আটরশি পীর এর ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ

পীর মুরিদ muslimpoint
আটরশি পীর এর ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ

বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, ২৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪ ইং এর প্রকাশিত সংবাদঃ পীর সাহেব বলেন, “হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানগণ নিজ নিজ ধর্মের আলোকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারে”।

অথচ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ

إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ ۗ [٣:١٩]

নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। [সূরা আলে ইমরান-১৯]

وَقُل لِّلَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْأُمِّيِّينَ أَأَسْلَمْتُمْ ۚ فَإِنْ أَسْلَمُوا فَقَدِ اهْتَدَوا ۖ وَّإِن تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا عَلَيْكَ الْبَلَاغُ ۗ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ [٣:٢٠]

আর আহলে কিতাবদের এবং নিরক্ষরদের [আরব মুশরকেদের] বলে দাও যে, তোমরাও কি আতœসমর্পণ করেছ? তখন যদি তারা আতœসমর্পণ করে, তবে সরল পথ প্রাপ্ত হলো, আর যদি মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তাহলে তোমার দায়িত্ব হলো শুধু পৌঁছে দেয়া। আর আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা। [সূরা আলে ইমরান-২০]

وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ [٣:٨٥]

যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত। [সূরা আলে ইমরান-৮৫]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَسْمَعُ بِي أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ يَهُودِيٌّ، وَلَا نَصْرَانِيٌّ، ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ، إِلَّا كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ঐ সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, এ উম্মতের ইয়াহুদী বা খৃষ্টান যে-ই আমার দাওয়াত পাে আর আমার আনীত দ্বীনের উপর ঈমান না এনে মৃত্যুবরণ করবে, সে হবে জাহান্নামী। [সহীহ মুসলিম-১/৮৬, হাদীস নং-২৪০]

এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহঃ লিখেনঃ

وانما ذكر اليهود والنصرى تنبيها على من سواهما، لأن اليهود والنصارى لهم كتاب، فإذا كان هذا شانهم مع أن لهم كتابا فغيرهم ممن لا كتاب لهم أولى (شرح مسلم-1/86)

“ইয়াহুদ ও খৃষ্টানদের উল্লেখ এজন্যে করা হয়েছে যেন অন্যদের ব্যাপারে সতর্কারোপ হয়ে যায়। কেননা, ইয়াহুদ ও খৃষ্টানদের রয়েছে আসমানী কিতাব। তাদের নিকট আসমানী কিতাব থাকা সত্ত্বেও যখন অবস্থা এমন, তাহলে যাদের কিতাব নেই তাদের অবস্থাতো বলার অপেক্ষাই রাখে না”। [শরহে মুসলিম-১/৮৬]
————————————————–
আটরশী পীর ছাহেবের মৌলিক বিভ্রান্তিগুলির অন্যতম হ’ল-

>> (১) পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আবশ্যকতা নেই।
যেমন পীর ছাহেব বলেছেন,

‘হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানগণ নিজ নিজ ধর্মের আলোকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারে এবং তাহ’লেই কেবল বিশ্বে শান্তি আসতে পারে’

——(আটরশীর কাফেলা, সংকলনে মাহফূযুল হক, আটরশীর দরবার থেকে প্রকাশিত, ৮৯ পৃঃ, সংস্করণ-১৯৮৪, তাসাউফ, তত্ত্ব ও পর্যালোচনা, ১৪৭ পৃঃ, প্রকাশকাল-২০০০ খৃঃ)।

অথচ মানবজাতির জন্য আল্লাহ্র মনোনীত একমাত্র দ্বীন হ’ল ইসলাম (আলে ইমরান ১৯)।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম তালাশ করলে, তা কখনোই কবুল করা হবে না। এমন ব্যক্তি পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আলে-ইমরান ৮৫)।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তার শপথ করে বলছি, এ উম্মতের কেউ যদি আমার আনীত দ্বীন গ্রহণ ব্যতিরেকে মৃত্যুবরণ করে, সে ইহুদী হৌক বা খৃষ্টান হৌক, অবশ্যই সে জাহান্নামের অধিবাসী হবে
(মুসলিম হা/১৫৩, মিশকাত হা/১০)।

>> (২) ভাল-মন্দ পীরের হাতে। পীর ছাহেব বলেছেন, এনায়েতপুরী ছাহেব তিরোধানের পূর্বে আমাকে বলে গেছেন, ‘বাবা তোর ভাল-মন্দ উভয়টাই আমার হাতে রইল। তোর কোন চিন্তা নেই’

——(শাহছুফী হযরত ফরিদপুরী ছাহেবের নসিহত, ৩/১১১ পৃঃ, প্রকাশক : পীরজাদা মোস্তফা আমীর মুজাদ্দেদী, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ফরিদপুর, ৩য় মুদ্রণ ১লা মে-১৯৯৯ খৃষ্টাব্দ)।

এই আক্বীদা পীরকে সরাসরি আল্লাহ্র আসনে বসিয়ে দেওয়ার শামিল।
অথচ আল্লাহ বলেন,

‘(হে নবী)! বলুন, সবকিছুই আল্লাহর তরফ থেকে হয়’ (নিসা ৭৮)

অন্যত্র তিনি বলেন,
‘যদি আল্লাহ তোমাকে কষ্টে নিপতিত করেন, তাহলে তিনি ব্যতীত তা দূর করার কেউ নেই। আর যদি তিনি তোমার কোন কল্যাণ করতে চান, তবে প্রতিরোধের কেউ নেই’ (ইউনুস ১০৭)।

এছাড়াও সকল পীরপূজারীই এ বিশ্বাস করে থাকে যে, পীর পরকালে তাদের মুক্তির অসীলা হবে। অথচ স্বয়ং রাসূল (ছাঃ) নিজ কন্যা ফাতেমা (রাঃ)- কে লক্ষ্য করে বলছেন, হে ফাতেমা বিনতে মুহাম্মাদ! তুমি নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। আমি আল্লাহর আযাব থেকে তোমাকে রক্ষায় কিছুই করতে পারব না’ (মুসলিম হা/২০৪)।

