সুন্নত নামাজ যদি কেউ আদায় না করে থাকেন, তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন না। তবে তিনি বড় ধরনের ফজিলত থেকে মাহরুম হবেন। কারণ, প্রতিটি সুন্নত নামাজের ব্যাপারে রাসুলের (সা.) ফজিলতের বিষয়টি যুক্ত আছে এবং ফজিলতের হাদিসগুলো আছে। তাই তিনি ফজিলত থেকে মাহরুম হবেন, কিন্তু তিনি গুনাহগার হবেন না। কারণ এগুলো রাসুল (সা.) একে অতিরিক্ত বা নফল নামাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেগুলোর ওপর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেগুলোই শুধু ফরজ। সেগুলো আদায় করতে হবে। অন্যগুলো যদি কোনো কারণে কেউ তরক করেন বা না পড়েন, এতে গুনাহগার হবেন না
আবূ আব্দুল্লাহ্ জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ আল-আনসারী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত হয়েছে- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে জিজ্ঞাসা করলেন : যদি আমি ফরয নামায আদায় করি, রমযানে রোযা রাখি, হালালকে হালাল বলে ও হারামকে হারাম বলে ঘোষণা করি এবং এর সঙ্গে কোন কিছু না জুড়ে দেই, তাহলে কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো? তিনি বললেন: হাঁ। [মুসলিম: ১৫]
উপরোক্ত হাদিসের আলোকে বলা যায় , যেহেতু ফরয নামায আদায় (সুন্নাত-নফল ছাড়া) করলেই আল্লাহর রাসুল (সাঃ) উক্ত সাহাবি কে জান্নাতের দাবিদার বলে ঘোষণা করেছেন, অতএব নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে শুধু ফরজ অংশ আদায় করলে কোনো সমস্যা নেই ইং-শা-আল্লাহ , তবে সুন্নাত নামাযের সওয়াব থেকে অবশ্যই বঞ্চিত হবে ।