আসসালামু আলাইকুম । এখানে রেজিস্ট্রেশন না করেই অংশগ্রহণ/ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন !
0 votes
138 views
in অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ(হিন্দু,খ্রিস্টান...) by (89 points)
retagged by
সাধারণ মুসলমানদের জন্য শুধুমাত্র জানার উদ্দেশ্য অন্য  ধর্মগ্রন্থ পড়া কি জায়েজ? 

2 Answers

0 votes
by (1.3k points)
reshown by
যেহুতু অন্য ধর্মগ্রন্থ গুলো বিভিন্ন কারণে কম-বেশি বিকৃত হয়ে গেছে এজন্য সাধারণ মুসলিমদের জন্য কুরআন হাদীস ও শরীয়তের উপর খুব ভাল জ্ঞান ব্যতীত বিকৃত কিতাবগুলো পড়া জায়েজ নেই । হাদীসে আমরা পাই -

# হযরত জাবের (রা.) বলেন যে, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রা) তাওরাতের একটি কপি নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! এটি তাওরাতের একটি কপি। একথা শুনে তিনি চুপ রইলেন। অতঃপর ওমর (রা.) পড়তে শুরু করলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারা পরিবর্তিত হ’তে থাকল। তখন আবুবকর (রা.) ওমরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, তোমার সর্বনাশ হৌক! তুমি কি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারার অবস্থা দেখছ না? তখন ওমর রাসূল (সা)-এর চেহারার দিকে তাকালেন। অতঃপর (ক্ষমা চেয়ে) বললেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ক্রোধ হ’তে আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমরা আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদকে নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট রয়েছি’। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন নিহিত, তার কসম করে বলছি, যদি আজ মূসা তোমাদের নিকটে আবির্ভূত হ’তেন। আর তোমরা তার অনুসরণ করতে এবং আমাকে পরিত্যাগ করতে, তাহ’লে অবশ্যই তোমরা সরল পথ হ’তে বিচ্যুত হ’তে। যদি মূসা বেঁচে থাকতেন ও আমার নবুঅতকাল পেতেন, তাহ’লে অবশ্যই তিনি আমার অনুসরণ করতেন’।
-দারেমী। মিশকাত হা/১৯৪, আলবানী সনদ হাসান।

সুতরাং হাদীসে দেখতে পাই ওমর (রা) এর মত উচ্চ মর্যাদার সাহাবীর বিকৃত কিতাব পাঠেই রাসূলুল্লাহ কি পরিমাণ রাগান্বিত হয়েছেন আর সাধারণ মুসলিমদের কথাত বাদ ।

তবে অমুসলিমদের দাওয়াতের কাজের জন্যও কি তা জানা যাবে না ?
অমুসলিমদের দাওয়াতের জন্য বা তাদের সাথে ইসলামের সাদৃশ্য তুলে ধরতে হলে বা বিচার করার জন্য তাদের কিতাব জানা আবশ্যক । কুরআন , হাদিস , শরীয়া , ফিকহের উচ্চ জ্ঞান থাকতে হবে যেন সে বিকৃত কিতাবের ভুলগুলো ধরতে পারে ও সেই অনুযায়ী মানুষকে সতর্ক করতে পারে । হাদিসে আমরা দেখতে পাই অনেক সময় তাওরাতের আইন দিয়েই ইহুদিদের বিচার করা হয়েছে ।

সাধারণ মুসলিমদের এত জ্ঞান নেই তাই তাদের কোন বিকৃত কিতাব পড়া জায়েজ নেই । তাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে আগে কুরআন ও হাদীস ভালমত অধ্যয়ন করা ।

আল্লাহু আলাম ।
0 votes
by (1.9k points)
যেহুতু অন্য ধর্মগ্রন্থ গুলো বিভিন্ন কারণে কম-বেশি বিকৃত হয়ে গেছে এজন্য সাধারণ মুসলিমদের জন্য কুরআন হাদীস ও শরীয়তের উপর খুব ভাল জ্ঞান ব্যতীত বিকৃত কিতাবগুলো পড়া জায়েজ নেই । হাদীসে আমরা পাই -

# হযরত জাবের (রা.) বলেন যে, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রা) তাওরাতের একটি কপি নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! এটি তাওরাতের একটি কপি। একথা শুনে তিনি চুপ রইলেন। অতঃপর ওমর (রা.) পড়তে শুরু করলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারা পরিবর্তিত হ’তে থাকল। তখন আবুবকর (রা.) ওমরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, তোমার সর্বনাশ হৌক! তুমি কি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারার অবস্থা দেখছ না? তখন ওমর রাসূল (সা)-এর চেহারার দিকে তাকালেন। অতঃপর (ক্ষমা চেয়ে) বললেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ক্রোধ হ’তে আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমরা আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদকে নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট রয়েছি’। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন নিহিত, তার কসম করে বলছি, যদি আজ মূসা তোমাদের নিকটে আবির্ভূত হ’তেন। আর তোমরা তার অনুসরণ করতে এবং আমাকে পরিত্যাগ করতে, তাহ’লে অবশ্যই তোমরা সরল পথ হ’তে বিচ্যুত হ’তে। যদি মূসা বেঁচে থাকতেন ও আমার নবুঅতকাল পেতেন, তাহ’লে অবশ্যই তিনি আমার অনুসরণ করতেন’।
-দারেমী। মিশকাত হা/১৯৪, আলবানী সনদ হাসান।

সুতরাং হাদীসে দেখতে পাই ওমর (রা) এর মত উচ্চ মর্যাদার সাহাবীর বিকৃত কিতাব পাঠেই রাসূলুল্লাহ কি পরিমাণ রাগান্বিত হয়েছেন আর সাধারণ মুসলিমদের কথাত বাদ ।

তবে অমুসলিমদের দাওয়াতের কাজের জন্যও কি তা জানা যাবে না ?
অমুসলিমদের দাওয়াতের জন্য বা তাদের সাথে ইসলামের সাদৃশ্য তুলে ধরতে হলে বা বিচার করার জন্য তাদের কিতাব জানা আবশ্যক । কুরআন , হাদিস , শরীয়া , ফিকহের উচ্চ জ্ঞান থাকতে হবে যেন সে বিকৃত কিতাবের ভুলগুলো ধরতে পারে ও সেই অনুযায়ী মানুষকে সতর্ক করতে পারে । হাদিসে আমরা দেখতে পাই অনেক সময় তাওরাতের আইন দিয়েই ইহুদিদের বিচার করা হয়েছে ।

সাধারণ মুসলিমদের এত জ্ঞান নেই তাই তাদের কোন বিকৃত কিতাব পড়া জায়েজ নেই । তাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে আগে কুরআন ও হাদীস ভালমত অধ্যয়ন করা ।

আল্লাহু আলাম ।

Related questions

...