উক্ত আলোচনায় তাদের আক্বীদা সম্পর্কে সামান্য কিছু ধারণা দেওয়া হ’ল। এছাড়াও তাদের আরো বিভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ রয়েছে, যা থেকে দূরে থাকা আবশ্যক।

———————————————————-
কথিত পীর নামধারী বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী নামক আটরশী পিরের ভ্রান্ত আকিদ্বা আমমরা অনেকই জানি না। আসুন তাদের বইগুলি থেকে তাদের ভ্রান্ত আকিদ্বা গুলি জানি

★ আটরশী পীর সাহেব বলেন, আমাকে আমার পীর এনায়েতপুরী সাহেব বলেন বাবা তোর ভাল মন্দ সব আমার হাতে। তোর কোন ধরনের চিন্তা নেই (নাউযু্বিল্লাহ) প্রমান : ফরিদপুরী সাহেবের নসিহত ৩/১১।

★ আটরশী পীর বলেন দুনিয়াতে সব ধরনের বিপদ আপদ হয়তে রক্ষা করিবার ক্ষমতা পীর হাতে : নাউযু্বিল্লাহ /
প্রমান – হযরত ফরিদপুরী সাহেবের নসিহত ৬/ ৩৬ পৃষ্টা।

★ আটরশী পীরের আকিদ্বা মতে পরকালে মুক্তি পাবার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার দরকার নেই। যে কোন ধর্ম থেকেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব / নাউযুবিল্লাহ
প্রমান : তাসাউফও তত্ত্বপর্ব – ১৪৭ পৃষ্টা।

★ তাদের মতে কবরে তাদের পীর আগমন করে তাদেরকে তালিম দিবেন যাতে হাশরের মাঠে তারা পার পেয়ে যান ( নাউযুবিল্লাহ)
এছাড়া তাদের অনেক ভ্রান্ত অাকিদ্বা রয়েছে যা পরবর্তি তে লেখবো ইনশাআল্লাহ
আল্লাহর কাছে পানাহ চায় সমস্ত মুসলমানদের জন্য এসমস্ত বদ নিকৃষ্ট ভন্ড পথভ্রষ্ট পীরদের কাছ থেকে।
——————————————————————————————-

