সাধারণ কোন বিপদাপদে মিথ্যা বলা যাবে না। কেননা মিথ্যা বলা যায় তিনটি স্থানে। যথা, (১) মীমাংসার জন্য, (২) যুদ্ধক্ষেত্রে, (৩) স্ত্রী-স্বামী পরস্পরের নিকট (ছহীহ আবুদাঊদ, হা/৪৯২১; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৬৫,২৬০৫; মিশকাত, হা/৫০৩১ ও ৫০৩৩)। এছাড়া কল্যাণকর কাজের স্বার্থেও সাময়িকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যায়। যেমন ইবরাহীম (আঃ) বলেছিলেন, ‘আমি পীড়িত’ (ছাফফাত, ৮৯)। মূর্তি ভাঙ্গার পরে তিনি বড় মূর্তিকে দোষারোপ করে বলেছিলেন, ‘এই বড়টাই তো একাজ করেছে। অতএব তাকে জিজ্ঞেস কর’ (আম্বিয়া, ৬৩)। ইউসুফ (আঃ) ভাইদের রসদপত্রের মধ্যে পানপাত্র লুকিয়ে রেখে ঘোষককে দিয়ে বলেছিলেন, হে কাফেলার লোকজন! তোমরা অবশ্যই চোর’ (ইউসুফ, ৭০)। উল্লেখ্য, এগুলো প্রকৃত অর্থে মিথ্যা নয়; বরং ‘তাওরিয়াহ’। যা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই করা হয়ে থাকে। তবে বিপদে প্রাণ নাশের আশঙ্কা থাকলে মিথ্যা বলা যেতে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ কর না’ (বাক্বারাহ, ২/১৯৫)।