আসসালামু আলাইকুম । এখানে রেজিস্ট্রেশন না করেই অংশগ্রহণ/ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন !
0 votes
2.3k views
in জীবনি by
খালাতো ভাই বোনের মধ্যে কি বিয়ে হওয়া ঠিক

1 Answer

0 votes
by (1.9k points)
খালাতো ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে হওয়া সম্পূর্ণরূপে জায়েজ । কোন সমস্যা নাই ইং-শা-আল্লাহ । খালাতো ভাই বোন ছাড়াও ফুফাতো ভাই বোন বা  মামাতো ভাই বোন এর মধ্যেও বিয়ে হওয়া সম্পূর্ণরূপে জায়েজ ।

বিস্তারিত :
ইসলামে কাদের কে বিয়ে করা যাবে না  এ বিষয়ে আল্লাহ স্পষ্ট আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন ।

আল্লাহ বলেন , আন-নিসা - ২৩
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّهٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّهٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ اُمَّهٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾
তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (আল-বায়ান )

নিচে আপনার সুবিধার জন্য , "মাহরাম" ও "গায়ের মাহরাম" এর তালিকা প্রদান করা হলো ।
১)পুরুষের জন্য মাহরাম :
দাদী , মা/দুধ মা ,বোন/দুধ বোন ,শাশুড়ি ,স্ত্রী  , মেয়ে/দুধ মেয়ে/সৎ মেয়ে , ছেলের/দুধ ছেলের স্ত্রী , ফুপু ,খালা ,ভাইয়ের/বোনের মেয়ে ,নানী

২)পুরুষের জন্য গায়ের মাহরাম :
মায়ের খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন , চাচাতো বোন ,ভাবী ,বাবার খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন  , চাচী    ,ফুফাতো বোন ,খালাতো বোন  ,মামাতো বোন ,শ্যালক/শ্যালিকার মেয়ে ,শ্বশুর/শাশুড়ির বোন ,শ্যালিকা ,মামী ,স্ত্রীর খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন,স্ত্রীর ভাবী,মেয়ের ননদ ,ছেলে/মেয়ের শাশুড়ি

৩)মহিলাদের জন্য মাহরাম:
দাদা ,বাবা ,ভাই ,শ্বশুর ,স্বামী ,ছেলে ,নাতী ,চাচা ,ভাইয়ের/বোনের ছেলে ,নানা ,মামা

৪)মহিলাদের জন্য গায়ের মাহরাম:
মায়ের খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই ,চাচাতো ভাই ,দুলাভাই ,বাবার খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই ,ফুপুর স্বামী (ফুপা) ,ফুপাতো ভাই ,খালাতো ভাই ,মামাতো ভাই ,ননদের ছেলে ,শ্বশুর/শাশুড়ির ভাই ,দেবর/ভাসুর ,ননদের স্বামী ,স্বামীর খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো , ভাই ,স্বামীর দুলাভাই ,ছেলের শ্যালক ,ছেলে/মেয়ের শ্বশুর ,খালার স্বামী (খালু)

সতর্কতা : দুধ ভাই-বোনদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ। যেমন ধরেন, যদি আপনি ছোটবেলায় আপনার খালার দুধপান করেন  তাহলে এক্ষেত্রে আপনার খালা আপনার দুধ মা বলে বিবেচিত হবেন এবং এই খালার ছেলে বা মেয়েকে বিয়ে করা যাবেনা।
by
reshown by
খালাতো, চাচাতো, মামাতো, ফুপাতো ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে হওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। যদি না বুঝেন আয়াতটি বারবার পড়বেন আল্লাহ আপনাকে বুঝায় দিবেন।