১। পীর সম্বন্ধে অতিরঞ্জন ধারণা তাদের একটি প্রধান বিভ্রান্তি।
যেমন-
১) আটরশি পীর বলেছেন- এনায়েতপুরী সাহেব (কুঃ) ছাহেব তিরোধানের পূর্বে আমাকে বলিয়া গিয়াছেন, “বাবা তোর ভাল ও মন্দ উভয়টাই আমার হাতে রইল। তোর কোন চিন্তা নেই।
অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন- “তুমি বলে দাও সবকিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে। এই সম্প্রদায়ের কী হল যে, এরা কোন কথা বুঝতে পারে না।” –সুরা নিসা, আয়াত ৭৮।
উল্লেখ্য, এ শ্রেণীর লোকেরা পীরকে খোদার স্তরে পৌঁছে দিয়ে পীরের মধ্যে খোদায়ী গুন আরোপ করেছে। তাই ভালো মন্দ সম্পাদনা করার খোদায়ী গুন পীরের মধ্যে থাকাকে সাব্যস্ত করেছে। যারা আল্লাহ ও রাসুলের মধ্যে পার্থক্য না করার মত পোষণ করেন বা মানুষের মধ্যে আল্লাহর প্রবেশ করার মত পোষণ করেন বা পীর মাশায়েখকে খোদার স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন, তারা এ বিষয় সাধারণত সর্বেশ্বরবাদ দর্শনের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে এটা করে থাকেন।
পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে- “আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন-কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর।” -সূরা বাক্বারাহ, আয়াত ৯৬।
২) পীর পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিবে:
আটরশী পীর বলেন- “দুনিয়াতে থাকাবস্থায় তোমরা খোদা প্রাপ্তির পথে যে টুকু অগ্রসর হও না কেন, তোমাদের ছাহেবে-ছুলুফ যদি জীবৎকালে সম্পন্ন নাও হয়, তবুও ভয় নাই। মৃত্যুর পরে কবরের মধ্যে দুই পুণ্যাত্মা (অর্থাৎ রাসুল (সাঃ) এবং আপন পীর) তোমাদের প্রশিক্ষণ দিবেন। মা’রেফাতের তালিম দিবেন, ফলে হাশরের মাঠে সকলেই আল্লাহর অলী হইয়া উঠিবেন। এই কারনে বলা হয় এই তরিকায় যিনি দাখিল হন তিনি আর বঞ্চিত হন না”।
পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে- “বল, আমি কি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন প্রতিপালক খুঁজবো ? অথচ, তিনিই সকল কিছুর প্রতিপালক। প্রতিটি আত্মা তার নিজ কর্মের প্রতিফলের জন্য দায়ী। কেউ অন্য কারও পাপের ভার বহন করবে না। তোমাদের সর্বশেষ লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন। অতঃপর যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করতে তার সত্যতা সম্বন্ধে তিনি তোমাদের অবহিত করবেন।” –সূরা আন্আম, আয়াত ১৬৪।
অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে- “কেউ কারো পাপের ভার বহন করবে না; কারো পাপের বোঝা গুরুভার হলে সে যদি অন্যকে তা বহন করতে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না – নিকট আত্মীয় হলেও। তুমি তো শুধু তাদেরকেই সর্তক করতে পার যারা তাদের প্রভুকে না দেখেই ভয় করে, এবং নিয়মিত নামাজকে প্রতিষ্ঠা করে। যে কেউ নিজেকে পরিশুদ্ধ করে, সে তো তা করে নিজের আত্মার কল্যাণের জন্য এবং [সকলেরই শেষ] গন্তব্যস্থল হচ্ছে আল্লাহ।” –সূরা ফাতির, আয়াত ১৮।
কাজেই পীর ধরলেই মুক্তি হবে এমন ধারণা চরম গোমরাহী মূলক আকীদা। পীর তালিম দিয়ে বা কোনভাবে মুরীদের নাজাতের ব্যবস্থা করতে পারবে এ ধারণা ভ্রান্ত। কেউ নিজে আমল করে নাজাতের ব্যবস্থা না করলে কোন পীর তাকে নাজাত দিতে পারবে না।
কোরানে বলা হয়েছে, “যখন [বিচারে] সব কিছুর সিদ্বান্ত হয়ে যাবে শয়তান বলবে, আল্লাহ-ই তোমাদের সত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমিও দিয়েছিলাম কিন্তু আমি তোমাদের প্রতি প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছি। তোমাদের আহবান করা ব্যতীত তোমাদের উপরে আমার কোন কর্তৃত্ব ছিলো না; কিন্তু তোমরা আমার আহবানে সাড়া দিয়েছ। সুতারাং আমাকে ভৎর্সনা কর না, বরং তোমাদের নিজ আত্মাকে ভৎর্সনা কর। আমি তোমাদের আর্তনাদ শুনতে পাই না, তোমরাও আমারটা শুনতে পাও না। পূর্বে তোমরা আমাকে আল্লাহর সাথে যে শরীক করেছিলে, তোমাদের সে কর্ম আমি অস্বীকার করি। পাপীদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।” –সূরা ইব্রাহীম, আয়াত ২২।
৩) পীর দুনিয়াতে সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে পারেন। আটরশি পীর সাহেব বলেন, “মুর্শিদে কামেল তদীয় মুরীদ পৃথিবীর যে স্থানেই থাকুক না কেন সেই স্থানেই তাহাকে কুওতে এলাহিয়ার হেফাযতে রাখিতে পারেন। মুর্শিদে কামেলকে আল্লাহ এইরূপ ক্ষমতা দান করেন। শুধু মুরীদকেই নয় মুরীদের আত্মীয়-স্বজন, মাল সামানা, বাড়ী ঘর যাহা কিছুই খেয়াল করুক, তাহার সব কিছুই আল্লাহ তা’আলার কুওতের কেল্লায় বন্দী করিয়া দেন”।
