মোবাইলে নেওয়া ইমার্জেন্সি ব্যালান্স, লোন বা ধার নেয়ার দুটি দিক থাকতে পারে। ১. যত টাকা লোন নেওয়া হয় পরিশোধের সময় তত টাকাই কাটা হয়। এমনটি হলে মোবাইলে টাকা ধার বা লোন নেওয়াতে শারঈ কোন বাধা নেই এবং এতে কোনো দ্বিমতও নেই। কারণ স্বর্ণ, রৌপ্য, মুদ্রা (টাকা-পয়সা), কয়েক প্রকার খাদ্য সমানে সমান এবং নগদে পরিশোধ হলে তা সূদ হয় না (ছহীহ বুখারী, হা/২১৭৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৮৪; মিশকাত, হা/২৮০৮)। ২. যদি পরিশোধের সময় কিছু বেশি টাকা কেটে নেয় তাহলে তা জায়েয হবে কি না, এক্ষেত্রে মতভেদ আছে। কেউ বলেছেন, এটা সূদ বলে গণ্য হবে। কারণ, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক যে ঋণ কিছু সুবিধা নিয়ে আসে সেটাই সূদ’ (সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১২১২)। আবার কেউ বলেছেন, মোবাইল কোম্পানির সাথে আমাদের যে চুক্তি তা ‘বায়ঊল মানফাআ’ বা উপকার ভাড়া নেওয়া। আমরা মোবাইল কোম্পানিকে টাকা দিয়ে যে ব্যালেন্স নেই তা কথা বলার সুবিধার বিনিময়ে এক প্রকার ভাড়া প্রদান করা। সুতরাং যতক্ষণ ব্যালেন্স প্রদান ও ব্যালেন্স কাটার বিষয়টি নির্ধারিত ও স্পষ্ট থাকে ততক্ষণ তা সূদ বলে গণ্য হবে না। তবে আমাদের উচিত সন্দেহযুক্ত বিষয় থেকে বেঁচে থাকা।