প্রথমত মক্কা নগরীতে উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর শহীদ হয়ে যাওয়ার খবর শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কিরাম থেকে হুদাইবিয়া নামক স্থানে গাছের নীচে যে বাইয়াত নিয়েছিলেন সেই বাইয়াতের প্রতি এখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। [দেখুন- ফাতহুল কাদীর]
দ্বিতীয়ত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা বা বিশ্বাস হলো এই যে, আল্লাহ্ তা'আলার হাত রয়েছে। যেভাবে তাঁর হাত থাকা উপযোগী ঠিক সেভাবেই তাঁর হাত রয়েছে। এ হাতকে কোন প্রকার অপব্যাখ্যা করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ৷ তবে এটা স্মরণ বা মনে রাখতে হবে যে, তাঁর হাত কোন সাধারণ সৃষ্টির হাতের ন্যায়/মত নয়। তিনি যেমন তাঁর হাতও সে রকম। আসলে মূল কথা হলো প্রত্যেক সত্ত্বা অনুসারে সেই সত্ত্বার গুণাগুণ নির্ধারিত হয়। তাই আমরা অবশ্যই এটা বিশ্বাস করব যে, আল্লাহ তা'আলার হাত রয়েছে। তবে তার হাত আমাদের পরিচিত কারও হাতের মত নয়।
তৃতীয় আল্লাহু বলেন, যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাতে বাই’আত করেছে, তারা যেন স্বয়ং আল্লাহর হাতে বাই’আত করেছে। কারণ, এই বাই’আতের উদ্দেশ্য বা মোটিভ হলো আল্লাহ এর আদেশ/নিষেদ পালন করা ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। রাসূলের আনুগত্য যেমন আল্লাহর আনুগত্যেরই নামান্তর বা অনুরুপ, তেমনিভাবে রাসূলের হাতে বাই’আত হওয়া আল্লাহর হাতে বাই’আত হওয়ারই নামান্তর বা অনুরুপ। এজন্য তারা যখন রাসূলের হাতে হাত রেখে বাই’আত করল, তখন যেন আল্লাহর হাতেই বাই’আত করল। মহান আল্লাহ এ কথা বলে সাহাবীদের সম্মানিত করেছেন বা তাদের মর্যদা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন । আল্লাহ তাদের কথা শুনছিলেন, তাদের অবস্থান দেখছিলেন, তাদের বাহ্যিক অবস্থা ও মনের অবস্থা জেনে নিয়েছিলেন। সে সময় লোকেরা যে হাতে বাইয়াত করছিলো তা আল্লাহর প্রতিনিধি রাসূলের হাত ছিল এবং রাসূলে(ছঃ) এর মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সাথে এই বাইয়াত অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। [ইবন কাসীর, কুরতুবী]