সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক এর তালিকা জেনে নিই (পর্ব ৪)।

শিরক
পর্ব ৪ঃ

শিরক হচ্ছে সকল পাপের চাইতে বড় পাপ। যা আল্লাহ তা’আলা কখনো ক্ষমা করবেন না(দুনিয়ায় থাকতে ক্ষমা না চাইলে)। শিরক করলে জীবনের সকল নেক আমল মুহুর্তে নষ্ট হয়ে যায় ও আল্লাহকে অপমান করা হয়।

সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক এর তালিকাঃ

<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে শিরক হয় । –>

১.জিন ও জিন সাধকরা গায়েব সম্পর্কে জানতে পারে বলে বিশ্বাস করা শিরক।
২.পাখি বা বানরের মাধ্যমে ভাগ্য জানার চেষ্টা করা শিরক।
৩. রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জনগণকে সকল ক্ষমতার মালিক বলে বিশ্বাস করা শিরক।
৪.মানব রচিত বিধান ও আইন দ্বারা দেশ শাসন ও বিচার কার্য পরিচালনা করা শিরক।
৫. জিনের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য জিনকে শিরনী দান করা শিরক।
৬.ভাগ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পাথর নির্মিত আংটির প্রভাবে বিশ্বাস করা শিরক।
৭.কবরমুখী হয়ে বা কবরের পার্শ্বে নামায আদায় করা শিরক।
৮.রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে ধাতব দ্রব্য দ্বারা নির্মিত আংটি বা বালা পরিধান করা শিরক।
৯. গাভী ও তার নতুন বাচ্চার গলায় তাবিজ, জুতা ও জালের টুকরা ঝুলানো শিরক।
১০. কপালে টাকা স্পর্শ করে তা সম্মান করা শিরক।
১১ . জঙ্গলে প্রবেশের সময় জঙ্গলের মাটি ও গাছকে সালাম করা শিরক। .
১২. চোখের অশুভ দৃষ্টি থেকে সন্তানকে রক্ষার জন্য সন্তানের কপালে কালো টিপ বা দাগ দেয়া শিরক। এ কাজটি আল্লাহর উপরে ভরসার পরিপন্থী বলে তা শিরকে আসগার।
১৩. পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (ফেল) পাবে বিশ্বাস করা শিরক।
১৪. দোকানের প্রথম কাস্টমার ফেরত দিলে অমঙ্গল হয় বা আর কাস্টমার হবে না অথবা প্রথম কাস্টমার কে বাকিতে দিলে পরে সব বাকি যাবে এমন মনে করলে বা বিশ্বাস করিলে শিরক হয়।
১৫.নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে সারাজীবন মেজাজ নরম থাকবে মনে করলে শিরক হয়।
১৭.জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম হবে
মনে করলে শিরক হয়।
১৮. রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই। কাটলে ক্ষতি হতে পারে মনে করলে শিরক হয়।
১৯.পীর-মুরশিদ, রাষ্ট্রীয় নেতা-নেত্রীদের ভক্তি সম্মানের উদ্দেশ্যে পশু জবাই করা শিরক।
২০.নাবী (সা) কে হাজির নাযির (যেখানে খুশি সেখানে উপস্থিত হতে পারেন)মনে করা শিরক।
২১.আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে শপথ করা শিরক।
২২.পাশ্চাত্য গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুজিবাদ, জাতিয়াতাবাদ,প্রগতিবাদ ধর্মনিরপেক্ষবাদ সমর্থন ও বিশ্বাস করা শিরক।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   মূসা (আ.) এর সাথে আবেদ ও পাগলের প্রচলিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট গল্প বা কাহিনী বা কিসসা
বিঃদ্রঃ যদি কারোর কোন পয়েন্ট নিয়ে সন্দেহ থাকে যে এটা কিভাবে শিরক হবে বা কোথায় আছে এগুলো বা এর রেফারেন্স কোথায় তাহলে নিচে কমেন্টে উল্লেখ করুন।ইং-শা-আল্লাহ সন্দেহ দূর করা হবে।
MuslimPoint Organization

About MuslimPoint Organization

MuslimPoint একটি অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থাগার, ব্লগিং, কুরআন, হাদিস, কুইজ এবং বিষয় ভিত্তিক রেফারেন্স প্ল্যাটফর্ম।

View all posts by MuslimPoint Organization →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *