খ্রিস্টান ধর্মেই চূরান্ত বা শেষ বা সত্য নবী মুহাম্মাদ (স) , ধর্মগ্রন্থ থেকে ভবিষ্যতবাণী ও ব্যাখ্যা এবং দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত

খ্রিস্টান ধর্ম চূরান্ত শেষ সত্য নবী মুহাম্মাদ ভবিষ্যতবাণী ব্যাখ্যা দলিল রেফারেন্স বিস্তারিত বাইবেল কোরআন ইঞ্জিল তাওরাত তোরাহ আল্লাহ ঈসা মূসা আগমন চিহ্ন ইজরায়েল ইহুদী ইসমাইল ইসরাফিল ইব্রাহিম আব্রাহাম দাউদ
খ্রিস্টান ধর্মেই চূরান্ত বা শেষ বা সত্য নবী মুহাম্মাদ (স) , ধর্মগ্রন্থ থেকে ভবিষ্যতবাণী ও ব্যাখ্যা এবং দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত

আসুন প্রথমে কুরআন থেকে একটা আয়াত দেখা যাক ,
“”যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যাহার উল্লেখ তাওরাত ও ইঞ্জীল, যাহা তাহাদের নিকট আছে তাহাতে লিপিবদ্ধ পায়, যে তাহাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজে বাধা দেয়, যে তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে ও অপবিত্র বস্তু হারাম করে এবং যে মুক্ত করে তাহাদেরকে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে- যাহা তাহাদের উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম।””
اَ لَّذِيْنَ يَتَّبِعُوْنَ الرَّسُوْلَ النَّبِىَّ الْاُمِّىَّ الَّذِىْ يَجِدُوْنَهٗ مَكْتُوْبًا عِنْدَهُمْ فِى التَّوْرٰٮةِ وَالْاِنْجِيْلِ يَاْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهٰٮهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبٰۤٮِٕثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ اِصْرَهُمْ وَالْاَغْلٰلَ الَّتِىْ كَانَتْ عَلَيْهِمْ‌ ؕ فَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِهٖ وَعَزَّرُوْهُ وَنَصَرُوْهُ وَ اتَّبَـعُوا النُّوْرَ الَّذِىْۤ اُنْزِلَ مَعَهٗ ۤ‌ ۙ اُولٰۤٮِٕكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ
[সূরা আল আ’রাফ, আয়াত ১৫৭]
উপরে উল্লিখিত আয়াত পড়ে আমরা জানলাম যে, আমাদের মুহাম্মদ সাঃ এর ভবিষ্যৎবাণী/ কথা, পূর্ববর্তী কিতাব, তাওরাত ও ইনজিলে রয়েছে ।
আসুন এখন খোঁজার চেষ্টা করি ।
যোহন লিখিত সুসমাচারে আমরা দেখতে পাই যে, ইহুদিরা খ্রিষ্ট, এলিয় এবং বাইবেলের দ্বিতীয় বিবরণে (১৮/১৮-১৯) উল্লেখিত “সেই ভাববাদী(নবি)”এই তিনজনের জন্য প্রতীক্ষা করছিলো-
১।যীশু ২। এলিয় ও ৩। মূসার মতো নবী বা ভাববাদী।
তারা যোহন কে বাপ্তাইজ করতে দেখে তাকে তারা জিজ্ঞেস করছে ।
জেরুশালেমের ইহুদীরা কয়েকজন যাজক ও লেবীয়কে য়োহনের কাছে পাঠালেন৷ তাঁরা এসে য়োহনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কে?’
And this is the record of John, when the Jews sent priests and Levites from Jerusalem to ask him, Who art thou? (John 1:19)
য়োহন একথার জবাব খোলাখুলিভাবেই দিলেন; তিনি উত্তর দিতে অস্বীকার করলেন না৷ তিনি স্পষ্টভাবে স্বীকার করলেন, ‘আমি সেই খ্রীষ্ট নই৷’
And he confessed, and denied not; but confessed, I am not the Christ. (John 1:20)
তখন তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাহলে আপনি কে? আপনি কি এলিয়?’য়োহন বললেন, ‘না, আমি এলিয় নই৷’ইহুদীরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তবে আপনি কি সেই ভাববাদী?’য়োহন এর জবাবে বললেন, ‘না৷’
And they asked him, What then? Art thou Elias? And he saith, I am not. Art thou that prophet? And he answered, No. (John 1:21)
তাঁরা য়োহনকে বললেন, ‘আপনি যদি সেই খ্রীষ্ট নন, এলিয় নন, ভাববাদীও নন, তাহলে আপনি বাপ্তাইজ করছেন কেন?’
And they asked him, and said unto him, Why baptizest thou then, if thou be not that Christ, nor Elias, neither that prophet? (john 1:25)
এখন আমরা জানার চেষ্টা করবো,এই তিনজনই কি সেই সময় এসেছিলেন কি না!
আমরা জানি যে যীশু খৃষ্ট এসেছিলেন সেই সময় তিন জনের মধ্যে।
একটা পেলাম,বাকি দুইজন ।
এলিয় ও ভাববাদী বা মূসার মতো নবী ।
একটা বক্তব্যে এখানে পল বলছে,
তোমরা যদি একথা বিশ্বাস করতে রাজী থাক তবে শোন, এই য়োহনই সেই এলীয়,য়াঁর আসবার কথা ছিল৷
And if ye will receive it, this is Elias, which was for to come.(Matthew 11:14)
পরিষ্কার হলো এই যোহন ই সেই এলীয় ।
এখানে আমরা পেলাম যে, সেখানে দুইজন এসেছিল।
বাকি একজন মূসার মতো নবী এখনো আসেনি ।

