আসসালামু আলাইকুম । এখানে রেজিস্ট্রেশন না করেই অংশগ্রহণ/ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন !
+1 vote
98 views
in মাসআলা মাসায়েল by (195 points)
by (89 points)
যদি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে মুয়াজ্জিন আযান দেন, তাহলে ওয়াজিব হল ফজরের ওয়াক্ত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ (মুফাত্তিরাত) থেকে বিরত থাকা। তাই মুয়াজ্জিন ‘আল্লাহু আক্‌বার’(আল্লাহ মহান) বলার সাথে সাথে খাদ্য, পানীয়, সহবাস ও সকল রোযা ভঙ্গকারী বিষয় (মুফাত্তিরাত) থেকে বিরত থাকা আবশ্যক হয়ে যায়।

ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন :

“যদি ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার সময় কারও মুখে খাবার থাকে, তবে সে যেন তা ফেলে দেয়।(খাবার) ফেলে দিলে - তার রোযা শুদ্ধ হবে, আর গিলে ফেললে - তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর যদি ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার সময় সে সহবাসরত অবস্থায় থাকে, তবে সে অবস্থা থেকে তাৎক্ষণিক সরে গেলে - তার রোযা শুদ্ধ হবে। আর যদি ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার সময় সে সহবাসরত অবস্থায় থাকে এবং ফজরের ওয়াক্ত হয়েছে জেনেও সহবাসে লিপ্ত থাকে, তবে তার রোযা ভঙ্গ হবে- এ ব্যাপারে ‘আলেমগণের মাঝে কোন দ্বিমত নেই। আর সে অনুসারে তার উপর কাফ্‌ফারা আবশ্যক হবে।”সমাপ্ত।[আল-মাজ্‌মু‘(৬ /৩২৯) ]

তিনি আরও বলেন:“আমরা উল্লেখ করেছি যে, ফজর উদিত হওয়ার সময় যদি কারো মুখে খাবার থাকে, তবে সে তা ফেলে দিবে ও তার রোযা সম্পন্ন করবে। আর যদি ফজর হয়েছে জেনেও সে তা গিলে ফেলে, তবে তার রোযা বাতিল হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই”।আল-মাজ্‌মু‘ (৬/৩৩৩)এর দলীল হচ্ছে ইবনে উমর ও আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম এর হাদিস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন:

( إنبلالايؤذنبليل , فكلواواشربواحتىيؤذنابنأممكتوم )رواهالبخاريومسلم , وفيالصحيحأحاديثبمعناه

“বিলাল (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) রাত থাকতে আযান দেন।তাই আপনারা খেতে থাকুন ও পান করতে থাকুন যতক্ষণ না ইবনে উম্মে মাকতূম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) আযান দেন।”[হাদিসটি ইমাম বুখারী ও মুসলিমসংকলনকরেছেন এবং সহীহ গ্রন্থে এই অর্থের আরও হাদিস রয়েছে]

সৌদি ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ‘আলেমগণকে প্রশ্ন করা হয়েছিল:“কোন ব্যক্তি আগেই সেহেরী খেয়েছে। কিন্তু ফজরের আযান চলাকালীন সময়ে অথবা আযান দেওয়ার ১৫ মিনিট পর পানি পান করেছে-এর হুকুম কী?

তাঁরা উত্তরে বলেন: “প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তিযদি জেনে থাকেন যে, সেই আযান সুবহে সাদিকপরিষ্কার হওয়ার আগে দেওয়া হয়েছিল তবে তার উপর কোন কাযা নেই।আর যদি তিনি জেনে থাকেন যে, সে আযানসুবহে সাদিকপরিষ্কার হওয়ার পরে দেওয়া হয়েছে তবে তার উপর উক্ত রোযা কাযা করা আবশ্যক।আর তিনি যদি না জানেন যে, তার পানাহার ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার আগে ঘটেছে, না পরে ঘটেছে সেক্ষেত্রেতাকে কোন রোযা কাযা করতে হবে না।কারণ এ ক্ষেত্রে মূল অবস্থা হচ্ছে- রাত বাকি থাকা। তবে একজন মু’মিনের উচিত তার সিয়ামের ব্যাপারে সাবধান থাকা এবং আযান শোনার সাথে সাথে রোযা ভঙ্গকারী সমস্ত বিষয় থেকে বিরত থাকা। তবে তিনি যদি জেনে থাকেন যে, এই আযান ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার আগে দেওয়া হয়েছে তাহলে ভিন্ন কথা।”সমাপ্ত

[ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ : (২/২৪০) ]

Please log in or register to answer this question.

Related questions

...