পর্ব ৮ঃ
বিদআত হলো ইবাদাতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু আমল করা যেটা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয়।বিদআতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।কারণ বিদআত করলে রাসূল(ছঃ) কে অপমান করা হয়।
সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকাঃ
<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে বা করলে বিদআত হয় । –>
১)আয়াতুল কুরসী পড়ে বুকে ফু দেয়া (পড়া যাবে কারণ এর অনেক ফজিলত কিন্তু বুকে ফু দেওয়া যাবে না)।
২)মহিলাদের কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা করা এবং পুরুষদের সম্মুখে উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করা ।
৩)কুরআন তিলাওয়াত শোনার সময় নেকির আশায় হঠাৎ বিনা কারণে ঢুকরে কেঁদে ওঠা । অর্থ বুঝে কাঁদলে ঠিক আছে।
৪) সম্মিলিতভাবে দু’আ করার সময় বলা যে মজলিসে যে তোমার প্রিয় বান্দা অথবা বে-গুনাহ মাসুম বাচ্চা আছে তাদের উসিলায় অথবা তুমি যে হাত পছন্দ কর তার উসিলায় আল্লাহ আমাদের দু’আ কবুল কর ।
৫) সূরা ইয়াসীন একবার পড়লে দশবার কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায় এবং সূরা ইয়াসীন গরম সূরা’ বলে মনে করা।
৬) খানার উপর বরকতের জন্য সূরা কুরাইশ পড়া।
৭)দু’আ করার সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা জরুরী মনে করা ।
৮) কুরআন তিলাওয়াত করে নিয়ম করে সাদাকাল্লাহুল আজীম বলা জরুরী মনে করা ।
৯)খতমে আম্বিআ।
১০)মাজারে কুরআন পাঠ।
১১) কারী ও হুজুর ভাড়া করে এনে খতম পড়ানো।
১২)পীর ওলিদের কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে দূর-দূরান্তে সফর করা।
১৩)সওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাবা শরীফ, মসজিদে নব্বী, মসজিদে আকসা ছাড়া অন্য কোথাও সফর করা ।
১৪)সওয়াবের আশায় মদিনার সাত মসজিদের যিয়ারত করা।
১৫)নিজের পরিবার, প্রতিবেশী ও এলাকায় দাওয়াত না দিয়ে দূর-দূরান্তে দ্বীনের দাওয়াতী কাজে বের হওয়া।
১৬)ওযূ করার সময় গর্দান/ঘাড় মসেহ করা।
১৭) ইসতেনজার পানির সাথে ঢিলা-কুলখ নেয়া ওয়াজীব মনে করা ।
১৮)ওযূতে প্রত্যেক অঙ্গ ধোয়ার সময় কতগুলো নির্দিষ্ট দু’আ পড়া।
১৯) স্বপ্নে পাওয়া তরিকায় নফল ইবাদত করা। ২০)বরকতের উদ্দেশ্যে পীরকে টাকা, গরু-ছাগল, চাল-ডাল ইত্যাদি দেয়া(এটা অনেক সময় শিরক এ পরিণত হয়)।
–>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকো। নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”