সেই ভাববাদীকে নিয়ে বাইবেলে ভবিষ্যৎ বাণী ।

প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের জন্য একজন ভাববাদী পাঠাবেন| তোমাদের নিজের লোকদের মধ্য থেকেই এই ভাববাদী আসবে| সে আমারই মতো হবে| তোমরা অবশ্যই এই ভাববাদীর কথা শুনবে|
The LORD thy God will raise up unto thee a Prophet from the midst of thee, of thy brethren, like unto me; unto him ye shall hearken; (Deuteronomy 18:15)
আমি তাদের কাছে তোমার মতোই একজন ভাববাদী পাঠাব| এই ভাববাদী তাদের লোকদের মধ্যেই একজন হবে| সে য়ে কথা অবশ্যই বলবে সেটা আমি তাকে বলে দেব| আমি যা আদেশ করি তার সমস্ত কিছু সে লোকদের বলবে|
I will raise them up a Prophet from among their brethren, like unto thee, and will put my words in his mouth; and he shall speak unto them all that I shall command him. (Deuteronomy 18:18)
এখানে এই ভাববাদী ই সেই তিনজনের বাকি একজন।
যীশুকে তারা জিজ্ঞেস করলো ।
সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, ‘ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী৷’
Many of the people therefore, when they heard this saying, said, Of a truth this is the Prophet.
অন্যরা বলল, ‘ইনি মশীহ (খ্রীষ্ট)৷’এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, ‘খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না৷
Others said, This is the Christ. But some said, Shall Christ come out of Galilee?
শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই য়ে খ্রীষ্টকে দাযূদের বংশধর হতে হবে; আর দাযূদ য়ে বৈত্‌লেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?’
Hath not the scripture said, That Christ cometh of the seed of David, and out of the town of Bethlehem, where David was?
তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল৷
So there was a division among the people because of him.
কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইল; কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না৷
And some of them would have taken him; but no man laid hands on him.
তখন মন্দিরের সেই পদাতিকরা, প্রধান যাজক ও ফরীশীদের কাছে ফিরে গেল৷ তাঁরা মন্দিরের সেই পদাতিককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা তাঁকে ধরে আনলে না কেন?’
Then came the officers to the chief priests and Pharisees; and they said unto them, Why have ye not brought him?
(Book Of John 7:40,41,42,43,44,45.)
যখন যীশুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি কি সেই ভাববাদী? তিনি চুপ করে ছিলেন।
এখন আসি,
ইব্রাহিম আঃ এর দুই ছেলে ছিল,ইসমাঈল ও ইসহাক, এবং দুটো গোত্র ছিল।
বানী ইসরাইল ও বানী ইসমাইল।
ইসমাঈল কারা আর ইসহাক কারা এটা পরিষ্কার হই।
যারা ইহুদি খৃষ্টান তারা বানী ইসরাইল মানে ইসহাকের গোত্র।
আর আমরা মুসলিম বানী ইসমাইল মানে ইসমাঈলের গোত্র।
এখন কিছু দাবিতে আসি ।
ইব্রাহিম আঃ এর সাথে ঈশ্বর একটা চুক্তি করেছিল ,
Genesis 17:1-20 পযন্ত বিস্তারিত পড়ুন ,
“তুমি ইসমাঈল এর কথা বলেছ এবং আমি সে কথা শুনেছি| আমি তাকে আশীর্বাদ করব| তার বহু সন্তানসন্ততি হবে| সে বারোজন মহান নেতার পিতা হবে| তার পরিবার থেকে সৃষ্টি হবে এক মহান জাতির|
And as for Ishmael, I have heard thee: Behold, I have blessed him, and will make him fruitful, and will multiply him exceedingly; twelve princes shall he beget, and I will make him a great nation. (Genesis 17:20).
তার পরিবার থেকে সৃষ্টি হবে এক মহান জাতি। আমরা জানি ইসমাঈল থেকে একটাই মহান জাতি আছে,সেটা হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ ও তাঁর ১৭০ কোটি ফলোয়ার।
ইসমাঈল থেকেই যে মুহাম্মদ সাঃ চলুন এটা প্রমাণ করা যাক ।
ইসমাঈল এর উত্তরপুরুষরা সমগ্র মরুভূমি অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে| এই অঞ্চলটি ছিল মিশরের কাছে হুবীলা থেকে শূর পর্য্ন্ত বিস্তৃত এবং এখান থেকে তা বিস্তৃত ছিল অশূরিযা পর্য্ন্ত| ইশ্মাযেলের উত্তরপুরুষেরা প্রায়ই তার ভাইয়ের লোকেদের আক্রমণ করত |
And they dwelt from Havilah unto Shur, that is before Egypt, as thou goest toward Assyria: and he died in the presence of all his brethren. (Genesis 25:18)
ইসমাঈলের বংশ মরুভূমিতে বসতি স্থাপন করে।
ইসমাঈলের জন্মের সময়কার বাইবেল থেকে কিছু পদ আমরা দেখি ।
হাগার খানিকটা দূরে হেঁটে গেল| তারপর সেখানেই বসে পড়ল| হাগারের ভয় হল, জলের অভাবে তার পুত্র বোধ হয় মারা যাবে| পুত্রের মৃত্যু সে দেখতে পারবে না| তাই সেখানে বসে বসে সে কাঁদতে লাগল|
And she went, and sat her down over against him a good way off, as it were a bow shot: for she said, Let me not see the death of the child. And she sat over against him, and lift up her voice, and wept.(Genesis 21:16)
যাও, পুত্রকে গিয়ে দেখ| ওর হাত ধরে এগিয়ে চলো| আমি তাকে এক বৃহত্‌ জাতির পিতা করব|
Arise, lift up the lad, and hold him in thine hand; for I will make him a great nation.(Genesis 21:18)
তার মা এক মিশরীয় কন্যার সঙ্গে তার বিয়ে দিল| তারা সেই পারণ নামের মরুভূমিতেই বাস করতে লাগল|
And he dwelt in the wilderness of Paran: and his mother took him a wife out of the land of Egypt.(Genesis 21:21)
এখানে উল্লিখিত পারণ অঞ্চল কিন্তু আরবের ভেতরই অবস্থিত।
আমরা জানি,আমরা মুসলিমরা বানী ইসমাইলের বংশদ্ভূত। এই জন্য আমরা বানী ইসমাইল। এই থেকে প্রমাণ হয়, ইসমাঈল গোত্র থেকে যে মহান জাতি বানাবেন এটা আর কেউ নন,মুহাম্মদ সাঃ ও তাঁর ১৭০ কোটি ফলোয়ার। এক মহান জাতি।
সেই মহান জাতির কিছু নিদর্শন থাকবে … চলুন দেখে নেই
প্রভু অব্রামকে বললেন, “তুমি এই দেশ, নিজের জাতিকুটুম্ব এবং পিতার পরিবার ত্যাগ করে, আমি য়ে দেশের পথ দেখাব সেই দেশে চল|
Now the LORD had said unto Abram, Get thee out of thy country, and from thy kindred, and from thy father’s house, unto a land that I will shew thee:(Genesis 12:1)
তোমা হতে আমি এক মহাজাতি উত্পন্ন করব| তোমাকে আশীষ দেব এবং তুমি বিখ্যাত হবে| অন্যকে আশীর্বাদ জানাতে লোকে তোমার নাম নেবে|
And I will make of thee a great nation, and I will bless thee, and make thy name great; and thou shalt be a blessing:(Genesis 12:2)
নিদর্শন হলো,তোমার থেকে মানে আব্রাম থেকে একটা মহান জাতি উৎপন্ন করবো। তোমাকে আর্শীবাদ দেব এবং লোকেরা অন্যকে আর্শীবাদ জানাতে তোমার নাম নিবে বা তোমাকে আর্শীবাদ করবে।
এবার আমাদের মুসলিমের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন যে, আমরা দরুদে ইবরাহিম পাঠ করি আর যার মাধ্যমে আমরা ইবরাহীম আঃ এর ওপর দরুদ পড়ি , তাঁর পরিবারের জন্য রহমত চাই । আর প্রত্যেক সালাতে বা নামাজেই আমাদের এটা পড়তে হয় । দোয়া করার সময় ও এটা আমাদের পড়তে হয় ।
“আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাআলি মুহাম্মাঁদিন কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।”
এটা কি কোনো খৃষ্টানরা করে ??? না । আমরা মুসলিমরাই করি । তাহলে এখানে উল্লিখিত মহান জাতি আর কেউ নন,আমরা মুসলিমরাই । আলহামদুলিল্লাহ।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   ইহুদি ধর্মে চূরান্ত বা শেষ বা সত্য নবী মুহাম্মাদ (স), ধর্মগ্রন্থ থেকে ভবিষ্যতবাণী ও ব্যাখ্যা এবং দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত
এখানে আরো কিছু নিদর্শন রয়েছে ।


