সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকা জেনে নিই (পর্ব ৩)।

বিদআত
পর্ব ৩ঃ

বিদআত হলো ইবাদাতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু আমল করা যেটা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয়।বিদআতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।কারণ বিদআত করলে রাসূল(ছঃ) কে অপমান করা হয়।

সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকাঃ

<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে  বা করলে বিদআত হয় । –>

১)কোরআন, সহীহ্ হাদীসের বাহিরে যত দোয়া, দুরুদ, জিকির, কালেমা আছে সবই বিদাত।
২)টুপি ছাড়া নামাজ পড়লে সোয়াব কম হয়, পাগড়ি মাথায় দিয়ে নামাজ পড়লে বেশী সোয়াব/ নেক হয় এই ধারণা করে পাগরী বা টুপি পরা বিদাত।
৩)রোযার সময় নাওয়াতুআন আছুম্মাগাদাম পড়া।
৪)কদম বুসি করা।
৫)খতমে ইউনুস, তাহলীল, খতমে কালিমা, বানানো দরুদ পড়া।
৬)ওরস পালন করা।
৭) জাক-জোমক ভাবে খাৎনার অনুষ্ঠান করা।
৮)শুধু আল্লাহ বা ইল্লাল্লাহ যিকর: এটা খুবই গর্হিত ও আপত্তিজন কাজ।
৯) জামায়াতবদ্ধ দরূদ বা সুরেলা সালাত-সালাম: নবীর শানে সালাত ও সালামের এই নবপদ্ধতি নিঃসন্দেহে বিদআ’ত। রাসূলুল্লাহ সা. যেভাবে উম্মাতকে দরূদ শিখিয়েছেন সেভাবেই দরূদ পড়তে হবে।
১০)কোন বুযুর্গের মাযারে মৃত্যুবার্ষিকী বা ওরস পালন: ওরস পালন খুবই গর্হিত ও আপত্তিজনক কাজ, যদিও পীরপন্থীদের কাছে খুবই প্রিয়।
১১)কবর পাকাকরণ বা সজ্জিত করা ও উৎসবের আয়োজন।
১২)আযান ইকামতের মধ্যে বা অন্য যেকোনো সময় রাসুল সা. এর নাম শুনলে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাগানো।
১৩)ঈদের নামাযের পর নেকির আশায় মুআনাকা বা কোলাকুলি করা
১৪)ঈদের মাঠে সালাতের আগে বয়ানের নামে আরেকটি বাংলা খুতবা দেয়াও বিদআ’ত।
১৫) জানাযা ও দাফনের পর কবরের উপর চার কুল, সমবেত দু’আ, বা ব্যক্তিগত ইস্তেগফার বা দুআ ছাড়া সবই বিদআ’ত।
১৬) দাফনের পর কবরের কাছে আযান দেয়া। ১৭) কবরে ফুল দেয়া, বাতি জ্বালানো (এগুলো অনেক সময় শিরক এ পরিণত হতে পারে)
১৮)প্রথম মহররম রাত্রিতে নেকির আশায় অনুষ্ঠান করা।
১৯)রমাদান মাসে “বদর দিবস” পালন করা। ২০)ঈদের পরে “ঈদ পূণর্মিলনী” অনুষ্ঠান করা।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   কুরআন ও বাইবেল থেকে , এক ঈশ্বরের প্রমাণ ও যীশু বা ঈসা (আ) এর ঈশ্বরত্ব বা ঈশ্বরের পুত্র বা ত্রিত্ববাদ বিষয়ক খ্রিস্টানদের মিথ্যাচার বা ভুল ভ্রান্তি বা তাদের দাবি খন্ডন

 –>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকো। নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”

বিঃদ্রঃ যদি কেউ দাবি বা সন্দেহ পোষণ করেন যে উপরে প্রদত্ত আমল গুলোর কোন একটি বিদাআত নয় বা বিদআত বলা যাবে না বা কিভাবে বিদআত হবে বা বিস্তারিত জানা দরকার তাহলে নিচে কমেন্টে আসুন।
MuslimPoint Organization

About MuslimPoint Organization

MuslimPoint একটি অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থাগার, ব্লগিং, কুরআন, হাদিস, কুইজ এবং বিষয় ভিত্তিক রেফারেন্স প্ল্যাটফর্ম।

View all posts by MuslimPoint Organization →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *