অসুখ বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকলে ওযূ নয় বরং তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে। কারণ তায়াম্মুম ওযূ-গোসল উভয়েরই স্থলাভিষিক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যদি তোমরা পীড়িত হও। কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ পায়খানা হতে আসে কিংবা তোমরা স্ত্রীদেরকে স্পর্শ কর (স্ত্রী সহবাস কর), অতঃপর পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও’ (মায়েদাহ, ৬)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) এক শীতের রাতে নাপাক অবস্থায় তায়াম্মুম করেন ও তাঁর সাথীদের ছালাতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি দলীল হিসাবে আল্লাহর বাণী পাঠ করেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের প্রতি দয়াবান’ (নিসা, ২৯; ছহীহ বুখারী, ১/৪৯ পৃঃ; আবুদাঊদ, হা/৩৩৪)। ‘আত্বা ইবনু আবু রাবাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে এক ব্যক্তি আহত হয়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া হয়। অতঃপর সে গোসল করলে তার মৃত্যু হয়। এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, এরা লোকটিকে হত্যা করেছে। আল্লাহ যেন এদের ধ্বংস করেন! অজ্ঞতার প্রতিষেধক জিজ্ঞেস করা নয় কী? (আবুদাঊদ, হা/৩৩৭, সনদ হাসান)।