সুতরাং ঐদিন প্রভু অব্রামকে একটা প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং সেই অনুসারে অব্রামের সঙ্গে একটা চুক্তি করলেন| প্রভু বললেন, “এই দেশ আমি তোমার উত্তরপুরুষদের দেব| মিশর নদ এবং ফরাত্‌ নদের মধ্যবর্তী বিশাল ভূভাগ আমি তাদের দেব|
In the same day the LORD made a covenant with Abram, saying, Unto thy seed have I given this land, from the river of Egypt unto the great river, the river Euphrates:(Genesis 15:18)
এখানে মিশর নদ এবং ফোরাত নদের মধ্যবর্তী ভূভাগ আমি তাদের দেব /মহান জাতিকে দেব। এখন জায়গাটা এই কারা শাসন করে।মুসলিমরা।
২০০০ বছর ধরে ইরান, ইরাক,ফিলিস্তিন মুসলিমের হাতে।দাউদ পেয়েছিল ৬ মাস ৩ দিনের জন্য, তারপর মুসলিমরা আবার দখলে নিয়েছে।
অব্রাহাম, তোমার ও আমার মধ্যে এটাই চুক্তি; সুন্নত করা হয়নি এমন কোন পুরুষ থাকলে সে হবে তার নিজের লোকেদের স্বজাতির থেকে বিচ্ছিন্ন| কারণ সে ব্যক্তি আমার চুক্তি ভঙ্গকারী|”
And the uncircumcised man child whose flesh of his foreskin is not circumcised, that soul shall be cut off from his people; he hath broken my covenant.(Genesis 17:14)
ঈশ্বর আব্রাহামের সাথে একটা চুক্তি হয়,খৎনা নিয়ে।যারা করবে না তারা সেই স্বজাতি থেকে বিচ্ছিন্ন। এখন বলেন তো! খৃষ্টানরা কি খৎনা করে ? না।
কারা করে ? আমরা মুসলিমরা।
তাহলে সেই মহান জাতি কে ?
খৃষ্টানরা তো খৎনা না করায় তাদের স্বজাতি থেকে বিচ্ছিন্ন।
যিহূদার বংশ থেকেই রাজারা উঠবে| তার বংশ য়ে শাসন করবে এই চিহ্ন প্রকৃত রাজা না আসা পর্য্ন্ত রইবে| পরে বহু লোক বাধ্য হয়ে তার সেবা করবে|
The sceptre shall not depart from Judah, nor a lawgiver from between his feet, until Shiloh come; and unto him shall the gathering of the people be. (Genesis 49:10)
এখানে পরবর্তী যে রাজা আসবে বা নবী বা ভাববাদী বা মূসার মতো নবী,তিনি না আসা পযন্ত তাদের ক্ষমতা তাদের কাছে থাকবে,তিনি আসলে ইসহাকের গোত্র থেকে ক্ষমতা ইসমাঈলের গোত্রে দিবে।
আরেকটা চাক্ষুষ প্রমাণ….
And not as Moses, which put a vail over his face, that the children of Israel could not stedfastly look to the end of that which is abolished:( 2 Corinthians 3:13)
এখানে পল বলছে, আমরা মূসা মতো নয়, তারমানে যীশু মূসার মতো নবী নয়,এখানে তাহলে মূসার মতো নবী আসা তখনও বাকি ছিল।
তারা অনীশ্বর দ্বারা আমাকে ঈর্ষান্বিত করল| তারা ঐসব অর্থহীন মূর্ত্তি তৈরী করে আমাকে ক্রুদ্ধ করল| তাই আমি তাদের মধ্যে ঈর্ষা জন্মাব এমন লোকদের দ্বারা যারা প্রকৃতপক্ষে জাতি নয়| আমি তাদের একটি দুষ্ট জাতির দ্বারা ক্রুদ্ধ করব|
They have moved me to jealousy with that which is not God; they have provoked me to anger with their vanities: and I will move them to jealousy with those which are not a people; I will provoke them to anger with a foolish nation. (Deuteronomy 32:21)
এখানে বলছে তারা শির্ক করেছিল,ঈশ্বর রাগান্বিত হয়েছিল,এবং বলেছিল, তোমরা এমন কাজ করলে যা আমাকে ক্রুদ্ধ করল,আমি তোমাদের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে এমন এক জাতীকে দিব তারা জাতিই নয়,মানে মূর্খ জাতি। বলে রাখা ভলো প্রতিটা ইহুদি, খৃষ্টানরা ইসমাঈলকে মূর্খ বলে,তারা বলে, আমরা মুসলিমরা মূর্খ জাতি।
তখন আমি অন্যান্য জাতির লোকেদের পরিবর্তন করব যাতে তারা শুদ্ধ মুখে, শুদ্ধ ভাষায় প্রভুকে ডাকে| তারা কাঁধে কাঁধ দিযে ‘একজন লোকের মত মিলিত হবে এবং আমাকে উপাসনা করবে|
For then will I turn to the people a pure language, that they may all call upon the name of the LORD, to serve him with one consent. (Zephaniah 3:9)
এখানে ঈশ্বর বলছেন, আমি এমন এক মহান জাতিকে ক্ষমতা দিবো, যারা শুদ্ধ মুখে,শুদ্ধ ভাষায় প্রভুকে ডাকে।যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাতারবন্দি হয়ে দাড়াবে।
এখন বলেন তো ভাই, কারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাড়িয়ে উপাসনা করে?
আমরা মুসলিমরা….
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي ‏”‏‏.‏ وَكَانَ أَحَدُنَا يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَقَدَمَهُ بِقَدَمِهِ‏.‏
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। কেননা, আমি আমার পিছন হতেও তোমাদের দেখতে পাই। আনাস (রাঃ) বলেন আমাদের প্রত্যেকেই তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাতাম।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭২৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।
হোক সেজন বাংলাদেশি,ভারতীয়, চাইনিজ, ইরানি, সেখানেই থাকুক না কেন,সবাই এক ভাষায়, আরবি ভাষায় আল্লাহর ইবাদাত করি।


