বিদআত হলো ইবাদাতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু আমল করা যেটা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত নয়।বিদআতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।কারণ বিদআত করলে রাসূল(ছঃ) কে অপমান করা হয়।
সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত এর তালিকাঃ
<– নিচের কথা গুলো বিশ্বাস বা মেনে চললে বা করলে বিদআত হয় । –>
১) পীরের কলবের ভিতরেই আছে কাবা। তাই পীরের সেবা করলেই হাজ্জ হয়ে যাবে, এসব কথায় বিশ্বাস করা ।
২) ঢাকার টুঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাকে দ্বিতীয় হাজ্জ বলা বা মনে করা এবং ইহরামের কাপড় পরে সেখানে উপস্থিত হওয়া।
৩)ঢাকার টুঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাকে গরিবের হাজ্জ মনে করা । (বিদ’আত এবং শিরক) ৪)ওহুদ পাহাড়ের মাটি এনে তা শিফা হিসেবে ব্যবহার করা বিদআত ও শিরক।
৫) যমযম কূপের পানি এনে তা আবার পীরসাহেব বা হুজুর কেবলা দ্বারা পানির মধ্যে ফু দিয়ে তা বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে দেয়া।
৬)প্রত্যেক ফরজ সালাতের জামাতের পর নিয়ম করে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মুনাজাত করা।
৭) ইলিয়াস আলীর ৩, ৭, ১০, ২১, ৪০, ৪১, ১২০ দিনের চিল্লা দেওয়া।
৮)মদীনার ‘বাকী’ কবরস্থানকে ‘জান্নাতুল বাকী” বলা বিদআত।
৯) উমরাহ করতে গিয়ে মসজিদুল হারামে প্রবেশের পর তাওয়াফ না করে প্রথমে দুই রাকআত তাহ্ইয়াতুল মসজিদ পড়া।
১০) অনেকে বিদায়ী তাওয়াফ শেষ করে ফেরার সময় কাবা ঘরের দিকে মুখ করে কবর পূজারীদের মত পিছন দিকে হেঁটে বের হন, এটা বিদ’আত।
১১)বিভিন্ন নামে নামে তাওয়াফ করা। যেমন- মায়ের নামে, ছেলের নামে ইত্যাদি বিদআত। ১২)মসজিদে নববীর খুঁটিকে ‘হানড়বা খুঁটি’ ‘আয়িশা খুঁটি ইত্যাদি মনে করে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করা ও এসব এর উসীলায় দু’আ করা বিদআত ।
১৩)আলী মসজিদ, আবুবকর মসজিদ ইত্যাদিতে বরকত মনে করে সালাত আদায় করা বিদআত ।
১৪) ফাতেমা (রা.)র কবুতর মনে করে গম ছিটানো বিদ’আত ।
১৫)’বাকী’ কবরস্থানে যাদেরই কবর হবে তারা জান্নাতে যাবে, এধারণা বিদআত।
১৬)হাজ্জের সাদা কাপড়গুলো জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে রাখা এবং কবরের আজাব লাঘবের উদ্দেশ্যে কাফনের কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা।
–>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকো। নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”