আসসালামু আলাইকুম । এখানে রেজিস্ট্রেশন না করেই অংশগ্রহণ/ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন !
0 votes
419 views
in মাসআলা মাসায়েল by (100 points)
edited by
কুকুরের চামড়া দিয়ে জায়নামাজ বানানো যাবে কিনা এবং কুকুরের কোন অংশ দিয়ে মানুষের শারীরিক কোন চিকিৎসা করা যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (380 points)
জবাবঃ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়। সহীহ্‌, প্রাগুক্ত ফুটনোটঃ এ হাদীস মোতাবিক বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন । তারা মৃত প্রাণীর চামড়ার বিষয়ে বলেছেন, প্রক্রিয়াজাতের পর তা পবিত্র বলে বিবেচিত । এই হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম শাফিঈ বলেছেন, প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়, কুকুর ও শূকরের চামড়া ব্যতীত (তা অপবিত্র ও হারাম) । তার মতের সপক্ষে তিনি অত্র হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন । হিংস্র প্রাণীর চামড়ার ব্যবহারকে একদল সাহাবী ও তৎপরবর্তীগণ মাকরূহ বলেছেন । এটা পরতে এবং এর উপর নামায আদায় করতে তারা বারণ করেছেন । এই মত আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাকের । ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, “প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই কথার তাৎপর্য হল, যেসব পশুর গোশত খাওয়া বৈধ, এখানে শুধু সেসব পশুর চামড়ার কথা বলা হয়েছে । নাযর ইবনু শুমাইলও একই ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, যেসব পশুর গোশত খাওয়া বৈধ তাকেই (আরবী ভাষায়) ইহাব বলা হয় এবং সেই ক্ষেত্রে এই হাদীসের বিধান প্রযোজ্য । আবূ ঈসা বলেন, সালামা ইবনু মুহাব্বিক, মাইমুনা ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে । ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ । রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ইবনু আব্বাসের বরাতে বিভিন্ন সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে । রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মাইমুনার বরাতেও ইবনু আব্বাসের সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে । সাওদার বরাতেও ইবনু আব্বাসের সূত্রে এটি বর্ণিত আছে । আমি (আবূ ঈসা) মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ইবনু আব্বাসের বর্ণনা এবং মাইমূনার বরাতে ইবনু আব্বাসের উভয় বর্ণনাকেই সহীহ্‌ বলতে শুনেছি । সম্ভবতঃ ইবনু আব্বাস মাইমূনার সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন । আবার কোন সময় মাইমূনার উল্লেখ না করে ইবনু আব্বাস সরাসরি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতেও বর্ণনা করেছেন । এ হাদীস মোতাবিক বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন । একই কথা বলেছেন সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাকও। null, হাদিস নং ১৭২৮ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

_*মৃত প্রাণীর প্রক্রিয়াজাত চামড়ার ব্যবহার প্রসঙ্গে*_ ১৭২৮। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়। সহীহ, প্রাগুক্ত এ হাদীস মোতাবিক বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। তারা মৃত প্রাণীর চামড়ার বিষয়ে বলেছেন, প্রক্রিয়াজাতের পর তা পবিত্র বলে বিবেচিত। এই হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম শাফিঈ বলেছেন, প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়, _*কুকুর ও শূকরের চামড়া ব্যতীত (তা অপবিত্র ও হারাম)।*_ তার মতের সপক্ষে তিনি অত্র হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। হিংস্র প্রাণীর চামড়ার ব্যবহারকে একদল সাহাবী ও তৎপরবর্তীগণ মাকরূহ বলেছেন। এটা পরতে এবং এর উপর নামায আদায় করতে তারা বারণ করেছেন। এই মত আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাকের। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, “প্রক্রিয়াজাতের পর যে কোন চামড়া পবিত্র হয়ে যায়” _*রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই কথার তাৎপর্য হল, যেসব পশুর গোশত খাওয়া বৈধ, এখানে শুধু সেসব পশুর চামড়ার কথা বলা হয়েছে। নাযর ইবনু শুমাইলও একই ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, যেসব পশুর গোশত খাওয়া বৈধ তাকেই (আরবী ভাষায়) ইহাব বলা হয় এবং সেই ক্ষেত্রে এই হাদীসের বিধান প্রযোজ্য।*_ আবূ ঈসা বলেন, সালামা ইবনু মুহাব্বিক, মাইমুনা ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ইবনু আব্বাসের বরাতে বিভিন্ন সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মাইমুনার বরাতেও ইবনু আব্বাসের সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। সাওদার বরাতেও ইবনু আব্বাসের সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। আমি (আবূ ঈসা) মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ইবনু আব্বাসের বর্ণনা এবং মাইমূনার বরাতে ইবনু আব্বাসের উভয় বর্ণনাকেই সহীহ বলতে শুনেছি। সম্ভবতঃ ইবনু আব্বাস মাইমূনার সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। আবার কোন সময় মাইমূনার উল্লেখ না করে ইবনু আব্বাস সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেও বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস মোতাবিক বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। একই কথা বলেছেন সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকও। , . باب مَا جَاءَ فِي جُلُودِ الْمَيْتَةِ إِذَا دُبِغَتْ‏ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَعْلَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَيُّمَا إِهَابٍ دُبِغَ فَقَدْ طَهُرَ ‏"‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا فِي جُلُودِ الْمَيْتَةِ إِذَا دُبِغَتْ فَقَدْ طَهُرَتْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ الشَّافِعِيُّ أَيُّمَا إِهَابِ مَيْتَةٍ دُبِغَ فَقَدْ طَهُرَ إِلاَّ الْكَلْبَ وَالْخِنْزِيرَ ‏.‏ وَاحْتَجَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِنَّهُمْ كَرِهُوا جُلُودَ السِّبَاعِ وَإِنْ دُبِغَ وَهُوَ قَوْلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَشَدَّدُوا فِي لُبْسِهَا وَالصَّلاَةِ فِيهَا ‏.‏ قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ إِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَيُّمَا إِهَابٍ دُبِغَ فَقَدْ طَهُرَ ‏"‏ ‏.‏ جِلْدُ مَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ هَكَذَا فَسَّرَهُ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ قَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ إِنَّمَا يُقَالُ الإِهَابُ لِجِلْدِ مَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ وَمَيْمُونَةَ وَعَائِشَةَ ‏.‏ وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْهُ عَنْ سَوْدَةَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يُصَحِّحُ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَحَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ وَقَالَ احْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ رَوَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ مَيْمُونَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ _*গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী[তাহকীককৃত]অধ্যায়ঃ ২২/ পোশাক পরিচ্ছদ (كتاب اللباس)হাদিস নম্বরঃ ১৭২৮*_

Related questions

...