এখন আসুন খ্রিস্টান ধর্মেই চূরান্ত বা শেষ বা সত্য নবী মুহাম্মাদ (স) ও ভবিষ্যতবাণী নিয়ে আরো বিস্তারিত ভাবে কিছু রেফারেন্স পর্যালোচনা করি ।

যোহন ৭:৪০-৪৪
“40।সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী৷”[1]
41।অন্যরা বলল, “ইনি খ্রীষ্ট৷”
এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, “খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না৷
42।শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই যে খ্রীষ্টকে দায়ূদের বংশধর হতে হবে; আর দায়ূদ যে বৈৎলেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?”
43।তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল৷”
[1] খেয়াল করে দেখুন।ইহুদিরা যীশুকে নিয়েই দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে ছিলো।কেউ ভেবেছিলো ইনি সত্যিই খ্রিষ্ট,কেউ ভেবেছিলো ইনি খ্রিষ্ট নন,আবার কেউ ভেবেছিলো ইনি “সেই ভাববাদী” অর্থাৎ মুহাম্মাদ(স)।

বিদায়ের আগে যীশু তাঁর সাহাবিদের উদ্দেশ্যে এক মর্মস্পর্শী ভাষণ দেন।সেই ভাষণে তিনি মুহাম্মাদ(স) সম্পর্কে বলে যান।
যীশু বলেনঃ-
12।তোমাদের বলবার মতো আমার এখনও অনেক কথা আছে; কিন্তু সেগুলো তোমাদের গ্রহণ করার পক্ষে এখন অতিরিক্ত হয়ে যাবে৷
13।সত্যের আত্মা যখন আসবেন, তখন তিনি সকল সত্যের মধ্যে তোমাদের পরিচালিত করবেন৷ তিনি নিজে থেকে কিছু বলবেন না,কিন্তু তিনি যা শোনেন তাই বলবেন, আর আগামী দিনে কি ঘটতে চলেছে তা তিনি তোমাদের কাছে বলবেন৷
14। তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন,আমি যা বলি তাই তিনি গ্রহণ করবেন এবং
তোমাদের তা বলবেন৷(যোহন১৬:১২-১৫)
[1] অনেক খ্রিস্টানই বলতে চান,এই সত্যের আত্মা হলো পবিত্র আত্মা।এবার,এই সত্যের আত্মা যে পবিত্র আত্মা নয়,বরং একজন মানুষ ও একজন নবি(ভাববাদী)তা প্রমাণ করবো।
(১)এই ভার্সটির দিকে লক্ষ্য করুন।
যীশু বলেনঃ-“আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমার চলে যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভালো, কারণ আমি যদি না যাই তাহলে সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না৷ কিন্তু আমি যদি যাই তাহলে আমি তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব৷”(যোহন ১৬:৭)
অর্থাৎ,এই সাহায্যকারী বা সত্যের আত্মার আগমনের প্রধান একটি শর্ত হলো যীশুকে পৃথিবীতে থাকা চলবে না।যীশু পৃথিবী থেকে চলে গেলে তবেই এই সত্যের আত্মা আসবে।তারমানে,সত্যের আত্মা যদি পবিত্র আত্মাই হয়,তবে পবিত্র আত্মাকেও যীশু পৃথিবীতে থাকাকালীন অবস্থায় আসা যাবেনা।কিন্তু বাইবেল পড়লে জানা যায়,যীশু যখন মাতৃগর্ভে,তখনই পবিত্র আত্মা এলিজাবেথ নামক এক মহিলার দেহে এসেছিলো।(লূক ১:৪১)।
এছাড়াও দেখা যায়, যীশুর জর্ডান নদীতে বাপ্তাইজ হওয়ার পরেও পবিত্র আত্মা সেখানে এসেছিলো।(মার্ক ১:৯-১১)
আরো দেখা যায়,যীশু পৃথিবীতে থাকা অবস্থাতেই তাঁর শিষ্যদেরকে ফুঁ দিয়ে পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করতে বললেন(যোহন ২০:২২-২৩)।
অর্থাৎ পবিত্র আত্মা শুধুই একটা আত্মা,কিন্তু সত্যের আত্মাকে একজন “ব্যক্তি” হিসেবে চিহ্নিত করে গেছেন যীশু।তাছাড়াও পবিত্র আত্মা যোহন ১৬:৭এর শর্ত পূরণ করেনি।কাজেই,এই সত্যের আত্মা যে পবিত্র আত্মা নয়,তা প্রমাণিত।
এবার অনেক খ্রিস্টান বলতে পারে,মুহাম্মদ(স)কি কোনো আত্মা?তাদের কথার জবাব আমি বাইবেল থেকেই দেবো।খোদ বাইবেলেই মানুষকে “আত্মা” বলা হয়েছে।এই সত্যের আত্মা যে মানুষ এবং একজন ভাববাদী,এটা প্রমাণ করতে বাইবেলের এই ভার্সটাই যথেষ্ট।
“1 প্রিয় বন্ধুরা, সংসারে অনেক ভণ্ড ভাববাদী দেখা দিয়েছে, তাই তোমরা সকল আত্মাকে বিশ্বাস করো না৷ কিন্তু সেইসব আত্মাদের যাচাই করে দেখ যে তারা সত্যিই ঈশ্বর হতে এসেছে কিনা৷
2।এইভাবে তোমরা ঈশ্বরের থেকে আসা আত্মাকে চিনতে পারবে৷(১যোহন৪:১-২)
এখানে একদম সুস্পষ্টভাবে মানুষ ও ভাববাদী অর্থে “আত্মা” শব্দটা ব্যবহৃত হয়েছে।এর থেকে বোঝা যায়,সত্যের আত্মাও একজন মানুষ(ভাববাদী)।যীশু কেবল রূপক অর্থে “সত্যের আত্মা” শব্দটা ব্যবহার করেছেন।পাশাপাশি এটাও বোঝা যায় যীশুর পরে আরো একজন সত্য ভাববাদী আসবে।এজন্যই বলা হয়েছে সকল আত্মাকে যাচাই করে সত্য আত্মাকে(সত্য ভাববাদীকে) গ্রহণ করতে।কারণ অনেক ভন্ড ভাববাদী দেখা দিয়েছে।যীশুর পরে যদি অন্য কোনো ভাববাদী না আসতো,তাহলে উক্ত ভার্সে সকল আত্মাকে যাচাই করে সত্যের আত্মা(সত্য ভাববাদী)কে গ্রহণ করতে বলা হতো না।
(২) যীশু এই সত্যের আত্মাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।তাই তো তিনি সত্যের আত্মার ক্ষেত্রে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম ব্যবহার করেছেন।তিনি বলেন–
“আমি পিতার কাছে চাইবো।তিনি তোমাদের জন্য একজন সাহায্যকারী পাঠাবেন,যাতে তিনি (he) তোমাদের সাথে চিরকাল থাকেন।(যোহন ১৪ঃ১৬)।এখানে he হলো ব্যক্তিবাচক সর্বনাম।পবিত্র আত্মা হলে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত না হয়ে বস্তুবাচক সর্বনাম “it” ব্যবহৃত হতো।

