এ অবস্থায় ছালাত কবুল হবে না। কেননা বিড়ি বা তামাক নেশাদার বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘প্রত্যেক নেশাদার বস্তুই হারাম’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৬৮৭; মিশকাত, হা/৩৬৫২)। অতএব তামাক উৎপাদন করা, এর ব্যবসা করা, এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সবই হারাম। কেননা সেখানে কাজের বিনিময়ে যে পয়সা বা বেতন দেওয়া হয় তা ঐ হারাম বস্তুর মূল্য বা লভ্যাংশ থেকেই দেওয়া হয়। অথচ তা স্পষ্ট হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘মহান আল্লাহ যখন কোনো জিনিসকে হারাম করেন তখন তার মূল্যকেও হারাম করেন’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৪৮৮; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, হা/২৩৫৯)। তাছাড়া সেখানে চাকরি করলে মূলত ঐ হারাম বা পাপ কাজেই সহযোগিতা করা হয়, যা করতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন (আল-মায়েদা, ৫/২)। সুতরাং বিড়ি বা তামাকের কারখানায় কাজের বিনিময়ে যা উপার্জন করা হয় তা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছালাত কবুল হবে না। কেননা আল্লাহ পবিত্র; পবিত্র ছাড়া তিনি কোনো কিছু গ্রহণ করেন না (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৫; মিশকাত, হা/২৭৬০)।