আসসালামু আলাইকুম । এখানে রেজিস্ট্রেশন না করেই অংশগ্রহণ/ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন !
0 votes
93 views
in মাসআলা মাসায়েল by
জন্মদিন উপলক্ষ্যে অসহায় মানুষকে টাকা বা অন্যান্য কিছুদিয়ে সহায়তা করলে সেটা কি নেকীর কাজের অর্ন্তভুক্ত হবে?

1 Answer

0 votes
by (2.0k points)

ইসলাম ধর্মে উৎসবের দিন দুইটি ১. ঈদুল আযহা ২. ঈদুল ফিতর। বাকি সকল উৎসব বিদ‘আত। ছাহাবীগণ কখনো নিজের কিংবা কারো জন্মদিন পালন করেননি এবং এদিনকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো আমল করেননি।  আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় আগমন করার পর দেখলেন তাদের দুটি দিন ছিল। এ দিন দুটিতে তারা খেলাধূলা ও আমোদ-প্রমোদ করত। (এ দেখে) তিনি (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এ দুটি দিন কি? তারা বলল, ইসলামের পূর্বে জাহিলিয়্যাতের সময় এ দিন দুটিতে আমরা খেলাধূলা করতাম। এ কথা শ্রবণ করে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ দুদিনের পরিবর্তে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য আরো উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। এর একটি হলো ঈদুল আযহার দিন ও অপরটি ঈদুল ফিতরের দিন’ (নাসঈ, হা/১৫৫৬; মিশকাত, হা/১৪৩৯)। জন্ম দিনকে কেন্দ্র করে সমাজে যা প্রচলিত আছে তার সবই বিজাতীয় কুসংস্কার ও শিরকের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামী সভ্যতায় এসবের কোনো অস্তিত্ব নেই। কেননা নির্ধারিত দিনে কোনো কল্যাণ বা বরকত রয়েছে মনে করা শিরক। আবূ ওয়াক্বিদ আল-লায়ছী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুনায়নের যুদ্ধে বের হলেন, তখন তিনি মুশরিকদের এমন এক গাছের নিকট দিয়ে গমন করলেন, যাতে তারা নিজেদের অস্ত্রসমূহ ঝুলিয়ে রাখত। উক্ত গাছটিকে ‘যাতু আনওয়াত’ বলা হত। এটা দেখে কোন কোন নতুন মুসলিমরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ সমস্ত মুশরিকদের মতো আমাদের জন্যও একটি ‘যাতু আনওয়াত’ ধার্য করে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (বিস্ময় প্রকাশে) বললেন, ‘সুবহা-নাল্ল-হ মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর সম্প্রদায়ও তাকে বলেছিল, ‘হে মুসা! আমাদের জন্য এরূপ উপাস্য নির্ধারণ করে দিন যেরূপ ঐ কাফের সম্প্রদায়ের উপাস্য রয়েছে’ ( আল আ’রাফ, ৭/১৩৮)। তোমরাও তো সেরূপ কথা বললে, সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয় তোমরা ঐ সকল লোকদের পথ অনুকরণ করে চলবে, যারা তোমাদের আগে অতীত হয়ে গেছে (মিশকাত, হা/৫৪০৮)।

Related questions

...