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নন , তিনি আরশে আছেন , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ

বার্নাবাসের ইঞ্জিলে মুহাম্মাদ(স)
যীশু বললেন, “শান্তির দূতের নাম হবে মুহাম্মাদ। কেননা, স্বয়ং ঈশ্বর তাঁর আত্মার এই নামকরণ সৃষ্টির আদি লগ্নেই করেছেন, আর তাঁকে স্বর্গীয় মর্যাদায় সংরক্ষণ করেছেন। ঈশ্বর তাঁর উদ্দেশ্যে বলেছেন, অপেক্ষা করো মুহাম্মাদ। কেননা, আমি তোমার জন্যই সৃষ্টি করেছি স্বর্গরাজ্য, পৃথিবী এবং অসংখ্য সৃষ্টি; যাদের প্রতি তুমি হবে উপহারসরূপ। ফলে যে তোমাকে অভিনন্দন দেবে, সে হবে আনন্দিত; আর যে তোমায় অভিশাপ দেবে, সে হবে অভিশপ্ত। যখন আমি তোমাকে পৃথিবীতে পাঠাবো, তখন তোমাকে আমার ভাববাদী রূপেই প্রেরণ করবো এবং তোমার বাক্য হবে সত্যপূর্ণ। এমন কি আকাশ-পৃথিবী ব্যর্থ হতে পারে, কিন্তু তোমার বিশ্বাস হবে অব্যর্থ। “মুহাম্মাদ” — এই হলো তাঁর আশীর্বাদধন্য নাম।”
জনতা তখন উচ্চস্বরে বলতে থাকলেন, “হে ঈশ্বর! পাঠাও তোমার বার্তাবাহককে। হে মুহাম্মাদ! জগতের মুক্তির জন্য এসো।”—- [গসপেল অফ বার্নাবাস,অধ্যায় ৯৭]

বাইবেলে নবি মুহাম্মাদ(স) এর আগমনের চিহ্ন


ইসমাইল (আ) এর দ্বিতীয় সন্তান ক্বেইদার (বাইবেল,আদিপুস্তক ২৫/১৩) কেদার/ক্বেইদার আরবের বাসিন্দা।(যীশাইয় ২১:১৩-১৭) থেকে মুহাম্মদ (সা) এর বংশ তালিকা