এ ধারণা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী ধারণা। আল্লাহপাক কারও কোন বিপদের ফয়সালা করলে কেউ তাকে উদ্ধার করতে পারবে না।
কোরআনে করীমের এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- “যদি আল্লাহ তোমাদের কোন অকল্যাণ ঘটান, তাহলে তা হটানোর কেউ নেই। যদি তিনি তোমার কল্যাণ চান, তবে তাঁর অনুগ্রহ রদ করার কেউ নাই। তার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি কল্যাণ দান করেন। তিনি বার বার ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” –সুরা ইউনুস, আয়াত ১০৭।
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে- “সেদিন সম্বন্ধে সর্তক কর, যেদিন নিকটবর্তী হচ্ছে, যেদিন হৃদয় কণ্ঠাগত হয়ে তাদের শ্বাসরোধ করবে। পাপীদের এমন কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু বা সুপারিশকারী থাকবে না যার কথা গ্রাহ্য করা হবে। [আল্লাহ] চোখের প্রতারণা অবগত আছেন, এবং [মানুষের] অন্তর যা, গোপন করছে তাও জানেন।” –সূরা মুমিন, আয়াত ১৮-১৯।
পীর তার মুরীদ ও মুরীদদের আত্মীয়-স্বজনকে সব ধরনের বিপদ আপদ থেকে উদ্ধার করতে পারলে আটরশির মুরীদ ও মুরিদদের আত্মীয়-স্বজন কেন পথে ঘাটে দুর্ঘটনার স্বীকার হন? কেন তারা আততায়ীর হাতে নিহত হন? কেন তাদের বাড়ি ঘরে চুরি ডাকাতি হয়?
৪) পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহনের অবশ্যকতা নেই। আটরশি পীর বলেন- হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানগণ নিজ নিজ ধর্মের আলোকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারে এবং তাহলেই কেবল বিশ্বে শান্তি আসতে পারে। (আটরশির কাফেলা সংকলনে মাহফুযুল হক, আটরশির দরবার থেকে প্রকাশিত, পৃঃ৮৯, সংস্করন-১৯৮৪)
পবিত্র কোরানে আল্লাহ ঘোষনা করেছেন, “ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ দীন।” –সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৯।
পবিত্র কোরানে আল্লাহ আরো বলেছেন- “আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম হল ইসলাম।” –সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৮৫।
৫) ওরস সম্পর্কে তাদের অত্যন্ত বাড়াবাড়ি রয়েছে। আটরশি পীর এনায়েতপুরীর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন- “ঔরস কাজা করিলে পরবর্তী এক বছরের জন্য বহু দুর্ভোগ পোহাইতে হয়। যাবতীয় পথ রুদ্ধ হয়”।
আসুন আগে জানি ওরস বলতে কি বুঝায়। ওরস এর আভিধানিক অর্থ বিবাহ, বাসর। পরিভাষায় ওরস বলতে বৎসরান্তে কোন ওলী ও বুজুর্গের মাঝারে সমবেত হয়ে ধুমধাম সহকারে ফাতেহাখানী, ঈসালে ছওয়াব, ভোজ ইত্যাদির আয়োজন করা। ওরস এর ক্ষেত্রে দুটো বিষয় পালিত হয়ে থাকে।
(১) বৎসরান্তে নির্দিষ্ট দিনে কোন ওলী ও বুজুর্গের কবর যিয়ারতে সমবেত হওয়া এবং ঈসালে ছওয়াব করা অর্থাৎ মৃত্যু-বার্ষিকী পালন করা।
(২) সংশ্লিষ্ট ওলী ও বুজুর্গের কবর দূরে হলে প্রয়োজনে সেই উদ্দেশ্যে সফর করা।
কবর যিয়ারতের জন্য কোন দিনকে নির্দিষ্ট করে সকলে সেদিনে সমবেত হওয়াকে শরী’য়াত আদৌ সমর্থন করে না। বিশেষ করে বছরান্তে এক দিনকে নির্দিষ্ট করা যাকে পরিভাষায় ওরস বলা হয় শরী’য়াতে এর কোন ভিত্তি নেই।
ওরস ইসলামে সম্পূর্ণ বিদআত। কেননা কোন নবী করীম (সাঃ) এর মৃত্যুর দিনটিকে সাহাবীরা কখন ওরস বানায় নি। এমন কি পীর আলেমদের মৃত্যুর দিনটিকে কেউ ওরস বানায় নি। সুতরাং উনারা যে কাজগুলো করেন নি সেগুলো করা ইসলামে বিদআত।
সমস্যা হল এটা আটরশি বা অন্যান্যরা পালন করে ফায়দা লুটার জন্য। আর সেটা হল ধর্মের নামে ব্যবসা করা।
উল্লিখিত বিষয় দ্বারা আটরশির পীরের ধর্মীয় অজ্ঞতা ও ভণ্ডামী সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন- “কেহ ইসলাম ব্যতীত [আল্লাহ্‌র ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পণকারী] অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে, তা কখনও গ্রহণ করা হবে না। পরলোকে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত।” –সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৮৫।
