রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’যে ব্যাক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে আযানের জবাব দেবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সুনানে নাসাঈ; হাসান; হাদীস নং- ৬৭৪)
কিভাবে জবাব দেবেন আজানের ??
প্রথমে আসুন হাদিস থেকে দেখার চেষ্টা করি :
1) আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’যখন তোমরা আজান শুনতে পাও, তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরা তাই বল’ (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৩৮৩)
2) আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র.) আবূ সায়ীদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরুপ বলবে। (সহীহ বুখারী শরীফ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন: হাদিস/৫৮৪)
3) ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ..... উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুওয়াযযিন যখন “আল্লাহু আকবার, আল্লা-হু আকবার" বলে তখন তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তার জবাবে বলেঃ "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার"। যখন মুওয়াযযিন বলে "আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ" এর জবাবে সেও বলেঃ "আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ"। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ" এর জবাবে সে বলেঃ "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ”। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ "হাইয়্যা আলাস সলা-হ" এর জবাবে সে বলেঃ “লা-হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ"। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ "হাইয়্যা 'আলাল ফালা-হ" এর জবাবে সে বলেঃ “লা- হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়াৰ্যযিন বলেঃ "আল্লা-হু আকবার, আল্লাহু আকবার" এর জবাবে সে বলেঃ "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার"। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ" এর জবাবে সে বলেঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ"। আযানের এ জবাব দেয়ার কারণে সে বেহেশতে যাবে। (সহিহ মুসলিম ,আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৪৯ , হাদিস একাডেমি নাম্বারঃ ৭৩৬)
এখন আসুন , এই সম্পর্কিত হাদিসগুলোর উপর ভিত্তি করে সহজ ভাবে আপনার প্রশ্নের উত্তর টা দিই ।
১. আযানের বাক্য : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ২ বার
আযানের জবাব: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ২ বার,
২. আযানের বাক্য: আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ২ বার
আযানের জবাব: আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ২ বার,
৩. আযানের বাক্য : আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, ২ বার
আযানের জবাব: আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ২ বার,
৪. আযানের বাক্য : হাইয়া ‘আলাছ ছালা-হ, ২ বার
আযানের জবাব: লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াত্তা ইল্লা বিল্লাহ ২ বার,
৫. আযানের বাক্য : হাইয়া ‘আলাল ফালা-হ,২ বার
আযানের জবাব: লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াত্তা ইল্লা বিল্লাহ ২ বার,
৬. আযানের বাক্য : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ১
আযানের জবাব: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ১ বার,
৭. আযানের বাক্য : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ, ১
আযানের জবাব: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ ১ বার,
৮. আযানের বাক্য : ফজরের আযানে ‘আছছালা-তু খায়রুম মিনান নাঊম, ২ বার
আযানের জবাব: আছছালা-তু খায়রুম মিনান নাঊম' ২ বার ,
আজানের এই জবাব দেয়ার কারনে সে জান্নাতে যাবে। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৩৮৫)
[অর্থ্যাৎ আজানের জবাব দেয়ার নিয়ম হলো, মুয়াজ্জিন যা বলবে তাই বলা, শুধু হাইয়ালাস সালা, এবং হাইয়ালাল ফালা, এই দুই বাক্যের সময় লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা বলা]
আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দু’আর ফজিলতঃ
আনাস ইবন মালিক (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দু’আ কখনও প্রত্যাখ্যান হয় না’’ আবু দাউদ; সহীহ; (হাদীস নঃ ৫২১)
আল্লাহু আলাম ।