আদিপুস্তক ১৭:২০ এ বাইবেলের ইশ্বর আব্রাহামকে বলেছেন,
ולישמעאל שמעתיך הנה ברכתי אתו והפריתי אתו והרביתי אתו במאד מאד שנים עשר נשיאם יוליד ונתתיו לגוי גדול׃
অনুবাদ:-
“তুমি ইশ্মায়েলের বা ইসমাঈল এর কথা বলেছো এবং আমি সে কথা শুনেছি| আমি তাকে আশীর্বাদ করব| তার বহু সন্তানসন্ততি হবে| সে বারোজন মহান নেতার পিতা হবে| তার পরিবার থেকে সৃষ্টি হবে এক মহান জাতির।”
ইশ্মায়েলের থেকে মহান জাতি একটিই আছে।সেটা হলো মুসলিম জাতি।মুহাম্মাদ(স) ইসমাইল(আ)এর রক্তের বংশধর,আর মুসলিমরা তাঁর অনুসারী,অর্থাৎ মুসলিমরা ইসমাইলের রূহানী বংশধর।১৭০ কোটি অনুসারী।যদি তা না হয়,তাহলে ইহুদি-খ্রিস্টানদের বুঝতে হবে বাইবেল ভুল।এই কারণেই ইশ্মায়েলের বংশ থেকে মহান জাতির উৎপত্তি হয়নি।
সেই মহান জাতির কয়েকটি নিদর্শন বর্ণনা করা আছে।ইশ্বর আব্রাহামকে বলেন,
আদিপুস্তক১২:২-৩
ואעשך לגוי גדול ואברכך ואגדלה שמך והיה ברכה׃2
ואברכה מברכיך ומקללך אאר ונברכו בך כל משפחת האדמה׃3
অনুবাদ:-
“2।তোমা হতে আমি এক মহান জাতি উৎপন্ন করব|
তোমাকে আশীর্বাদ দেব
এবং তুমি বিখ্যাত হবে|
অন্যকে আশীর্বাদ জানাতে
লোকে তোমার নাম নেবে|
3।যারা তোমাকে আশীর্বাদ করবে,সেই লোকদের আমি আশীর্বাদ করব
এবং যারা তোমাকে অভিশাপ দেবে, সেই লোকদের আমি অভিশাপ দেব|
আশীর্বাদের অর্থ হিসেবে মূল হিব্রুতে “বারেক” শব্দটা আছে,যার আরবি হলো “বারিক”।পাশাপাশি এটাও বলা আছে,অন্যকে আশীর্বাদ জানাতে লোকে ইব্রাহিম(আ)এর নাম নেবে।আর আমরা ১৭০ কোটি মুসলিম প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজে ইব্রাহিম(আ) এর উপর দরুদ পড়ি।একে বলা হয় দরুদে ইব্রাহিম।রাসুল(স) এর শিক্ষা দেওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ দরুদ এটি।এই দরুদে “বারিক” শব্দসহ ইব্রাহিম(আ)এর উপর দরুদ পড়া হয়।
নিচে দরুদে ইব্রাহিম দেওয়া হলো যাতে অমুসলিম ভাইবোনদের বুঝতে সুবিধা হয়।
اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ
مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدُ، اَللّهُمَّ بَارِكْ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ।
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা #সল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ,কামা #সল্লাইতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকাহামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা #বারিক আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়াআলা আলি মুহাম্মাদ, কামা #বারাকতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অর্থ:
হে আল্লাহ! তুমি হজরত মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত।
হে আল্লাহ! তুমি হজরত মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। (বুখারী, মিশকাত)
দেখুন,আদিপুস্তক ১২:২-৩ এর সাথে আমাদের দরুদ পাঠে শব্দোচ্চারণ ও কাজের হুবুহু মিল।আমরা প্রতিনিয়ত হযরত ইব্রাহিম(আ) এর উপর দরুদ পড়ছি অর্থাৎ আশীর্বাদ করছি।পাশাপাশি বলা আছে,অন্যকে আশীর্বাদ করতেও সেই মহান জাতির লোকেরা ইব্রাহিম(আ)এর নাম নেবে।আর দরুদে ইব্রাহিমে হযরত মুহাম্মাদ(স)এর উপরও দরুদ পাঠ করতে আমরা ইব্রাহিম(আ) এর নাম নেই।
“তুমি হজরত মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত বর্ষণ কর,যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত বর্ষণ করেছ।…..”
হিন্দু,খ্রিস্টান,ইহুদি,নাস্তিক কেউ ইব্রাহিমের উপর দরুদ পড়ে না বা আশীর্বাদ দেয় না।একমাত্র মুসলিম জাতি প্রতিদিন ১০ বারেরও বেশি ইব্রাহিম(আ) এর উপর দরুদ পড়ে,শুধু তাই না,মুহাম্মাদ(স)এর উপরও দরুদ পড়ে ইব্রাহিম(আ)এর নাম নিয়েই।অতএব,সেই মহান জাতি মুসলিমরা না হয়ে যায়?মুসলিমরা ইব্রাহিম(আ)এর পুত্র ইসমাইল(আ)এর রুহানি বংশধর।আর মুহাম্মাদ(স) ও কুরাইশ গোত্র ছিলো রক্তের বংশধর।
বাইবেলের একাধিক জায়গায় বলা আছে বনি ইস্রাইলদের থেকে নবুয়ত চলে যাবে।
আদিপুস্তক ৪৯:১০
לא יסור שבט מיהודה ומחקק מבין רגליו עד כי יבא שילה ולו יקהת עמים
অনুবাদ:-
১০ “ইয়াহুদা হইতে রাজদণ্ড যাইবে না,
তাহার চরণযুগলের মধ্য হইতে বিচারদন্ডও যাইবে না,
যে পৰ্য্যন্ত শীলো* না আসেন,
জাতিগণ তাহারই আজ্ঞাবহতা স্বীকার করিবে।
হিব্রু ভাষার শিলোহ শব্দটি প্রকৃতপক্ষে শালুহ ( shǎluḥ ) শব্দটি থেকে। এর অর্থ “প্রেরিত নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বার্তাপ্রেরক” অথবা হিব্রু শব্দ শিলুয়াহ ( Shilūăḥ) থেকে এসেছে যার অর্থ “প্রতিবেদক, “ইয়াহ কর্তৃক সত্যায়িত”
ল্যাটিন ভালগেট অনুবাদ করেছে এই শব্দকে “তিনি… যাকে প্রেরণ করা হয়েছে”।
অর্থাৎ নির্দিষ্ট একজন বার্তাবাহক বা রাসুল আসলেই ইহুদিদের থেকে রাজদন্ড ও বিচারদন্ড চলে যাবে।একমাত্র মুহাম্মাদ(স)এর মাধ্যমেই এই ভবিষ্যতবাণী পূর্ণ হয়েছে।
সফনিয় ৩:৮-৯:-
לכן חכו לי נאם יהוה ליום קומי לעד כי משפטי לאסף גוים לקבצי ממלכות לשפך עליהם זעמי כל חרון אפי כי באש קנאתי תאכל כל הארץ׃8
כי אז אהפך אל עמים שפה ברורה לקרא כלם בשם יהוה לעבדו שכם אחד׃9
অনুবাদ:-
8 প্রভু বলেছেন, “সেজন্যে একটু অপেক্ষা করো,যাতে আমি দাঁড়িয়ে তোমাদের বিচার করতে পারি|অন্য বহুজাতির থেকে লোক আনা এবং তোমাদের শাস্তি দেবার জন্য তাদের ব্যবহার করা অবশ্যই কর্তব্য আমার| আমি তোমাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ দেখানোর জন্য ঐ লোকেদের ব্যবহার করবো| আমি তাদের দ্বারা দেখাবো যে আমি কতখানি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং পুরো দেশটিকে আমার হিংসার আগুন গ্রাস করে নেব!
9 তখন আমি অন্যান্য জাতির লোকেদের পরিবর্তন করব যাতে তারা বিশুদ্ধ ভাষায় প্রভুকে ডাকে|তারা কাঁধে কাঁধ দিয়ে সর্বোসম্মতভাবে মিলিত হবে এবং আমাকে উপাসনা করবে।”
উক্ত আয়াতগুলোতে ইশ্বর বনি ইস্রাইলদেরকে শাস্তি দেয়ার কথা বলেছেন।কারণ বনি ইস্রাইলরা জেরুজালেমের মন্দিরের মধ্যে আল্লাহর সাথে শিরক স্থাপন বা মূর্তিপূজা করেছিলো।তাই ইশ্বর এতই রাগান্বিত হলেন যে তিনি বললেন,বিজাতিদের ব্যবহার করে তাদের শাস্তি দেবেন।বিজাতিদেরকে বনি ইস্রাইলের উপর প্রাধান্য দেবেন।অর্থাৎ বনি ইস্রাইলদের হাত থেকে নবুয়ত চলে যাবে বিজাতিদের কাছে।তারা বিশুদ্ধ ভাষায় ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইশ্বরের উপাসনা করবে।হুবুহু মুসলিমদের সাথে মিল।দুনিয়ার বুকে একমাত্র মুসলিম জাতিই বিশুদ্ধ ভাষায় অর্থাৎ মূল টেক্সট আরবি ভাষাতেই আল্লাহর উপাসনা করে।কোনো মুসলিম হোক সে আরবীয়,হোক সে বাঙালি,হোক সে আমেরিকান,হোক সে ইন্দোনেশিয়ান,গোটা বিশ্বের সমস্ত মুসলিমই আরবিতে সালাত আদায় করে বা উপাসনা করে।আর কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই সালাত আদায় করে বা নামাজ পড়ে।কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো আমাদের নবিজির কঠোর নির্দেশ।অমুসলিম ভাই ও বোনেরা,আপনারা মসজিদে গেলেই দেখতে পাবেন সবাই একতাবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আরবি ভাষায় সালাত আদায় করছে।।আর খ্রিস্টানরা ইংরেজি/বাংলা/হিন্দি, যার যা মনে চায়,সেই ভাষায় উপাসনা করে।পাশাপাশি তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়েও দাঁড়ায় না।হিন্দুরা মূল টেক্সট সংস্কৃতে পূজা করে,তবে তা কেবল পুরোহিত বা ব্রাহ্মণরাই করে।জনসাধারণ নয়।এছাড়াও তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ায় না।
বিশুদ্ধ ভাষায় ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপাসনা বিশ্বের বুকে একমাত্র মুসলিমরাই করে।তাই নিঃসন্দেহে বাইবেলে বর্ণিত এই মহান জাতি মুসলিমরা এবং বনি ইস্রাইলদের হাত থেকে বনি ইসমাইলের মুহাম্মাদ(স)এর কাছে নবুয়ত চলে গেছে।
মুহাম্মাদ(স) যে সত্য নবি ও মুসলিমরাই যে ইশ্মায়েলের থেকে উৎপন্ন মহান জাতি তার আরো একটি প্রমাণ হলোঃ-
আদিপুস্তক ১৫:১৮-২১ঃ-
ביום ההוא כרת יהוה את אברם ברית לאמר לזרעך נתתי את הארץ הזאת מנהר מצרים עד הנהר הגדל נהר פר
অনুবাদ:-
“সুতরাং ঐদিন প্রভু আব্রামকে একটা প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং সেই অনুসারে আব্রামের সঙ্গে একটা চুক্তি করলেন| প্রভু বললেন, “এই দেশ আমি তোমার উত্তরপুরুষদের দেব| মিশর নদ এবং ফোরাৎ নদের মধ্যবর্তী বিশাল ভূভাগ আমি তাদের দেব| 19এটা হল কেনীয়, কনিষীয়, কদ্মোনীয়, 20 হিত্তীয়, পরিষীয়, রফায়ীয়, 21 ইমোরীয়, কনানীয়, গির্গাশীয় এবং যিবুষীয় বংশগুলির দেশ|”