আরো ইরশাদ হচ্ছে, “নিশ্চয়ই যারা কুফরী করে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে, তাদের কারো থেকে পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ মুক্তিপণ হিসেবে দিলেও তা কখনো গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব এবং তাদের থাকবে না কোনো সাহায্যকারী।” –সূরা আল-ইমরান, অায়াত ৯১।
আল্লাহ আরো বলেন- “কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে। তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।” –সূরা বাকারা, আয়াত ২৮-২৯।
পীরভক্তির শিরকের বিষয়ে কোরানের সতর্ক বানী- “অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে। তারা কি নির্ভীক হয়ে গেছে এ বিষয়ে যে, আল্লাহর আযাবের কোন বিপদ তাদেরকে আবৃত করে ফেলবে অথবা তাদের কাছে হঠাৎ কেয়ামত এসে যাবে, অথচ তারা টেরও পাবে না? ” –সূরা ইউসুফ, আয়াত ১০৬-১০৭।
আরো সতর্ক করা হয়েছে- “আল্লাহ্ তাঁর সাথে অংশীদারিত্বকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে খুশী তিনি ক্ষমা করে দেন; আল্লাহর সাথে শরীক উদ্ভাবন করা এক জঘন্য পাপ।” –সূরা নিসা, আয়াত ৪৮।
আলোচ্য আয়াতসমূহ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তথাকথিত উল্লিখিত পীর তার বিভিন্ন উক্তির মাধ্যমে শুধু নিজের ভণ্ডামীই প্রকাশ করেনি; বরং তার ঈমানের ব্যাপারেও মানুষকে সন্দেহে ফেলে দিয়েছে।
মাজার ব্যবসায় সবচেয়ে বড় পীর ছিলেন আটরশির কেবলা হুজুর। আটরশির মাজারই সবচেয়ে বড় আয়াতনের মাজার।
ধর্মব্যবসায়ীদের সম্পর্কে আল্লাহ মুমিনদেরকে বলেছেন- “হে বিশ্বাসীগণ, ধর্মযাজক ও সন্ন্যাসীদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অন্যায়ভাবে অন্যের ধন সাগ্রহে ভোগ করে থাকে এবং লোকদের আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত করে থাকে। এবং যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জিভূত রাখে এবং আল্লাহর রাস্তায় তা ব্যয় করে না, তাদেরকে মহাশাস্তির ঘোষণা দাও। সেদিন জাহান্নামের আগুনে উহাকে [সম্পদকে] উত্তপ্ত করা হবে এবং উহা দ্বারা তাদের ললাটে, পার্শ্বদেশে ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। এই সেই [সম্পদ] যা তোমরা তোমাদের জন্য পুঞ্জিভূত করে রেখেছিলে। সুতরাং যা [সম্পদ] তোমরা পুঞ্ছিভূত রেখেছিলে তার স্বাদ গ্রহণ কর।” –সূরা তওবা, আয়াত ৩৪-৩৫।
আটরশির উরসের সময় অত্যাধুনিক গাড়ির দীর্ঘ সারি থেকে অর্থ বোঝাই ব্রিফকেস নিয়ে পালা করে রাখা হয় একটি রুমে ।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় স্পিনিং মিলের মালিক আটরশিরপীর সাহেব। আটরশির পীরের এত ধনী হওয়ার পেছনে আয়ের উৎস কী? মুরিদদের দান খয়রাত ছাড়া আর কিছু না। তার সম্পর্কে যা জানি, তিনিও চরম ভোগবাদী জীবনযাপন করতেন।
অর্থ-সম্পদ পুঞ্জিভূতকারীদের বিষয়ে আল্লাহ বলেন- “পার্থিব সম্পদ বৃদ্ধির প্রতিযোগীতা তোমাদের অন্যমনষ্ক করে রাখে। কিন্তু না, শীঘ্রই তোমরা [বাস্তবতা] জানতে পারবে। আবার বলি, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। না, তোমাদের যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকতো; তবে তোমরা [সাবধান] হতে। তোমরা অবশ্যই দোযখের আগুন দেখবে। আবার বলি, তোমরা উহা নিশ্চিত দৃষ্টিতে দেখতে পাবে। অতঃপর, সেদিন তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে সেই সব আনন্দ সর্ম্পকে।” –সূরা তাকাসুর।
কোরানে আরো সতর্ক করা হয়েছে- “যে সম্পদের পাহাড় গড়ে এবং নিয়মিত তা গুণে রাখে; ধারণা করে যে, তার ঐশ্বর্য্য তাকে অমর করবে। না কখনও না ! অবশ্যই সে হুতামায় নিক্ষিপ্ত হবে। তুমি কি জান হুতামা কি? আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত আগুন, যা হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছবে। নিশ্চয় উহা তাদের চারিদিকে বেষ্টন করে থাকবে, দীর্ঘায়িত স্তম্ভ সমূহে।” –সূরা হুমাযা।
এত বিত্তশালী ধর্ম ব্যবসায়ীর ধর্ম ব্যবসা সরকারের নজরে কি আসেনা? এসব ধর্মীয় ভণ্ডামীর অবসান চাই। এদেশের নির্বোধ ধর্মান্ধ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
অথচ ভয়াবহ এইসব পীরের দোয়া নিতে সরকার দলীয়, বিরোধী দলীয় ব্যক্তিবর্গসহ অনেক খ্যাতনামা ব্যাক্তিত্বগণও হুমড়ি খেয়ে পড়েন তার কদমে, পরকালে নাজাতের আশায়।
আল্লাহ এমন ভন্ড পীর থেকে সরলমনা মুসলমানের ইমান হিফাজত করারা তাওফিক দাও।আমীন।……
—————————————————————————

