প্রথমত, টয়লেটের মশা-মাছির শরীরে যে নাপাকি লেগে থাকে তা নিতান্তই সামান্য। যা চোখে দেখা বা বোঝা যায় না। আর সকল মশা-মাছির শরীরে নাপাকি লেগে থাকে বিষয়টিও অনিশ্চিত। সুতরাং পেশাব-পায়খানা বা টয়লেটের মশা-মাছি কাপড়ে বা শরীরে বসলে, শরীর বা কাপড় নাপাক হবে না। দ্বিতীয়ত, মশা-মাছি সাধারণত মানুষের শরীরে বসেই থাকে। সুতরাং মশা-মাছির শরীরে লেগে থাকা নাপাকী হতে বেঁচে থাকা মানুষের জন্য সাধ্যাতীত বিষয়। আর আল্লাহ তাআলা মানুষের সাধ্যের বাহিরে কোনো কিছু অর্পণ করেননি (আল-বাক্বারা, ২৮৬)। উল্লেখ্য যে, খাবারে মাছি পড়লে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই মাছিকে পুরোপুরি ডুবিয়ে দিয়ে তা খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৮২; মিশকাত, হা/৪১৪৩)। এখানে মাছি কোথা হতে আসল তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যদি মাছি বসার কারণে কোনো কিছু নাপাক হয়ে যেতো, তাহলে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন খাবার খাওয়ার অনুমতি দিতেন না। এ থেকে বোঝা যায়, শুধু মাছি বসার কারণে কোনো কিছু নাপাক হয় না।