কোথায় যাচ্ছেন? আরো নতুন কিছু জানার জন্য এই লেখাটি পড়ুনঃ   দাজ্জালের আগমন ও ফিতনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা ও উদাহরণসহ কেয়ামতের আলামত ও ভবিষ্যতবাণী পর্ব-১

ইশ্বর আব্রাহামের উত্তরপুরুষ অর্থাৎ বংশধরদেরকে মিশরের নীলনদ ও ফোরাত নদের মধ্যবর্তী বিশাল ভূভাগ দানের প্রতিশ্রুতি দিলেন।এই অংশের মধ্যে পড়ে মিশর,ফিলিস্তিন,জর্ডান,লেবাননসিরিয়া,তুরস্ক,ইরাক,সৌদি আরব,বাহরাইন,কাতার,কুয়েত,ওমান,ইয়েমেন।অর্থাৎ গোটা মধ্যপ্রাচ্য।
ইতিহাস স্বাক্ষী,আর পর্যন্ত মুসলিম (খেলাফতে রাশেদা:আব্রাহামের রক্তের বংশধর) ব্যাতীত কোনো ইহুদি,খ্রিস্টান,হিন্দুরা মিশর থেকে ফোরাত নদ অবধি জায়গার মালিক হতে পারেনি।বরং মুসলিমরা দীর্ঘকাল এই অঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলো এবং বর্তমানেও এই অঞ্চলের অধিকাংশ জনগণই মুসলিম।
কাজেই,মুহাম্মাদ(স) ও কুরাইশ বংশ যে আব্রাহামের বংশধর,তা বাইবেলের এই আয়াত থেকে প্রমাণিত হলো এবং মুসলিমরা যে ইশ্বরের মনোনীত জাতি,তাও বাইবেল থেকে প্রমাণিত।

রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) সত্য ও শেষ নবী , আসুন ব্যাখ্যা এবং দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত দেখার চেষ্টা করি


ঈশ্বর সদাপ্রভু মুসা আঃ কে বললেন:-“আর আমার নামে তিনি আমার বাণী প্রচার করবেন। “

আর নবী মুহাম্মদ সাঃ কার নামে আল্লাহর বাণী প্রচার করেছেন?আল্লাহর নামে।প্রমাণ দেখলে কোরআনের ১১৪ টা সূরার ১১৩ টা সূরা পড়ুন।সূরা আত তাওবা ছাড়া সকল সূরার শুরুতেই মহান আল্লাহর নামে শুরু হয়েছে।
“কিন্ত আমি যে বাক্য বলতে আজ্ঞা করিনি,আমার নামে যে কোন ভাববাদী [নবী] দুঃসাহসপূর্বক তা বলে,কিম্বা অন্য দেবতার [ঈশ্বর] নামে যে কেহ কথা বলে সেই ভাববাদী কে মারতে হবে।”(দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:২০)