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   বিজ্ঞান বিষয়ক আয়াত

১.পীর সমন্ধে অতিরঞ্জিত ধারণা তাদের একটা প্রধান বিভ্রান্তি।যেমন:
*** ভাল-মন্দ পীরের হাতে । (নাঊযুবিল্লাহ)
আটরশির পীর সাহেব বলেছেন, “এনায়েতপুরী (কুঃ) ছাহেব তিরোধানের পূর্বে আমাকে বলিয়া গিয়াছেন, ”বাবা, তোর ভাল ও মন্দ – উভয়টাই আমার হাতে রইল।তোর কোন চিন্তা নেই।”
খন্ডন:
সূরা: ৪-নিসা ৭৮: ”তোমরা যেখানেই থাক না কেন;মৃত্যু কিন্তু তোমাদের পাকড়াও করবেই।যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর,তবুও। বস্ততঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে।আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়,তবে বলে এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে।পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না।”
কুরআনের এ আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, সকলের ভাল-মন্দ আল্লাহর হাতে,কোন মানুষের হাতে নয়।এছাড়া হাদীছেও স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। উল্লেখ্য, এ শ্রেণীর লোকেরা পীরকে খোদার স্তরে পৌছে দিয়ে পীরের মধ্যে খোদায়ী গুন আরোপ করেছে।তাই ভাল-মন্দ সম্পাদন করার খোদায়ী গুন পীরের মধ্যে থাকাকে সাব্যস্ত করেছে।
*** পীর পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিবে । (নাঊযুবিল্লাহ)
আটরশির পীর সাহেব বলেন, “দুনিয়াতে থাকাবস্থায় তোমরা খোদা-প্রাপ্তির পথে যে যতটুকুই অগ্রসর হও না কেন, তোমাদের ছায়ের-ছুলূক যদি জীবৎকালে সম্পন্ন না হয়,তবুও ভয় নাই।মৃত্যুর পরে কবরের মধ্যে দুই পূণ্যাত্না (অর্থাৎ,রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আপন পীর) তোমাকে প্রশিক্ষণ দিবেন।মা’রেফাতের তালিম দিবেন; ফলে হাশরের মাঠে সকলেই আল্লাহর অলী হইয়া উঠিবেন।এই কারণেই বলা হয়–এই তরীকায় যিনি দাখিল হন, তিনি আর বঞ্চিত হন না।”
পীর-মাশায়েখ মুরীদদের পাপের বোঝা বহন করে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করবেন এমন হবে না।এ ধারণাটা খৃষ্টানদের “প্রায়শ্চিত্যের আকীদা ” এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।এ আকীদা কুফরী আকীদা।খৃষ্টান সম্প্রদায় মনে করে যে,হযরত ঈসা (আ.) নিজের প্রাণ দিয়ে তার অনুসারীদের মুক্তির ব্যবস্থা করে গেছেন।কুরআন শরীফে বলা হয়েছে, ”কেউ কারও পাপের বোঝা বহন করবে না।”(সূরা আনআম:১৬৫) কাজেই পীর ধরলে মুক্তি হবে এমন আকীদা চরম গোমরাহীমূলক আকীদা।তবে হ্যাঁ, হক্কানী পীর মাশায়েখের হেদায়েত মেনে চললে তার ফায়দা অবশ্যই রয়েছে সেটা স্বতন্ত্র কথা। পীর তালীম দিয়ে বা কোনভাবে মুরীদের নাজাতের ব্যবস্থা করতে পারবে-এ ধারণা ভ্রান্ত।কেউ নিজে আমল করে নিজের নাজাতের ব্যবস্থা না করলে কোনো পীর তাকে নাজাত দিতে পারবে না।স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর গোত্রের লোক বনু হাশিম, বনু মুত্তালিবসহ নিজ কন্যা ফাতেমাকে পর্যন্ত আহবান করে বলেছেন, তোমরা নিজেদের নাজাতের ব্যবস্থা নিজেরা কর, আমি তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারব না।ইরশাদ করেছেন,
”হে বনী হাশেম! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর, আমি আল্লাহর আযাব থেকে তোমাদেরকে রক্ষায় কিছুই করতে পারব না।হে বনূ আব্দিল মুত্তালিব! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর, আমি আল্লাহর আযাব থেকে তোমাদেরকে রক্ষায় কিছুই করতে পারব না।হে ফাতেমা! তুমি নিজেকে জাহান্নাম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা কর, আমি আল্লাহর আযাব থেকে তোমাকে রক্ষায় কিছুই করতে পারব না।…(বুখারী ও মুসলিম)
*** পীর দুনিয়াতে সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে পারেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
আটরশির পীর সাহেব বলেন, ”মুর্শিদে কামেল তদীয় মুরীদ পৃথিবীর যে স্থানেই থাকুক না কেন সেই স্থানেই তাহাকে কুওতে এলাহিয়ার হেফাজতে রাখিতে পারেন।মুর্শিদে কামেলকে আল্লাহ এইরূপ ক্ষমতা দান করেন।শুধু মুরীদকেই নয় মুরীদের আত্নীয়-স্বজন,মাল-সামানা, বাড়ী-ঘর যাহা কিছুই খেয়াল করুক, তাহার সবকিছুই আল্লাহ তা’আলার কুওতের কেল্লায় বন্দী করিয়া দেন।”
খন্ডন:
এ ধারণা স্পষ্টত কুরআন-বিরোধী ধারণা।আল্লাহ পাক কারও কোন বিপদের ফয়সালা করলে কেউ তা থেকে উদ্ধার করতে পারবে না।কুরআনে-কারীমের এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, “যদি আল্লাহ তোমার কোন অকল্যাণ ঘটান, তাহলে তা হটানোর কেউ নেই।”(সূরা ইউনুস:১০৭)
পীর তার মুরীদ এবং মুরীদের আত্নীয়-স্বজনকে সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে উদ্ধার করতে পারলে আটরশী সাহেবের মুরীদ ও তাদের আত্নীয়-স্বজন কেন পথে-ঘাটে দুর্ঘটনার শিকার হন? কেন তারা আততায়ীর হাতে নিহত হন? কেন তাদের বাড়ি-ঘরে চুরি-ডাকাতি হয়?
*** পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহনের আবশ্যকতা নেই। (নাঊযুবিল্লাহ)
আটরশির পীর সাহেব বলেন, “হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান গন নিজ নিজ ধর্মের আলোকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারে এবং তাহলেই কেবল বিশ্বে শান্তি আসতে পারে।”
খন্ডন:
”আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম হল ইসলাম।”(সূরা আল-ইমরান:১৯)
অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে, “কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম সন্ধান করলে কস্মিনকালেও তার থেকে তা গ্রহন করা হবে না।এমন ব্যক্তি চির হতভাগাদের দলে থাকবে।”(সূরা আল-ইমরান:৮৫)
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কছম ঐ সত্তার, যার হাতে আমার জীবন! হযরত মূসা নবীও যদি জীবিত থাকতেন, তবে আমার অনুসরণ না করে তাঁরও কোন উপায় থাকত না।” (মুসনাদে আহমদ)
উপরোক্ত পবিত্র কুরআনের আয়াত ও হাদীছের দ্বারা প্রমাণ হল আটরশির পীর একটা খাঁটি ভন্ড।তিনি কুরআন ও হাদীছ বিরোধী আকীদা পোষণ করেন।”পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহনের আবশ্যকতা নেই।”এই আকীদা পোষণ করা হলে পবিত্র কুরআনকে অস্বীকার করা হয়।এ থেকে বুঝা যায় তিনি আসলে বেঈমান ছিলেন।
*** চার মাযহাব ও ইমামগন সম্বন্ধে কটুক্তি
আটরশির দরবার থেকে প্রকাশিত বহু গ্রন্থের প্রণেতা এবং আটরশির প্রসিদ্ধ তাত্ত্বিক লেখক মাহফুযুল হক সাহেব লিখেছেন, “ইসলামী আইন ব্যবস্থার বর্তমান অব্যবস্থা ও অবক্ষয়ের জন্য আইনের বিধানসমূহ বা রীতিসমূহ দায়ী নহে; বরং এই অবক্ষয়ের মূল কারণ আইন প্রণেতাগনের (ইমামগনের) অনমনীয় নীতি।এই অনমনীয় নীতি অবলম্বনের দ্বারাই ইসলামী আইন প্রণেতাগন কালক্রমে ইসলামী আইনের মৌলিক কাঠামোর মনগড়া ব্যাখ্যা করিয়া আইনকে একটি অনমনীয় ও বাস্তবতার সহিত সামঞ্জস্যহীন শাস্ত্রে পরিনত করেন।” এখানে সব মাযহাবের ইমামগনকে মনগড়া ব্যাখ্যা দানকারী ও সমস্ত মাযহাবের ফেকাহশাস্ত্রকে অবাস্তব শাস্ত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।এভাবে সমস্ত মাযহাবের সমস্ত মুসলমানকে শাস্ত্রহীন তথা ধর্মহীন আখ্যায়িত করা হয়েছে।এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা খুব কম বাতিলপন্থীই বলেছে।
***ওরস সম্বন্ধে তাদের বাড়াবাড়ি
ওরস সম্পর্কে তাদের অত্যন্ত বাড়াবাড়ি রয়েছে।আটরশির পীর সাহেব এনায়েতপুরীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ”ওরস শরীফ কাজা করিলে পরবর্তী এক বছরের জন্য বহু দুর্ভোগ পোহাইতে হয়।যাবতীয় আয়-উন্নতির পথ রুদ্ধ হয়।”
—————————————————————————————————

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   পদার্থবিদ্যা বিষয়ক আয়াত

