আসসালামু আলাইকুম । এখানে রেজিস্ট্রেশন না করেই অংশগ্রহণ/ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন !
+4 votes
179 views
in সালাত by (280 points)

1 Answer

+2 votes
by (345 points)
edited by
আসলে শেষ বৈঠকে পায়ের অবস্থান কোথায় হবে বা  কী হবে, এ নিয়ে বিজ্ঞা আলেম-উলামাদের দুটি প্রধান মত রয়েছে। আবু হানিফা (রা.) বলেন , ‘উভয় আবস্থাতেই মানে যখনই সালাতে বসার সময় আসবে যেমন ৪ রাকাত নামাযে ২ রাকাত ও ৪ রাকাত এ বসতে হয় (এটাকে অনেকে বৈঠকে বসা বা তাশাহুদে বসা বলে) পায়ের পাতার ওপর বসবেন।’ আবার অন্যদিকে ইমাম মালেক (রা.) বলেন, ‘দুই রাকাত হোক বা চার রাকাত, সর্বঅবস্থায়/সবসময় পা একদিকে বের করে দিয়ে বসবেন।’ এবং  ইমাম শাফেয়ি (র.) বলেন, ‘যদি দুই রাকাতবিশিষ্ট সালাত হয়, অর্থাৎ যেখানে দ্বিতীয় রাকাতে সালাম আছে, সেখানে পা বিছিয়ে দিয়ে বসবেন, আর যেখানে দ্বিতীয় রাকাতে সালাম নেই, অর্থাৎ আবার উঠে যাবেন, সেখানে পায়ের পাতার ওপর বসবেন, পা বের করবেন না।’আসুন এখন হাদিস থেকে একটু দেখা যাক।  হাদিস থেকে দেখা যায় রাসুল (সা.) সালাতের শেষ বৈঠকে, অর্থাৎ যে বৈঠকে সালাম ফিরিয়েছেন, ওই শেষ বৈঠকে তিনি পা বের করে দিয়ে নিতম্বের ওপর বসেছেন। আবার যে বৈঠকে তিনি সালাম ফেরান নাই, অর্থাৎ দ্বিতীয় রাকাতে, সেখানে তিনি বাঁ পা বিছিয়ে দিয়ে পায়ের ওপর বসেছেন। তবে এ বিষয়েও বিজ্ঞা আলেম-উলামারা বিভক্ত/ভাগ হয়েছেন। কেউ বলতে চেয়েছেন যে, রাসুল (সা.) শেষ বয়সে একটু মোটা হয়ে যাওয়ার জন্য এভাবে পা খাড়া করে বসতে কষ্ট হতো বলে তিনি পায়ের ওপর বসতেন। আর যে বৈঠকে তিনি অল্প সময়ের জন্য বসতেন, তখন তিনি পায়ের পাতার ওপর (পা খাড়া করে) বসতেন। অবশ্য রাসুলের (সা.) শারীরিক অবস্থার কারণে এটি একটি গ্রহণযোগ্য কারণ হতে পারে। কিন্তু যেহেতু সাহাবয়ে কেরাম রাসুল (সা.) সর্বশেষ যেটা করেছেন, সেটাকে গ্রহণ করতেন, সে হিসেবে সর্বশেষ যে আমল বর্ণিত হয়েছে, সেটা হচ্ছে চার রাকাত বা তিন রাকাত হলে, অর্থাৎ নামাজে বা সালাতে দুটি বৈঠক থাকলে সর্বশেষ বৈঠকে পা বের করে দিয়ে নিতম্বের ওপর বসাটায় বেশিরভাগ আমল হয়েছে। তবে আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে  এটা একটা সুন্নত পর্যায়ের আমল, তাই এ বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আরেকজনের গায়ের ওপর ভর না পড়ে। বিশেষ করে আপনি যখন জামাতে নামাজ আদায় করবেন, তখন পা বের করে দিলে পাশের মানুষের গায়ে লাগতে পারে। তাই একটি সুন্নত পালন করতে গিয়ে আরেকটি সমস্যা যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে আপনি খেয়াল রাখবেন। বাকিটা আল্লাহু আলাম(আল্লাহ সবথেকে ভালো জানেন)।

Related questions

...