পর্ব ৫ঃ
বিদআত হলো ইবাদাতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু আমল করা যেটা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয়।বিদআতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।কারণ বিদআত করলে রাসূল(ছঃ) কে অপমান করা হয়।
সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকাঃ
<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে বা করলে বিদআত হয় । –>
১)দাফন না করা পর্যন্ত পরিবারের লোকদের না খেয়ে থাকা ।
২)কবরের উপরে খাদ্য ও পানীয় রেখে দেয়া। যাতে লোকেরা তা নিয়ে যায় ।
৩)মৃতের ঘরে তিন রাত, সাত রাত (বা ৪০ রাত) ব্যাপী আলো জেলে রাখা।
৪)কাফনের কাপড়ের উপরে দুআ-কালেমা ইত্যাদি লেখা।
৫)এই ধারণা করা যে, মৃত ব্যক্তি জান্নাতী হলে ওজনে হালকা হয় ও দ্রুত কবরের দিকে যেতে চায়।
৬)জানাযার পিছে পিছে উচ্চৈঃস্বরে যিকর ও তিলাওয়াত করতে করতে চলা।
৭)জানাযা শুরুর প্রাক্কালে মৃত কেমন ছিলেন বলে লোকদের কাছ থেকে সমস্বরে সাক্ষ্য নেয়া ।
৮)জানাযার সালাতের আগে বা দাফনের পরে তার শোকগাথা বর্ণনা করা।
৯)জুতা পাক থাকা সত্ত্বেও জানাযার সালাতে জুতা খুলে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করা। ১০)কবরে মৃতের উপরে গোলাপ পানি ছিটানো ।
১১)কবরের উপরে মাথার দিক থেকে পায়ের দিকে ও পায়ের দিক থেকে মাথার দিকে পানি ছিটানো । অতঃপর অবশিষ্ট পানিটুকু কবরে ঢালা ।
১২)তিন মুঠি মাটি দেয়ার সময় ১ম মুঠিতে ‘মিনহা খালাক্বনা-কুম’ ২য় মুঠিতে ‘ওয়া ফীহা নুঈদুকুম” এবং ৩য় মুঠিতে ‘ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা’ বলা অথবা ‘আল্লাহুম্মা আজিরহা মিনাশ শায়ান”…পাঠ করা (ইবনু মাজাহতে বর্ণিত এই হাদীসটি যঈফ)।
১৩)কবরে মাথার দিকে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা ও পায়ের দিকে দাঁড়িয়ে সুরা বাকারার শুরুর অংশ পড়া।
১৪)সূরা ফাতিহা, কলর, কাফিরূন, নছর, ইখলাছ, ফালাক ও নাস এই সাতটি সূরা পাঠ করে দাফনের সময় বিশেষ দু’আ পড়া।
১৫)প্রতি জুমআয় কিংবা সোম ও বৃহস্পতিবারে নির্দিষ্ট করে পিতা-মাতার কবর যিয়ারত করা।
১৬)এছাড়া আশূরা, শবে মিরাজ, শবেবরাত, রমাদান ও দুই ঈদে বিশেষভাবে কবর যিয়ারত করা।
–>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকো। নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”