিমা শাহাদাত পাঠ করা।
১৫)মৃত ব্যাক্তির কাজা নামাজের কাফফারা দেয়া বা আদায় করা।
১৬) কুর’আনকে সবসময় চুমু খাওয়া।
১৭) কুর’আন নীচে পড়ে গেলে লবণ কাফফারা দেয়া,সালাম করা, কপালে লাগানো ইত্যাদি।
১৮)দুই হাতে মোসাফা করা, মোসাফা শেষে বুকে লাগানো বিদাত।
১৯)কারোর গায়ে পা লাগলে গাঁ ছুঁয়ে সালাম করা।
২০)ইছালেহ সোয়াব নামে ওয়াজ ও দোয়া করা।
–>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকো। নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”
আলহামদুলিল্লাহ। এত সুন্দর একটি ওয়েবসাইট খুলে মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার একটি ছোট্ট প্রশ্ন আছে। সেটি হলো আমার মসজিদের খতিব এবং মুয়াজ্জিন দুজনেই তামাক, জর্দা ,গুল ইত্যাদি সেবন করে ।তারা শবে বরাত, শবে মেরাজ ইত্যাদি বিষয়গুলো মসজিদের খুতবায় বলে এবং এগুলো করার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করে । তাই আমি মসজিদে নামাজ না পড়ে বাসায় নামাজ আদায় করি। আমি কি কোন ভুল করছি ? দয়া করে জানাবেন ।
শুধুমাত্র এই কারণে জামাতে সালাত বাদ দিয়ে নিজে একাকি বাসায় সালাত আদায় করা যাবেনা। কেননা পুরুষের জন্য জামাতে সালাত আদায় করা ওয়াজিব [আবু দাউদ,৫৫১]
ইমাম বা মসজিদের খতিব বা মুয়াজ্জিন এর গুনাহ তাদের নিজেদের উপর বর্তাবে, মুক্তাদী বা মুসল্লিদের উপর তাদের গুনাহ বর্তাবে না বা তাদের এই গুনাহ এর জন্য মুক্তাদীদের জবাবদিহি করতে হবে না। তাই জামাতে সালাত আদায় করতে হবে।
একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪)।
তবে যদি সুস্পষ্ট এমন কোন কাজ করে যেটা সরাসরি শিরক এর পর্যায়ে পড়ে যায় যেমন মাজারে সিজদাহ দেওয়া বা এমন কিছু করা যেটা সরাসরি শিরক বা যেটার কারণে মানুষ নিশ্চিত কাফের বা ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তখন সেই ইমাম বা মসজিদের খতিব বা মুয়াজ্জিন এর পিছনে সালাত আদায় না করে বাসায় একাকি সালাত আদায় করতে হবে যদি আশেপাশে অন্য কোন মসজিদ পাওয়া না যায় বা জামাতে সালাত আদায়ের ব্যবস্থা না থাকে।
আল্লাহু আলাম।