আসসালামু আলাইকুম । এখানে রেজিস্ট্রেশন না করেই অংশগ্রহণ/ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন !
+1 vote
13.4k views
in সালাত by (1.9k points)
বিড়ি-সিগারেট খেলে সালাত বা নামাজ কবুল হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (1.3k points)

 বিড়ি, সিগারেট, জর্দ্দা, গুল ইত্যাদি নেশাদার দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এগুলো খেলে ইবাদত কবুল হবে না। একথাই ঠিক। এই মর্মে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নেশাদার দ্রব্য পান করবে তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হবে না’ (ছহীহ ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৭৭; সিলসিলা ছহীহা, হ/৭০৯,২০৩৯)। রাসূল (ছাঃ) আরোও বলেছেন, ‘যার বেশী খেলে বিবেকের ক্ষতি হয় তার অল্পও হারাম (তিরমিযী, হা/১৮৬৫; আবুদাঊদ, হা/৩৬৮১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৯৩; মিশকাত, হা/৩৬৪৫)।

by
হাদিসে নেশাদার দ্রব্য নয় বরং শরাবের কথা বলা আছে " যে ব্যক্তি শরাব পান করে এবং মাতাল হয় তার ৪০ দিনের সালাত কবুল হবে না" স্পষ্ট এমনটিই লিখা আছে
by (1.9k points)
ভাই এতো ইলজিক্যাল কথা কেনো বলেন ? শরাব কি নেশাদার দ্রব্য নয় ? শরাব দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত নেশাদার দ্রব্য বিড়ি, সিগারেট, জর্দ্দা, গুল ইত্যাদি কে ইঙ্গিত করা হয়েছে কারণ এগুলো সবই নেশাদার দ্রব্য । এগুলো খেলে নেশা হোক বা না হোক , এক চুল পরিমাণ খাওয়াও হারাম । কারণ ‘যার বেশী খেলে বিবেকের ক্ষতি হয় তার অল্পও হারাম (তিরমিযী, হা/১৮৬৫; আবুদাঊদ, হা/৩৬৮১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৯৩; মিশকাত, হা/৩৬৪৫)। রাসূল (স) যদি পৃথিবীর সমস্ত নেশাদার দ্রব্য বিড়ি, সিগারেট, জর্দ্দা, গুল ইত্যাদির নাম নিয়ে হাদিস বর্ণনা করতেন তবে  বিষয়টা যুক্তিযুক্ত হতো না । কারণ অনেক নেশা সেই সময়ে আবিষ্কার হয় নাই তাই সাহাবীদের হয়তো বুঝতে সমস্যা হতো  ও হাদিস অনেক অনেক বড় হয়ে যেতো ।
আসুন একটা উদাহরণ দেখি ঃ
ধরুন কোন ক্লাসে ১০০ জন ছাত্র আছে । সব ছাত্রই পড়ালেখাই অনেক খারাপ । এখন যদি আমি বলি এই ক্লাসের সব ছাত্রই পড়ালেখাই অনেক খারাপ তাহলেই তো যথেষ্ট । নাকি আপনি প্রত্যেকের নাম ধরে ধরে বলবেন ?
by
reshown by
সিগারট খেলে নেশা হয় মস্তিষ্কের বিকৃতি হয় এটা প্রমাণ করেন। শুকরের গোশত খাওয়াও তো হারাম। এরজন্য কি শুকরের গোশত খেলেও ৪০ দিন নামাজ হবে না? শুনেন হারামের কিছু ধাপ আছে। এখানে বুঝানো হয়েছে মস্তিষ্কের বিকৃত ঘটতে হবে। আর মস্তিষ্কের বিকৃতি মদ খেলেই ঘটে সিগারেট গুল জর্দা খেলে নয়। সিগারেট ও হারাম তবে এরজন্য তার গুণাহ্ হবে তবে সালাতের সাথে এটার সম্পর্ক নেই। আশা করি হাদীসের অপব্যখা বা মনগড়া ব্যখা দেওয়া থেকে দূরে থাকবেন।
by (1.9k points)
first point:
তার মানে ভাই আপনি জানেন না যে সিগারেট খেলে নেশা বা মস্তিষ্কের বিকৃতি হয় ? বাহ ! আমার প্রমাণ দেওয়া লাগবে না । আপনি চাইলে নিজেই প্রমাণ করতে পারবেন । আজকে ১ কেজি তামাক বা ১ কেজি গুল বা ২০ প্যাক সিগারেট একবারে খাবেন । তারপর এসে কমেন্টে বইলেন যে আপনার নেশা বা মস্তিষ্কের বিকৃতি হয়েছিলো কি না । আর  জানেনে ই তো রাসূল (ছাঃ) আরোও বলেছেন, ‘যার বেশী খেলে বিবেকের ক্ষতি হয় তার অল্পও হারাম (তিরমিযী, হা/১৮৬৫; আবুদাঊদ, হা/৩৬৮১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৯৩; মিশকাত, হা/৩৬৪৫)।
যেহুতু বেশি খেয়ে আপনার বিবেকের বা মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হয়েছে তাই এর সরিষা (অল্প ) পরিমাণ ও হারাম ।