মাযার পূজা বই থেকে পাঠকদের উদ্দেশ্যেঃ
→ আটরশীর বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের প্রতিষ্ঠাতা জনাব হাশমত উল্লাহ সাহেব তৎকালীন [বর্তমানে শেরপুর পৃথক জেলা] জামালপুর জেলার শেরপুর থানার অন্তর্গত পাকুরিয়া গ্রামে শাহ আলীম উদ্দিনের ঔরশে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ-ছয় বৎসর বয়সে আরবি ফার্সি ভাষার প্রাথমিক শিক্ষা নোয়াখালী জেলার মাওলানা শরাফত আলী সাহেবের নিকট অর্জন করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে নিয়মতান্ত্রিক- ভাবে এতটুকুই প্রমাণ পাওয়া যায়। জনাব হাশমত উল্লাহ দশ বছর বয়সে পিতার নির্দেশে এনায়েতপুরের পীর ইউনুস আলীর খেদমতে আত্মনিয়োগ করেন এবং সেখানে ত্রিশ বছর যাবৎ অবস্থান করে এনায়েতপুরী থেকে খেলাফত প্রাপ্ত হয়ে তার নির্দেশে ফরিদপুর শহরের নিকটে আটরশি এসে জাকের ক্যাম্প নামে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেন। পরবর্তিতে যার নাম বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে রূপান্তরিত হয়। -সূত্র: বিশ্বজাকের মঞ্জিলের পরিচালনা পদ্ধতি ২০তম সংস্করণ। → আটরশির ঈমান বিধ্বংশী আকীদা সমূহঃ → প্রথম আকীদা : পরকালে পীর মুক্তির ব্যবস্থা করবে! আটরশির পীর সাহেবের বক্তব্য: দুনিয়াতে থাকাবস্থায় তোমরা খোদা প্রাপ্তির পথে যে যতটুকুই অগ্রসর হওনা কেন, তোমাদের ছায়ের-ছুলূক যদি জীবৎকালে সম্পন্ন নাও হয়, তবুও ভয় নাই। মৃত্যুর পরে কবরের মধ্যে দুই পূণ্যাত্মা (অর্থাৎ রাসূল পাক সা. এবং আপন পীর) তোমাকে প্রশিক্ষণ দিবেন, মা’রেফতের তালিম দিবেন, ফলে হাশরের মাঠে সকলেই আল্লাহ্ তায়ালার অলী হইয়া উঠিবেন। এই কারণেই বলা হয় এই তরীকায় যিনি দাখিল হন, তিনি আর বঞ্চিত হননা। – সূত্র: শাহসূফী হযরত ফরিদপুরী (মা জি আ) ছাহেবের নসিহত, খণ্ড – ৪, পৃষ্ঠা – ৯৩, মুদ্রণ
– ৪র্থ, ৮ই এপ্রিল, ১৯৯৮ইং। প্রিয় পাঠক মহল! স্বয়ং আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন পরকাল সম্পর্কে বলেন, সেদিনের পরিস্থিতি এত ভয়ানক হবে যে বাপ ছেলে, মা- মেয়ের কোন পরিচয় থাকবে না, সবাই নিজ নিজ আমলনামা নিয়ে ব্যস্তথাকবে। এমনকি দুজাহানের সরদার নবী সা. ও পরকাল সম্পর্কে স্বীয় গোত্র বনু হাশিম, বনু আব্দুল মুত্তালিব, আদরের কণ্যা ফাতেমা রা. কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন তোমরা দুনিয়ায় থাকতে নিজ নিজ মুক্তির ব্যবস্থা করে নাও। পরকালে আমি তোমাদের রক্ষা করতে পারব না। যা মুসলিম শরীফের হাদীস দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয়। রাসূল সা. বলেছেন –
হে বনু হাশেম! তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও, আমি আল্লাহ্ তায়ালার আজাব থেকে তোমাদেরকে বাঁচাতে পারব না। হে বনু আব্দুল মুত্তালিব! তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। আমি তোমাদের কে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচাতে পারব না। হে ফাতেমা! তুমি নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও, আমি তোমাকে আল্লাহ্ তায়ালার আযাব থেকে বাঁচাতে পারব না। -মুসলিম শরিফ।
প্রিয় পাঠক! একটু চিন্তা করুন আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবীব এত বড় ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও কাউকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন না। কিন্তু আজ কিছু নামধারীপীর, মুরীদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মুরিদদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতে প্রবেশের ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে থাকে, এবং সরলমনা মুসলমানদেরকে কোরআন হাদীস বিরোধী স্বরচিত বিভিন্ন ফাজায়েলশুনিয়ে ঈমান আকিদা নষ্ট করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এদের খপ্পর থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
→ দ্বিতীয় আক্বিদা : পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা জরুরি নয়!আটরশীর পীর সাহেবের বক্তব্য: মুসলমান, হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধগণ নিজ নিজ ধর্মের আলোকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারে। এবং তাহলেই কেবল বিশ্বে শান্তি আসতে পারে। -সূত্র: আটরশীর কাফেলা, সংকলনে মাহফুযুল হক, পৃষ্ঠা-৮৯, সংস্করণ- ১৯৮৪। এসকল বক্তব্য স্পষ্ট কুফরী মতবাদ। একজন মুসলমান যার অন্তরে বিন্দুমাত্র ঈমান রয়েছে সে কখনো ইসলাম ধর্মের উপর অন্য ধর্মের প্রাধাণ্য দিতে পারে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যেলোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ। _সূরা আলে ইমরান : ৮৫। আমাদের নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়ত প্রাপ্ত হওয়ার পর পৃথিবীর সকল ধর্ম মানছুখ তথা রহিত হয়ে গেছে। যে সকল লোকেরা তাওহিদ তথা আল্লাহ্ তায়ালার একত্বাবাদের বিশ্বাসী