প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান বা সদস্যগণ জেনে-শুনে উক্ত হারাম উপার্জন থেকে ভক্ষণ করলে গোনাহগার হবে এবং তাদেরও ইবাদত কবুল হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র তিনি পবিত্র ছাড়া গ্রহণ করেন না (মুসলিম, হা/১০১৫; মিশকাত, হা/২৭৬০)। তাছাড়া এতে অন্যায়ের সমর্থন করা হবে। যা করতে মহান আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা অন্যায় ও পাপ কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ, ২)। তবে সদস্যরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে এবং উপার্জনক্ষম না হলে উক্ত উপার্জন হতে ভক্ষণ করা বৈধ হবে। কেননা তারা শরী‘আতের মুকাল্লাফ নয়। তাদের প্রতিপালনের দায়িত্ব পিতা-মাতার। সুতরাং পিতার হারাম উপার্জনের জন্য সন্তান দায়ী হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘কোন বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না’ (নাজম, ৩৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন প্রাণ অপরের অপরাধের কারণে দন্ডিত হবে না’ (নাসাঈ, হা/৪৮৪৯, ৪৮৫০, ৪৮৫১; ইরওয়াউল গালীল, হা/২৩০৩)।