second point:
হাদিসের শরাব বলতে যদি শুধু আপনি শরাব ই বুঝে থাকেন তাহলে শরাব বা মদ তো অনেক অল্প খেলে নেশা বা মস্তিষ্কের বিকৃতি হয় না । তার মানে কি এটা অল্প খেলে ইবাদাতে কোন সমস্যা নাই ?  আবারো বলছি , ‘যার বেশী খেলে বিবেকের ক্ষতি হয় তার অল্পও হারাম' ।
by
ভাই,
আমার হাদিস বিষয় এ জ্ঞান কম তবে প্রশ্ন করতে পারি?
সিগারেট খেলে বিবেক এর কোনো ক্ষতিসাধন হয় না। আমি নিজেই এর সাক্ষী।এটা সম্পুর্ণ আপনার নিজের উপর যদিও অনেক ড্রাগ আছে যেগুলো highly effect করে থাকে।
আর ভাই প্রশ্ন হলো নামাজ তো আল্লাহ তায়ালা ফরজ এবাদতের সামিল করেছেন।
এখন গুনাহ মানে হারাম কাজ করার ফলে কি আমি ফরজ এবাদত ও কি করতে পারবো না??
by (1.9k points)
ভাইজান প্রথমে আপনি বলেছেন যে,

"সিগারেট খেলে বিবেক এর কোনো ক্ষতিসাধন হয় না। আমি নিজেই এর সাক্ষী।এটা সম্পুর্ণ আপনার নিজের উপর যদিও অনেক ড্রাগ আছে যেগুলো highly effect করে থাকে।"

আপনার এই মন্তব্য এর জবাব,

প্রথম জবাবঃ
ভাই আপনাকে একটি হাদিস মনে করিয়ে দিই, রাসূল (ছাঃ) আরোও বলেছেন, ‘যার বেশী খেলে বিবেকের ক্ষতি হয় তার অল্পও হারাম (তিরমিযী, হা/১৮৬৫; আবুদাঊদ, হা/৩৬৮১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৯৩; মিশকাত, হা/৩৬৪৫)।
এখন দেখি আপনি আপনার কথার উপর টিকে থাকতে পারেন কি না !
আপনি বলেছনে যে "সিগারেট খেলে আপনার বিবেক এর কোনো ক্ষতিসাধন হয় না" , এটার কারণ হলো আপনি অনেক কম পরিমানে গ্রহণ করেন যেমন দিনে হয়তো ৫-৬ টা । এজন্য আপনি ইফেক্ট টা হয়তো বুঝতে পারেন না। কিন্তু আপনি যদি একেবারে ৫০-১০০ টা সিগারেট গ্রহণ করেন তখন বুঝবেন আপনার বিবেকের ক্ষতি হচ্ছে কি না। আর যেটা "বেশী খেলে বিবেকের ক্ষতি হয় তার অল্পও হারাম" । এজন্য সিগারেট হারাম । সেটা আপনি যদি সামান্য পরিমানেও গ্রহণ করেন তবুও হারাম হবে কারণ এটা অনেক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে বিবেকের ক্ষতি হয়।

দ্বিতীয় জবাবঃ
যেহুতু অল্প সিগারেট গ্রহণ করলে বিবেকের কোন ক্ষতি হয় না তাই আপনি এটাকে হালাল, জায়েজ বা মাকরুহ বলতে চাচ্ছেন। আপনার কাছে প্রশ্ন, মদ, ইয়াবা বা ফেন্সিডেল ইত্যাদি ও তো অনেক অল্প পরিমানে গ্রহণ করলে বিবেকের কোন ক্ষতি হয় না , তাহলে আপনি কি এগুলোও খাওয়া জায়েজ বা হালাল বলবেন? আস্তাগফিরুল্লাহ।

