ভারত উপমহাদেশে আত্মপ্রকাশকারী একটি ভ্রান্ত ফেরক্বার নাম ‘আহলে কুরআন’। এরা অতীতের ভ্রান্ত ফেরক্বা খারেজী ও রাফেযীদের নতুন রূপ। তাদের মতে, কুরআনই সকল সমস্যা সমাধানের পূর্ণাঙ্গ উৎস। হাদীছ মানার কোনো প্রয়োজন নেই। অথচ এই বিশ্বাস চরম গোমরাহী ছাড়া কিছুই নয়। একথা স্বীকার করার অর্থ হলো- কুরআনকেই অস্বীকার করা। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘রাসূল তোমাদের যা দিয়েছেন তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে নিষেধ করেছেন তা বর্জন করো’ (আল-হাশর, ৫৯/৭)। এখানে আল্লাহ তাআলা রাসূলের বাণীকে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন। কুরআন ও হাদীছ দুটিই আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ অহী। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের থেকে কোনো কথা বলতেন না, যা বলতেন সবকিছু অহী থেকেই বলতেন (আন-নাজম, ৫৩/৩-৪)। মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো ফয়ছালা দিলে কোনো মুমিন নারী-পুরুষের জন্য সে ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করার অধিকার নেই’ (আল-আহযাব, ৩৩/৩৬)। তাছাড়া আল্লাহ হাদীছ নাযিল করেছেন কুরআনের ব্যাখ্যাস্বরূপ। তাহলে হাদীছকে ছেড়ে কুরআন বুঝা সম্ভব হয় কীভাবে? আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি মানুষকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছিল, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে’ (আন-নাহল, ১৬/৪৪)। যারা এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের দাবিদার কুরআন তাদের বিপক্ষেই সাক্ষ্য দিচ্ছে। বিধায় এমন আক্বীদায় বিশ্বাস করা নিশ্চিত কুফরী। তাই যারা এই বিশ্বাস লালন করে তারা স্পষ্টত কাফের।