সূরাঃ আল-আহযাব আয়াত ৫০

 یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ اِنَّاۤ اَحۡلَلۡنَا لَکَ اَزۡوَاجَکَ الّٰتِیۡۤ اٰتَیۡتَ اُجُوۡرَهُنَّ وَ مَا مَلَکَتۡ یَمِیۡنُکَ مِمَّاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلَیۡکَ وَ بَنٰتِ عَمِّکَ وَ بَنٰتِ عَمّٰتِکَ وَ بَنٰتِ خَالِکَ وَ بَنٰتِ خٰلٰتِکَ الّٰتِیۡ هَاجَرۡنَ مَعَکَ ۫ وَ امۡرَاَۃً مُّؤۡمِنَۃً اِنۡ وَّهَبَتۡ نَفۡسَهَا لِلنَّبِیِّ اِنۡ اَرَادَ النَّبِیُّ اَنۡ یَّسۡتَنۡکِحَهَا ٭ خَالِصَۃً لَّکَ مِنۡ دُوۡنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ؕ قَدۡ عَلِمۡنَا مَا فَرَضۡنَا عَلَیۡهِمۡ فِیۡۤ اَزۡوَاجِهِمۡ وَ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُهُمۡ لِکَیۡلَا یَکُوۡنَ عَلَیۡکَ حَرَجٌ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۵۰﴾یایها النبی انا احللنا لک ازواجک التی اتیت اجورهن و ما ملکت یمینک مما افاء الله علیک و بنت عمک و بنت عمتک و بنت خالک و بنت خلتک التی هاجرن معک ۫ و امراۃ مؤمنۃ ان وهبت نفسها للنبی ان اراد النبی ان یستنکحها ٭ خالصۃ لک من دون المؤمنین قد علمنا ما فرضنا علیهم فی ازواجهم و ما ملکت ایمانهم لکیلا یکون علیک حرج و کان الله غفورا رحیما ﴿۵۰﴾
হে নবী, আমি তোমার জন্য তোমার স্ত্রীদেরকে হালাল করেছি যাদেরকে তুমি মোহরানা দিয়েছ, আর আল্লাহ তোমাকে ফায়* হিসেবে যা দিয়েছেন তন্মধ্যে যারা তোমার মালিকানাধীন তাদেরকেও তোমার জন্য হালাল করেছি এবং (বিয়ের জন্য বৈধ করেছি) তোমার চাচার কন্যা, ফুফুর কন্যা, মামার কন্যা, খালার কন্যাকে, যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে, আর কোন মুমিন নারী যদি নবীর জন্য নিজকে হেবা করে, নবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও তার জন্য বৈধ। এটা বিশেষভাবে তোমার জন্য, অন্য মুমিনদের জন্য নয়; আমি তাদের ওপর তাদের স্ত্রীদের ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তাদের ব্যাপারে যা ধার্য করেছি তা আমি নিশ্চয় জানি; যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

আল-বায়ান

হে নবী (সা.)! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীগণকে যাদের মোহরানা তুমি প্রদান করেছ; আর বৈধ করেছি আল্লাহ ফায় (বিনা যুদ্ধে লব্ধ) হিসেবে তোমাকে যা দান করেছেন তার মধ্য হতে যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে, আর তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, তোমার মামার কন্যা ও তোমার খালার কন্যাকে যারা তোমার সঙ্গে হিজরাত করেছে। আর কোন মু’মিন নারী যদি নবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করে আর নবী যদি তাকে বিয়ে করতে চায় সেও বৈধ, এটা মু’মিনদের বাদ দিয়ে বিশেষভাবে তোমার জন্য যাতে তোমার কোন অসুবিধে না হয়। মু’মিনগণের জন্য তাদের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার তা জানা আছে। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

তাইসিরুল

হে নাবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীদেরকে, যাদের মোহর তুমি প্রদান করেছ এবং বৈধ করেছি ‘ফায়’ হিসাবে আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন তন্মধ্য হতে যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে এবং বিয়ের জন্য বৈধ করেছি তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে, যারা তোমার সাথে দেশ ত্যাগ করেছে এবং কোন মু’মিনা নারী নাবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে, এবং নাবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও বৈধ। এটা বিশেষ করে তোমারই জন্য, অন্য মু’মিনদের জন্য নয়; যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। মু’মিনদের স্ত্রী এবং তাদের মালিকানাধীন দাসীদের সম্বন্ধে যা আমি নির্ধারিত করেছি তা আমি জানি। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

মুজিবুর রহমান

Related questions

...