মাইজভান্ডারী পীর এর ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ
ক) তরীকত শরীয়ত থেকে ভিন্ন একটি বিষয়।
খ) বিশেষ ব্যক্তিবর্গের জন্য শরীয়তের অনুসরণ করা জরুরী নয়।
গ) বিশেষ ব্যক্তিবর্গের জন্যে নামায, রোযা ও অন্যান্য ইবাদত পালন করা অপরিহার্য নয়।
ঘ) বিশেষ ব্যক্তিবর্গের শরীয়ত ও কুরআন-হাদীস এবং সাধারণ মানুষের শরীয়ত ও কুরআন-হাদীস থেকে ভিন্ন।
ঙ) সাধারণ মানুষের জন্যে শরীয়তে মুহাম্মদীর অনুসরণও আবশ্যক নয়, বরং নিজের ইচ্ছেমত যে কোন ধর্মের অনুসরণ করলেই আখেরাতে মুক্তি পাওয়া যাবে।
দেখুন- মাইজভান্ডারীর পীরের লেখা “বেলায়েতে মোতলাকা” গ্রন্থের ১৬, ১১৮, ১১৯-১২০ নং পৃষ্ঠা।
এমন সব কুফরী আকীদা আমলে ভরপুর এসব ভান্ডারী দরবার।
———————————————————————————
(ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা কিছু তথ্য । ভুল থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে যে কেউ ঠিক করে দিবেন ইং-শা-আল্লাহ । )
জিয়াউল হক , মাইজভান্ডারি তার বাপ – ভাই – দাদার দাবিকে হার মানিয়ে উল্লেখ যোগ্য অন্তত ৬টি দাবি করে বসল। যথাঃ –
১। * আমার দরবার আন্তর্জাতিক প্রশাসন অফিস; যেখান থেকে এই বিশ্ব পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত।
২। ** এই বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ আমি ই তো চালাই।
৩। *** এই বিশ্বে কখন কোথায় কি হয়েছে, হচ্ছে, হবে সব আমার জানা।
৪। **** আকাশের উপরে বসে আমি সৃষ্টির কাজ কর্ম দেখি; উপরের দিকে আললাহর সাথে কথা বলি।
৫। ***** দুনিয়ার সব কিছু আমি ভেঙে চুরে ঠিক করি। মাইজভান্ডার শরিফ হায়াতের ভান্ডার, রিজিকের ভান্ডার , দৌলতের ভান্ডার, ইজ্জতের ভান্ডার। সুত্র মাইজভান্ডার মাজার থেকে প্রকাশিত ( শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ( কঃ ) ফিতরাত ও সিফাত , নবম সংস্করণ , পৃঃ নং ১১৫ ) এই ভাবে আল্লাহর সমস্ত গুনাবলি কে তারা ভাগ করে নিল। এরা সরল সহজ মুসলমানদের কে ধোকায় ফেলে ঈমান আমল অর্থ কড়ি সব হাতিয়ে নিয়ে আরাম আয়েসের প্রাসাদ গড়ে তুলেছে। এসমস্ত মাজার থেকে কিছু বই পুস্তক বের হয় যাতে মাওলানা নামধারী কিছু চাটুকার আর স্বার্থ লোভী মানুষের কুরান হাদিসের অপব্যখ্যায় ভরপুর। বই পুস্তক পড়ে সহজেই বোঝা যায় তাদের ধর্মটা আলাদা। এই সমস্ত ভন্ডামী রুখে দিতে সেখানকার আলেম উলামাদের প্রচেষ্টার কমতি নেই। তথাপি বাইরের জেলাগুলো থেকে বিশেষ করে ওরসের সময় হাজার হাজার মুর্খ মানুষ সেখানে জড় হয়। ঢোল তবলা বাঁশি বাজিয়ে নারি পুরুষ একসাথে নেচে গেয়ে মাতিয়ে তোলে। পীর কে সিজদা করে , মহিষ, গরু, ছাগল পীরের নামে জবাই করে। রাতে পীরের নামে জিকির করে। কোথায় নামাজ কোথায় কি। ধর্মচ্চুত এমন ভাবে হয়েছে যে, দুরদুরান্ত থেকে অনেক মহিলা আসে সন্তানের পাওয়ার আশায় ।
আল্লাহ সবাইকে সঠিক তাওহিদের বুঝ দান করুক । (আমিন )
আরো একটু ভিডিওসহ প্রমাণের জন্য এই ভিডিও টি দেখতে পারেন । এখানে পীর সাহেব জানেন না যে কুরআনে কয়টি সূরা আছে বা শেষ সূরার নাম কি ।