বিদআত হলো ইবাদাতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু আমল করা যেটা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয়।বিদআতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।কারণ বিদআত করলে রাসূল(ছঃ) কে অপমান করা হয়।
সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকাঃ
<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে বা করলে বিদআত হয় । –>
১) নাপাক কাপড় সাত বার না ধুলে পাক হবে না মনে করা । (এটা ঠিক আছে যে শুধু কুকুরের লালা লাগলে একবার মাটি দিয়ে পরে সাতবার পানি দিয়ে ধুতে হবে)
২) চারটি মাযহাবের মধ্যে যে কোন একটি মাযহাব হুবহু মানা ফরয, ওয়াজিব অথবা সুন্নাত মনে করা।
৩) মুসলিমদের মধ্যে বিভিন্ন দল তৈরী করা । ৪) ইসলামের ইলমকে শরীয়ত, তরিকত, মারিফত ও হাকিকত এই চার ভাগে ভাগ করা।
৫) রাজতন্ত্রের ন্যায় বংশানুক্রমে পীরের ওয়ারিস হওয়া।
৬) পীর-ওলি বা বুজুর্গানের নিকট বরকত হাসিল করার উদ্দেশ্যে তাদের শরীর, হাত-পা টিপে দেয়া।
৭)বরকতের উদ্দেশ্যে পীরের আধা-খাওয়া প্লেট থেকে খাবার খাওয়া।
৮) ছয় লতিফার যিকর করা। শুধু আল্লাহ শব্দের যিকর করা ।
৯) শুধু ইল্লাল্লাহ শব্দের যিকর করা।
১০) মাফি কালবি গাইরুল্লাহ, লাইলাহাইল্লাল্লাহ নূর মুহাম্মাদ সাল্লল্লাহ বলে। যিকর করা ।
১১) পীর-ওলিদের হুজুর কেবলা বলা, হুজুরে পাক বলা বা আব্বাহুজুর বলা ।
১২) আল্লাহকে পাওয়ার জন্য জংগলে চলে যাওয়া।
১৩) পীরকে কদমবুসি করা, আর কদমবুসি করার সময় মাথা নিচু হলে এটা শিরকে পরিণত হয়ে যাবে।
১৪) পীরের গোসলের পানিকে অতি পবিত্র এবং শিফা মনে করা বিদ’আত ও শিরক।
১৫) হজ্জে প্রত্যেক তাওয়াফে বা সায়ীতে নির্দিষ্ট দু’আ পড়া।
১৬) মক্কা-মদীনা, আরাফা, মুযদালিফা, বদর ও ওহুদের মাটি, গাছ, পাথর ইত্যাদি সংগ্রহ করে বরকতস্বরূপ দেশে নিয়ে যাওয়া ।
১৭) হাজ্জ বা ওমরার সময় ছাড়া অন্য সময়ে মাথা কামানো সুন্নাত মনে করা।
১৮) হাজ্জ করে নিজের নামের সাথে নিজে নিজে আলহাজ্জ উপাধি লাগানো।
১৯) হাজ্জ, উমরাহ অথবা যিয়ারতে এসে মদীনা শরীফে ৮ দিনে ৪০ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ওয়াজিব মনে করা ।
২০)হাজ্জ করতে হবে ঘরে বসেই আর তা হবে রূহানী জগতের মাধ্যমে, এই ধরনের বিশ্বাস থাকা।
–>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকো। নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”