যখন দেখবেন যে কোন বিষয়ে মতভেদ আছে অথবা একই সময়ে দুই আলেমের ভিন্নমুখী ফতোয়া হলে তাঁর ফতোয়া গ্রহণ করবেন হবে যার ফতোয়া কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর বেশি নিকটবর্তী মনে করেন। যাকে ইলম ও তাকওয়া বেশি বড় মনে হয়। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক চলুন - যেমন একই রোগের দুই ডাক্তারের দুই রকম চিকিৎসা পদ্ধতি ও রায় শোনেন, তাহলে যাকে আপনি বড় ও অভিজ্ঞ ডাক্তার মনে করেন, তাঁর চিকিৎসা ও পথ্য গ্রহণ করবেন। যদি তুলনা করার উপায় না থাকে, তাহলে যার ফতোয়া মানার দিক থেকে সহজ, তাঁর ফতোয়া অনুযায়ী আমল করবেন। যেহেতু দ্বীন সহজ।যেমন আল্লাহ বলেছেন, “আল্লাহ তোমাদের (জন্য যা) সহজ (তা) করতে চান, তিনি তোমাদের কষ্ট চান না। (সূরা বাকারাহঃ১৮৫) “আল্লাহ তোমাদেরকে কোন প্রকার কষ্ট দিতে চান না।” ( সূরা মায়িদাহঃ ৬) “তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠিনটা আরোপ করেননি।” (সূরা হাজ্জঃ ৭৮) আর মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সহজ কর, কঠিন করো না।” পরিশেষে আবারও বলি যে, এটা হল সাধারণ মানুষের জন্য, যারা নিজে দলীল যাচাই-বাছাই করতে পারে না এবং দুই আলেমের মধ্যে পাথক্য নির্ণয়ও করতে পারে না। অন্যদিকে যাদের সে ক্ষমতা [দলিল যাচায় বাছায় করা, পার্থক্য নির্ণয় করার] মানে যারা নিজে দলীল যাচাই-বাছাই করতে পারে , তাঁদের জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে সঠিক সমাধান জেনে নেওয়া জরুরী। এবং সঠিক টা জানার পরে যারা জানে না তাদের অবশ্যই সতর্ক করা ও জরুরি ।রেফারেন্সঃ (ইবনে উষাইমীন)