পর্ব ৪ঃ
বিদআত হলো ইবাদাতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু আমল করা যেটা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয়।বিদআতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।কারণ বিদআত করলে রাসূল(ছঃ) কে অপমান করা হয়।
সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকাঃ
<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে বা করলে বিদআত হয় । –>
১)আজানের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নাম আসলে চোখে দুই বৃদ্ধ আঙুলি দিয়ে দুই চোখের মধ্যে লাগিয়ে চুমু খাওয়া।
২)মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ দেখা মাত্রই দুরূদ ও সালাম পাঠ করা ।
৩)কোন ইসলামী মাহফিলের দুআ, দুরূদ ও যিকরের সওয়াব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – এর কবরে, সকল ওলিদের রুহে ও মৃতদের কবরে পাঠিয়ে দেয়।
৪) সুন্নতী পোশাকের নামে বিশেষ ধরনের পোশাক পরা ।
৫)নতুন নতুন দুরূদ এর আবিস্কার করা এবং তা পড়া। ১৮. আশেকে রাসূল বলে দাবী করা । জসনে জুলুস করা।
৬) বালাগাল উলা বি কামালিহি, কাশাফাদ্জা বি জামালিহি…. ইত্যাদি বলা বিদ’আত ।
৭)সালাতুল আওয়াবীন নামে মাগরিবের পরে ৬ রাকাত সলাত আদায় করা(এই নামাজ অন্য সময় পড়তে হয়, মাগরিবের সময় নয়)
৮) সালাতের পর আমল করে মাথায় বা কপালে হাত রাখা ।
৯) উমরী কাযা সালাত আদায় করা।
১০)খুতবা বা অন্য সময় লাল বাতি জ্বালিয়ে রাখা এবং লিখে রাখা যে। লাল বাতি জ্বলন্ত অবস্থায় সালাত আদায় করা নিষেধ।
১১)রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কবরে গিয়ে কান্নাকাটি করাকে সওয়াব মনে করা।
১২) জামাত শুরু হয়ে গেলেও বা ইকামত হয়ে গেলেও সুন্নাত পড়া।
১৩) সফরে কসর না পড়ে নিয়ম মত সালাত আদায় করা।
১৪) সালাতের কাতারে শিশুদের রাখা মাকরূহ মনে করা।
১৫) সালাত শেষে জায়নামাযকে চুমু খাওয়া।
১৬)সালাত শেষে জায়নামাযের কোনা ভাজ করে রাখা।
১৭)সালাত শেষে অতিরিক্ত একটি সাজদা দেয়া ।
১৮). আশুরার দিন সাতদানার শিরণী পাকান সওয়াবের কাজ মনে করা।
১৯)ভুল হলে তওবা তওবা বলে দুই গালে থাপ্পর দিয়ে তওবা করা।
২০)খাবার আগে ওযু করলে দারিদ্র দূর হয় বলে মনে করা
–>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকো। নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”