ছিল। আল্লাহ্ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করত না। পূর্বেকার নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরিত নবী- রাসূলদের প্রতি ঈমান আনয়ন করেছিল, তাদেরকেও স্বীয় ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের অনুসরণ করবে, তাদের ধর্ম আল্লাহ্ তায়ালার নিকট গ্রহণযোগ্য হবেনা। পরকালে তারা বিপদগ্রস্ত হবে। তাহলে কুফর, শিরক, তথা প্রতিমা, আগুন, চন্দ্র, সূর্য লিঙ্গ ইত্যাদির পূজা করে পরকালে মুক্তির কল্পনাও করা যায় না। তাছাড়া মহান রাব্বুল আলামীন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় পবিত্র কোরআন মাজীদে একমাত্র ইসলাম ধর্মেরই গ্রহণযোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন, ইরশাদ হচ্ছে: নি:সন্দেহে আল্লাহ্ তায়ালার নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।
_সূরা আল ইমরান : ১৯। → তৃতীয় আক্বিদা: ভাল-মন্দের ক্ষমতা পীর সাহেবের হাতে! আটরশির শাহসূফী পীর সাহেব বলেছেন: এনায়েতপুরী কু ছাহেব তিরোধানের পূর্বে আমাকে বলিয়া গিয়াছেন,
“বাবা, তোর ভাল ও মন্দ উভয়টাই আমার হাতে রইল, তোর কোন চিন্তা নেই।” -সূত্র: শাহসূফী হযরত ফরিদপুরী (মা জি আ) ছাহেবের নসিহত, খণ্ড-৩,পৃষ্ঠা-১১১, মুদ্রণ-৩য়, ১লা মে, ১৯৯৯ইং। এধরণের আক্বিদা সম্পূর্ণ শিরকী আক্বিদা। মানুষের ভাল-মন্দ, সফলতা- কুফলতা, ইজ্জত-সম্মান সবকিছুই আল্লাহ্তায়ালার ক্ষমতার অধীনে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সফল করেন এবং যাকে ইচ্ছা কুফল করেন। পৃথিবীর কোন মানুষের হাতে সফলতা- কুফলতার সামান্যতম ক্ষমতাও নেই। নিশ্চয় তিনিই সর্ববিষয়ে ক্ষমতাশীল। পক্ষান্তরে যদি তিনি কিছু কল্যাণ দান করেন তবে তার মেহেরবানিতে রহিত করার মত কেউ নেই। তিনি যার প্রতি অনুগ্রহ দানকরতে চান স্বীয় বান্দাদের মধ্যে তাকেই দান করেন বস্তুত তিনিই ক্ষমতাশীল দয়ালু। -সূরাইউনুস : ১০৭। → চতুর্থ আক্বিদা : পীর সাহেব বিপদ আপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন! আটরশীর পীর বলেন: মুর্শিদে কামেল তদীয় মুরীদ পৃথিবীর যে স্থানেই থাকুক না কেন সেই স্থানেই তাহাকে কওতে এলাহিয়ার হেফাযতে রাখিতে পারেন। মুর্শিদে কামেলকে আল্লাহ এইরূপ ক্ষমতা দান করেন। শুধু মুরীদকেই নয় মুরীদের আত্মীয়- স্বজন, মাল-সামানা, বাড়ী-ঘর যাহা কিছু খেয়াল করুক। তাহার সবকিছুই আল্লাহ তায়ালা কুওতের কেল্লায় বন্দি করিয়া দেন।_সূত্র: শাহসূফী হযরত ফরিদপুরী (মা জি আ) ছাহেবের নসিহত, খণ্ড – ৬, পৃষ্ঠা – ৩৬, মুদ্রণ – ২য়, ১৭ই জুলাই, ১৯৯৭ইং। এসকল আক্বিদা বিশ্বাসই প্রমাণ করে যে, তারা দ্বীন ও শরয়ী বিষয়ে অপরিপক্ক। অন্যথায় একজন মাখলূক কিভাবে তার খালেকের কাজের সমকক্ষ হতে পারে, পীর সাহেবের প্রশংসা করে তার এমন গুণকীর্তন করা যে গুণের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। তাহলে পীর সাহেবকে কি আল্লাহ তায়ালার সমান মনে করা হয় না? নাউযুবিল্লাহ! মুমিনদের বিশুদ্ধ আক্বিদা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা কোরআনে শিক্ষা দিয়েছেন। ভাল-মন্দ, বিপদ আপদে পতিত হওয়া এবং বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সবকিছুই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হয়। আল্লাহ যদি কাউকে বিপদে পতিত করেন আর তা থেকে তাকে মুক্তি দান না করেন, তাহলে শুধু পীর নয় পীরের বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষও কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। এসম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন- আর আল্লাহ যদি তোমার ওপর কোন কষ্ট আরোপ করেন, তাহলে কেউ নেই তা খণ্ডাবার মত তাকেছাড়া। সূরা ইউনুস : ১০৭। এছাড়াও আরো অনেক ঈমান বিধ্বংসী আক্বিদায় আটরশির পীর ও তার মুরীদগণ বিশ্বাসী। যেগুলি এ স্বল্পপরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। বিশ্ব জাকের মঞ্জিল থেকে প্রকাশিত তার নসিহতের কিতাবে যে সকল নসিহত লেখা হয়েছে তার সিংহভাগই জাল হাদীস যেগুলোর কোন ভিত্তি হাদীসের কিতাবে নেই। অথচ তিনি হাদীস বলে সাধারণ জনসম্মুখে এগুলো প্রচার করে যাচ্ছেন।
(নাউযুবিল্লাহ) এ সম্পর্কে রাসূল সাঃ বলেন: যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যা হাদীসের সম্বধোন করল সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নিল।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   তাফসিরে মারেফুল কুরআন মিথ্যাচার বা ভুল ভ্রান্তি

ভিডিওসহ কিছু ভুল-ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার দেখতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করুন ।

লিংক -> ১

About MuslimPoint Organization

MuslimPoint একটি অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থাগার, ব্লগিং, কুরআন, হাদিস, কুইজ এবং বিষয় ভিত্তিক রেফারেন্স প্ল্যাটফর্ম।

View all posts by MuslimPoint Organization →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *