স্বামীকে কাফফারাস্বরূপ একাধারে ৬০টি ছিয়াম পালন করতে হবে আর স্ত্রীকে শুধু একদিন ক্বাযা করতে হবে। ছিয়াম পালনে অক্ষম ব্যক্তিকে ৬০ জন মিসকীন খাওয়াতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মিসকীনকে খাওয়ানোর ব্যাপারে
একসঙ্গে কথাটি বলেননি। যেমনভাবে তিনি একাধারে ছিয়াম পালনের কথা বলেছেন। সে হিসাবে সামর্থ্যানুসারে থেমে থেমে খাওয়ালেও হবে। তবে একসঙ্গে খাওয়ানোই উত্তম। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট বসে ছিলাম। এমন সময় তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেন, তোমাকে কিসে ধ্বংস করল? সে বলল, আমি রামাযানের ছিয়াম অবস্থায় আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি কি একটি দাস মুক্ত করার সামর্থ্য রাখ? সে বলল, না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তাহলে তুমি কি ক্রমাগত দু’মাস ছিয়াম পালন করতে পারবে? সে বলল, না। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি কি ৬০ জন মিসকীনকে খাওয়াতে পারবে? সে বলল, না। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বললেন, ‘তুমি বসো’। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট খেজুর ভর্তি একটা পাত্র নিয়ে আসা হলো। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘এই পাত্রের খেজুরগুলো তুমি ছাদাক্বাহ করে দাও’। লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমি কি এগুলো আমার চেয়েও গরীবকে ছাদাক্বাহ করব? আল্লাহর কসম! মদীনার উভয় প্রান্তে এমন কোনো পরিবার নেই, যারা আমার পরিবারের চেয়ে বেশি অভাবী। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এমনভাবে হেসে উঠলেন, যাতে তাঁর সামনের দাঁতগুলো প্রকাশ হয়ে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি এটা নিয়ে যাও এবং তোমার পরিবারের লোকদের খাওয়াও’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৩৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১১১১; মিশকাত, হা/২০০৪)।