অতঃপর কোরআনের এই আয়াতটিও পাঠ করুন এবং বলুন এতদুভয় বিষয়বস্তু কী একই দিকের দুটি চিত্র নয় কী,যাতে বলা হয়েছে সূরা আল-হাক্কাহ (الحآقّة), আয়াত: ৪৪-৪৭
وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ ٱلْأَقَاوِيلِلَأَخَذْنَا مِنْهُ بِٱلْيَمِينِثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ ٱلْوَتِينَفَمَا مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَٰجِزِينَ
অর্থঃ সে [মুহাম্মদ সাঃ] যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত,তবে আমি তাঁর ডান হাত ধরে ফেলতাম অতঃপর তাঁর গ্রিবা কেটে দিতাম (অর্থাৎ হত্যা করতাম)।তখন তোমাদের কেউই আমার কবল থেকে তাঁকে রক্ষা করতে পারত না।
(বিঃদ্রঃ প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাঃ দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত পবিত্র কোরআনের বাণী প্রচার করেছেন। মিথ্যা ভাববাদীর জন্য মারার যে ওয়াদা করা হয়েছে তা তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।আর তিনি আল্লাহর আজ্ঞাবহ [কোরআন] সদাপ্রভু ঈশ্বর মহান আল্লাহর নামেই বলেছেন।কোরআনের ১১৪ টি সূরার মধ্যে ১১৩ টিই শুরু হয়েছে মহান আল্লাহর নামেই :-“পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহ্ পাকের নামে শুরু করলাম। “
৩)”আর তুমি যদি মনে মনে বল,”সদাপ্রভু যে বাক্য বলেননি,তা আমরা কী প্রকারে জানব?[তবে শুনো,] কোন ভাববাদী সদাপ্রভুর নামে কোন কথা কহিলে যদি সেই বাক্য পরে সিদ্ধ না হয় ও তার ফল উপস্থিত না হয়,তবে সেই বাক্য সদাপ্রভু বলেননি (অর্থাৎ সেই ভাববাদী মিথ্যা ভাববাদী/ভন্ড নবী] …….!”(দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:২০-২২)।
এখানে লক্ষণীয়:কোরআনে যা বলা হয়েছে সবই সত্য/সিদ্ধ হয়েছে,প্রমাণিত হয়েছে এবং কখনোই কিছু মিথ্যা প্রমাণিত হয় নাই।মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণীর বিপরীতে সবই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।এ থেকেই বাইবেলের আলোকে প্রমাণিত নবী মুহাম্মদ সাঃ হলেন সত্য ভাববাদী।এছাড়া বাইবেলের মধ্যে যিরমিয় নবী তথা ভাববাদী বলেছেন:-
“কিন্তু যে ভাব্বাদী শান্তির ভাব্বাণী প্রচার করে, সেই ভাব্বাণীগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে,সত্যিই সেগুলো প্রভুর পাঠানো কিনা। সত্যি হলেই বোঝা যাবে যে সেই ভাব্বাদী সত্যি সত্যিই প্রভুর দ্বারা প্রেরিত।যদি কোন ভাব্বাদীর বাণী সঠিক হয় তাহলে মানুষকে বুঝতে হবে ঐ ভাব্বাদী প্রভুর দ্বারা প্রেরিত।”(যিরমিয় ২৮:৯)
আর নবী মুহাম্মদ সাঃ ছিলেন একজন সত্যিকারের নবী। কেননা নবী মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী শান্তিপূর্ণ (অর্থাৎ তিনি ইসলাম তথা শান্তির বাণী প্রচার করেছেন) এবং তিনি সফল হয়েছেন।
হাদিস শরীফেও ইরশাদ হয়েছে
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَنَّهُ قَالَ وَالَّذِى نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ يَسْمَعُ بِى أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ يَهُودِىٌّ وَلاَ نَصْرَانِىٌّ ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِى أُرْسِلْتُ بِهِ إِلاَّ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে, সেই সত্তার কসম! এই উম্মতের যে কেউ—ইয়াহুদী হোক বা খ্রিস্টান আঁমার কথা শুনবে,অতঃপর যা দিয়ে আঁমি প্রেরিত হয়েছি,তার প্রতি ঈমান আনবে না, সেই জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
[সহিহ মুসলিম শরীফ- ৪০৩]
২. আঁমি ঈসা নবী (আঃ) তোমাদেরকে সত্য বলছি ” আঁমার চলে যাওয়া তোমাদের জন্য কল্যাণকর।আর আঁমি যদি না যাই তবে সেই সাহায্যকারী নবী আসবেন না।”[ঈঞ্জিল,16:7]
রাসূল সাঃ কে অনুসরণ করতে হবে।
ঈসা আঃ আরো বলেছেন:-“তবুও আমি তোমাদের সত্য কথা বলছি যে,আমার যাওয়া তোমাদের জন্য ভালো, কারণ আমি না গেলে ‘সেই সাহায্যকারী ‘(প্যারাক্লীট) তোমাদের নিকট আসবেন না।কিন্তু আমি যদি চলে যাই তাঁকে তোমাদের নিকট পাঠিয়ে দিব। আর তিনি এসে পাপের সম্বন্ধে,ধার্মিকতার সম্বন্ধে এবং বিচারের সম্বন্ধে জগতকে দোষী সাবস্ত্য করবেন। “
(ঙ) বাংলা বাইবেল ,যোহন (১৬:১২) ঈসা আঃ আরো বলেছেন:-“তোমাদের নিকট বলবার আমার আরো অনেক কথা আছে,কিন্তু এখন তোমরা সেইগুলো ‘সহ্য করতে পারবে না।”
(চ) বাংলা বাইবেল ,যোহন (১৬:১৩) ঈসা আঃ আরো বলেছেন:-“পরন্তু ‘ তিনি ‘ সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন,তখন ‘ তিনি ‘তোমাদের পথ দেখিয়ে ‘পূর্ণ সত্যের পথে নিয়ে যাবে ‘ কারণ ‘তিনি নিজে থেকে কথা বলবেন না ‘ কিন্তু যা কিছু শুনেন তাই বলবেন’ এবং আগামী ঘটনাও ‘তিনি ‘ তোমাদের জানাবেন ।তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন ।

MuslimPoint Organization

About MuslimPoint Organization

MuslimPoint একটি অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থাগার, ব্লগিং, কুরআন, হাদিস, কুইজ এবং বিষয় ভিত্তিক রেফারেন্স প্ল্যাটফর্ম।

View all posts by MuslimPoint Organization →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *