আসসালামু আলাইকুম । এখানে রেজিস্ট্রেশন না করেই অংশগ্রহণ/ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন !
0 votes
99 views
in মাসআলা মাসায়েল by
YouTube/Facebook এ বর্তমানে বিভিন্ন ইসলামিক ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দেওয়া হচ্ছে। এই মিউজিক সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী?

1 Answer

0 votes
by (2.0k points)

ইসলামে মিউজিক-বাদ্যযন্ত্র সর্বাবস্থায় হারাম। যদিও তা ইসলামিক কোনো বক্তব্য, সংগীত বা তেলাওয়াতের ব্যাকগ্রাউন্ডে লাগানো হয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে যারা অশ্লীল গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র ক্রয় করে নেয়’ (আল-লুক্বমান, ৩১/৬)। বর্তমানে এই মিউজিকের বিষয়টি অনেকেই হালকা মনে করে থাকে, এটা হারাম হওয়ার প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপ করে না। আবাল, বৃদ্ধ, ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড় নির্বিশেষে প্রায় সকলেই মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে মিউজিকমিশ্রিত ইসলামী সংগীত, বক্তব্যসহ আরো অনেক কিছু শুনে থাকেন এবং সংগীত পরিবেশকরা মিউজিকমিশ্রিত সংগীত পরিবেশন করে থাকেন যা সম্পূর্ণ হারাম এবং রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভবিষ্যতবাণীর প্রতিফলিত রূপ। আবূ মালেক আল-আশআরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, তিনি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, ‘অবশ্যই (কিয়ামতের পূর্বে) আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব হবে যারা যেনা-ব্যাভিচার, রেশমি কাপড় পরিধান, মদ্যপান ও বাদ্যযন্ত্র হালাল মনে করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৫৯০; সিলসিলা ছহীহা, হা/৯১)। ছাহাবায়ে কেরাম বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে কত সতর্ক ছিলেন তা নিচের হাদীছ থেকে অনুমান করা যায়। ইবনু উমারের গোলাম নাফে‘ বলেন, ইবনু উমার বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ শুনতে পেয়ে তার আঙুল কানে প্রবেশ করালেন এবং যে রাস্তায় বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ হচ্ছিল সে রাস্তা থেকে দূরে চলে গেলেন এবং আমাকে বললেন, হে নাফে‘ তুমি কি আওয়াজ শুনতে পাচ্ছ? বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, না, আওয়াজ শুনা যায় না। তখন তিনি কান থেকে আঙুল বের করে বললেন, আমি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তিনি এরকম আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন এবং আমার মতো করেছিলেন (আবূ দাঊদ, হা/৪৯২৪)।

Related questions

...