তৃতীয় জবাবঃ
বর্তমানে বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণিত যে, সিগারেট গ্রহণ করলে মানব দেহের অনেক ক্ষতিসাধন হয়। পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ এই কারণে মৃত্যবরণ করেন। বিস্তারিত জানতে ইন্টারনেটে সার্চ দিন।
আর আল্লাহ বলেন,
'তোমরা নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করবে না। ' (সুরা বাকারা, আয়াত ১৯৫)। ইসলামের এটিও একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য যে মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রতি লক্ষ করে খাওয়াদাওয়ার জিনিসকে হালাল অথবা হারামে বিভক্ত করে দিয়েছে।

এখনো কি আপনি সিগারেট গ্রহণ কে জায়েজ বা মাকরুহ বলতে চাচ্ছেন?

চতুর্থ জবাবঃ
শরীয়তের বিধানের সকল কিছুর স্পষ্ট দলীল নেই। আর না থাকলে কোন জিনিস যে হালাল, তা নয়। শরীয়তের স্পষ্ট উক্তিসমুহ থেকে ফকীহগন এমন কিছু নীতি নির্ণয় করেন, যার দ্বারা বলা যায় কোনটা হালাল, আর কোনটা হারাম। যে সকল নীতির মাধ্যমে বিড়ি-সিগারেটকে হারাম করা হয়, তার কিছু নিম্নরুপঃ-

(ক) এতে রয়েছে অনর্থক অর্থ অপচয়। আর ইসলামে অপচয় হারাম।
(খ) এতে রয়েছে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি। আর যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ইসলামে তা হারাম।
(গ) বেশি পরিমাণ পান করলে, তাতে জ্ঞানশূন্যতা আসতে পারে। আর যাতে নেশা, মাদকতা ও জ্ঞানশূন্যতা আসে, ইসলামে তা হারাম।
(ঘ) এতে দুর্গন্ধ আছে। এর দুর্গন্ধে অধূমপায়ীরা কষ্ট পায়। সুতরাং তা পবিত্র জিনিস নয়। আর ইসলাম পবিত্র জিনিস খাওয়াকে হালাল এবং অপবিত্র জিনিস খাওয়াকে হারাম ঘোষণা করেছে।
by
সূরা নিসার ৪৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّى تَغْتَسِلُوا وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا (43)

"হে মুমিনগণ, তোমরা মাতাল অবস্থায় নামাজের কাছে যেও না, যে পর্যন্ত তোমরা যা বলো, তা বুঝতে না পার। আর মুসাফির না হয়ে থাকলে অপবিত্র অবস্থায় নামাজের স্থান বা মসজিদেও যাবে না, যে পর্যন্ত না তোমরা গোসল করবে৷ তবে এসব স্থান অতিক্রম করা যাবে। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও অথবা সফরে থাক, অথবা তোমাদের মধ্যে কেউ শৌচাগার থেকে আসে, অথবা তোমরা স্ত্রী-গমন কর এবং এসব ক্ষেত্রে পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দিয়ে তোমাদের মুখ ও হাত মুছে ফেল অর্থাৎ তায়াম্মুম কর৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।" (৪:৪৩)

মহান আল্লাহ তায়ালা দয়াশীল, ক্ষমাশীল।
by
বিড়ি সিগারেট খেলে মেজাজ খিটখিটে হয়। অর্থাৎ মস্তিষ্ক বিকৃত ঘটে সুতরাং এটা হারাম
by
এই কথা টা একদম সহমত পশন করতে দেখছি শাইখদের।
by
Alhamdulillah!Vai onek Valo laglo apnar jukti gulo . Allah apnake nek hayat Dan koruk.
by
প্রিয় নবী জানতেন হাজার বছর পরে কি হবে, ,,,,,উনি অনেক কিছুই বলে গেছেন, ,,,,,সরাসরি হারাম হলে নিশ্চয় বলে যেতেন  ,,,,,  দেখছি দেশ যত সামনের দিকে যাচ্ছে হাদিসের নিয়ম পাল্টানো শুরু হয়ছে ৷৷৷৷৷৷৷
প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য নামাজ ফরজ তা তাকে আদায় করতে হবে ৷

Related questions

...