হাঁস-মুরগি যবেহ করার পর লোম পরিষ্কারের জন্য আগুনে ঝলসানো বা পোড়ানোতে কোন নিষেধ নেই। মূলত, উদ্দেশ্য পরিষ্কার করা। সুতরাং তাতে কোন দোষ বা গোনাহ হবে না। কেননা গোশত খাওয়ার পদ্ধতিই হল রান্না করা অথবা পোড়ানো। তবে জীবিত কিংবা যবেহ করার পর নিস্তব্ধ না হওয়া পর্যন্ত গরম পানিতে ডোবানো কিংবা পোড়ানো যাবে না। তাছাড়া কোন প্রাণী যদি কষ্টদায়ক ও ক্ষতিকর হয় তাহ’লে সেগুলোকে হত্যা করা যাবে কিন্তু আগুনে পুড়িয়ে মারা যাবে না। ইকরামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার কতিপয় নাস্তিককে আলী (রাঃ)-এর নিকট আনা হল এবং তিনি তাদেরকে পুড়িয়ে ফেললেন। এ ঘটনার সংবাদ ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি মন্তব্য করলেন, তার স্থলে যদি আমি হতাম, তাহলে আমি তাদেরকে জ্বালিয়ে দিতাম না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ কথা বলে এভাবে নিষেধ করেছেন যে, ‘আল্লাহর শাস্তি দ্বারা তোমরা কাউকে শাস্তি দিও না’। অবশ্য আমি তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বাণী অনুসারে হত্যা করতাম। তিনি বলেছেন যে, ‘কেউ তার দ্বীন পরির্বতন করবে অর্থাৎ মুরতাদ হবে তাকে হত্যা কর’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩০১৭ আবুদাঊদ, হা/৪৩৫১; তিরমিযী, হা/১৪৫৮; আহমাদ, হা/২৫৫১; মিশকাত, হা/৩৫৩৩)।