সূরা ফাতিহার পর নির্দিষ্ট করে কত আয়াত পড়তে হবে, তা কোনো ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। তবে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যতটুকু সম্ভব ততটুকু পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন (ছহীহ আবূ দাঊদ, হা/৮৫৬, সনদ ছহীহ)। তাই কখনো ছোট আবার কখনো বড় সূরা তেলাওয়াত করা যাবে। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম রাকআত দ্বিতীয় রাকআতের চেয়ে বেশি দীর্ঘ করতেন মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ বুখারী, হা/৭৫৯, ৭৭৬, ৭৭৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৫১)। অতএব সর্বদা এরূপই হওয়া সুন্নাত। তবে কখনো দ্বিতীয় রাকআতে ক্বিরাআত লম্বা হয়ে গেলে তাতে কোনো সমস্যা হবে না (ছিফাতু ছালাতিন্নবী, পৃ. ১০৩)। অনুরূপ ধারাবাহিকভাবে সূরা পড়া উত্তম। তবে আগ-পিছ করে বা একই সূরা বারবার পড়েও ছালাত আদায় করা যায়। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের ছালাতের উভয় রাকআতে সূরা যিলযাল পড়েছেন (আবূ দাঊদ, হা/৮১৬; হাসান ছহীহ; মিশকাত, হা/৮৬২)। শায়খ আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমাদের নিকট স্পষ্ট যে, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের ছালাতে সূরা যিলযাল ইচ্ছাকৃতভাবেই তেলাওয়াত করেছেন; ভুলবশত নয়। তিনি এটিকে শরীআতে বৈধকরণ ও মানুষকে শিক্ষাদানের জন্য করেছেন। ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) ধারাবাহিকতা ছাড়া আগে পিছে সূরা পড়া জায়েয হিসাবে অধ্যায় রচনা করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৯৩, ‘কুরআনের ফযীলতসমূহ’ অধ্যয়)।