সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক এর তালিকা জেনে নিই (পর্ব ৮)।

শিরক
পর্ব ৮ঃ

শিরক হচ্ছে সকল পাপের চাইতে বড় পাপ। যা আল্লাহ তা’আলা কখনো ক্ষমা করবেন না(দুনিয়ায় থাকতে ক্ষমা না চাইলে)। শিরক করলে জীবনের সকল নেক আমল মুহুর্তে নষ্ট হয়ে যায় ও আল্লাহকে অপমান করা হয়।

সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক এর তালিকাঃ

<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে শিরক হয় । –>

1) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে ধই বলতে হয়।
2) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
3) কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
4) বিনা ওযুতে বড় পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যাবে।
5) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কেননা বলা হয় কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
6) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
7) মহিলাগণ হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হবে।
8) স্ত্রীগণ তাদের নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামীর বেঁচে না থাকার প্রমাণ।
9) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে।
10) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে।
11)বেচা কেনার সময় জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লক্ষ টাকা হলে তদস্থলে এক লক্ষ এক টাকা দিতে হবে। যেমন, দেন মোহর (কাবীন) এর সময় করে থাকে, একলক্ষ এক টাকা ধার্য করা হয়।স্বাভাবিক ভাবে করা যাবে কিন্তু বিজোড় না করলে অমঙ্গল হবে এই বিশ্বাস বা উদ্দেশ্যে করা যাবে না।
12) বন্ধু মহলে কয়েকজন বসে গল্প-গুজব করছে, তখন তাদের মধ্যে অনুপস্থিত কাউকে নিয়ে কথা চলছে, এমতাবস্থায় সে উপস্থিত হলে, কেউ কেউ বলে উঠে ‘দোস্ত তোর হায়াত আছে।’ কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম।
13) হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুখ: আসে।
14) ইষ্টি কুটুম পাখি ডাকলে বলা হয় আত্মীয় আসবে।
15) স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়।
16) বাছুর এর গলায় জুতার টুকরা ঝুলালে কারো কু দৃষ্টি থেকে বাচা যায়।
17)খালি ঘরে সন্ধ্যায় বাতি দিতে হয়, না হলে বিপদ অনিবার্য।
18)নবী করিম সা.-এর নাম শুনলে হাতে চুম্বন খাওয়া, তদ্রুপ মক্কা-মদিনার ছবি দেখলে চুমো খাওয়া।
19)পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়।
20)ছোট বাচ্চাদের শরীরে লোহা জাতীয় কিছু বেঁধে দিতে হয়, তাতে সে দুষ্টু জ্বীন-শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   ব্যভিচার বিষয়ক আয়াত
বিঃদ্রঃ যদি কারোর কোন পয়েন্ট নিয়ে সন্দেহ থাকে যে এটা কিভাবে শিরক হবে বা কোথায় আছে এগুলো বা এর রেফারেন্স কোথায় তাহলে নিচে কমেন্টে উল্লেখ করুন।ইং-শা-আল্লাহ সন্দেহ দূর করা হবে।
MuslimPoint Organization

About MuslimPoint Organization

MuslimPoint একটি অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থাগার, ব্লগিং, কুরআন, হাদিস, কুইজ এবং বিষয় ভিত্তিক রেফারেন্স প্ল্যাটফর্ম।

View all posts by MuslimPoint Organization →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *